চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
তিন দফা আলট্রাসনোগ্রাফিক রিপোর্টে গর্ভে যমজ বাচ্চার থাকার বিষয়টি জানা যায়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর ভূমিষ্ঠ হলো একটি সন্তান। তবে কি আলট্রাসনোগ্রাফিক রিপোর্ট তিনবারই ভুল তথ্য দিয়েছে নাকি জন্মের পর আরেকটি সন্তান চুরি হয়ে গেল? এমন প্রশ্ন নিয়েই হাসপাতাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ছোটাছুটি করছে চুয়াডাঙ্গার এক পরিবার।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার রাসেল আলীর স্ত্রী রজনী খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোববার সকালে এক নবজাতকের জন্ম দেন। তবে পরিবারের অভিযোগ—অস্ত্রোপচারের পর একটি নবজাতক চুরি হয়েছে। তাদের দাবি, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আলট্রাসনোগ্রাফিক রিপোর্টে জানানো হয় গর্ভে দুটি সন্তান থাকার কথা। সিজারের পর ডাক্তাররা একটি সন্তান বুঝিয়ে দিয়েছেন। এতে অবাক রজনী খাতুন ও তাঁর পরিবারের স্বজনরা। কেননা, বাচ্চা জন্মানোর কথা দুটি, সেখানে একটি কেন?
রাসেল আলীর পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আলট্রাসনোগ্রাফিক টেস্ট করান রজনী খাতুন। সেখানে থাকা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) নাজমুল স্বাক্ষরিত প্রিন্ট রিপোর্টে জানানো হয়—গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে। গত ৩১ মার্চ আবারও ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আলট্রাসনোগ্রাফিক করানো হয়। সেদিন ডা. আফরোজ শারমিও একই রিপোর্ট দেন।
তবে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আলট্রাসনোগ্রাফিক রিপোর্টে ভুল ছিল। দুটি নয় প্রসূতির গর্ভে বাচ্চা পাওয়া গেছে একটি। হাসপাতালের রিপোর্টে গর্ভে একটি বাচ্চার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল এবং সম্ভাব্য আরেকটি বাচ্চাও থাকতে পারে এমনটি জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে, রজনী খাতুনের বাবা নবীর হোসেন বলেন, ‘প্রসব বেদনা উঠলে গত শনিবার সকালের দিকে আমার মেয়েকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতাল থেকে রজনীকে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হলে তাঁর গর্ভে যমজ দুটি সন্তান থাকার কথা বলা হয়। বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সরকারি হাসপাতাল থেকে গর্ভে দুটি সন্তানের কথা জানালেও চিকিৎসক আমাদের একটি সন্তান আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আরেকটি সন্তান কি হলো? নিশ্চয়ই চুরি হয়েছে গেছে। আমার নাতিকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
রজনী খাতুনের স্বামী রাসেল বলেন, ‘দুই প্রতিষ্ঠানে তিনবার আলট্রাসনোগ্রাফি করে একই রিপোর্ট এসেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভুল হলেও সদর হাসপাতালের রিপোর্ট কীভাবে ভুল হয়?’
মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফি করা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) নাজমুল হক বলেন, ‘আমরা আলট্রাসনোগ্রাফি করি। আমাদের বৈধতা আছে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ওই রোগীর রিপোর্ট প্রিন্ট করতে গিয়ে ভুল করতে পারে। এ ছাড়া আমারও ভুল হতে পারে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. আকলিমা খাতুন বলেন, ‘সিজারের পর রজনী খাতুনের গর্ভে একটি ছেলে সন্তান পেয়েছি আমরা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরাসরি বলা হয়েছে দুটি সন্তানের কথা। আর সদর হাসপাতালের রিপোর্টে একটি বাচ্চার কথা সরাসরি বললেও সম্ভাব্য আরেকটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ওই প্রসূতির সিজার করেছেন ডা. আকলিমা খাতুন। সিজারের পর প্রসূতির গর্ভ থেকে একটি ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। জীবননগর থেকে প্রসূতির যে আল্ট্রাসনো রিপোর্ট করেছে পরিবারের সদস্যরা, তা সঠিক নয়। ধারণা করা হচ্ছে, পেটের ভেতরে পানি বা অন্য কোনো কারণে ওই রিপোর্টে যমজ বাচ্চার বিষয়ে জানানো হয়েছে। তবে সদর হাসপাতাল থেকে ওই প্রসূতির আল্ট্রাসনো রিপোর্ট করালে সেখানে একটি বাচ্চার বিষয়েই নিশ্চিত জানা যায়। এটাই নিশ্চিত যে ওই প্রসূতির গর্ভে একটি সন্তানই ছিল, সিজারে পর সেই সন্তানকেই অপারেশন থিয়েটারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রসূতির পরিবারের সদস্যদের নিকট দেওয়া হয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, ‘সদর হাসপাতালে যে চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রাফি করেছে তাঁর সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, সে একটি বাচ্চার কথাই উল্লেখ করেছে এবং শুধু সম্ভাব্য আরেকটি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) কখনোই আলট্রাসনোগ্রাফি করতে পারবেন না। যদি করে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তিন দফা আলট্রাসনোগ্রাফিক রিপোর্টে গর্ভে যমজ বাচ্চার থাকার বিষয়টি জানা যায়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর ভূমিষ্ঠ হলো একটি সন্তান। তবে কি আলট্রাসনোগ্রাফিক রিপোর্ট তিনবারই ভুল তথ্য দিয়েছে নাকি জন্মের পর আরেকটি সন্তান চুরি হয়ে গেল? এমন প্রশ্ন নিয়েই হাসপাতাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ছোটাছুটি করছে চুয়াডাঙ্গার এক পরিবার।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের মসজিদপাড়ার রাসেল আলীর স্ত্রী রজনী খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোববার সকালে এক নবজাতকের জন্ম দেন। তবে পরিবারের অভিযোগ—অস্ত্রোপচারের পর একটি নবজাতক চুরি হয়েছে। তাদের দাবি, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আলট্রাসনোগ্রাফিক রিপোর্টে জানানো হয় গর্ভে দুটি সন্তান থাকার কথা। সিজারের পর ডাক্তাররা একটি সন্তান বুঝিয়ে দিয়েছেন। এতে অবাক রজনী খাতুন ও তাঁর পরিবারের স্বজনরা। কেননা, বাচ্চা জন্মানোর কথা দুটি, সেখানে একটি কেন?
রাসেল আলীর পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আলট্রাসনোগ্রাফিক টেস্ট করান রজনী খাতুন। সেখানে থাকা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) নাজমুল স্বাক্ষরিত প্রিন্ট রিপোর্টে জানানো হয়—গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে। গত ৩১ মার্চ আবারও ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আলট্রাসনোগ্রাফিক করানো হয়। সেদিন ডা. আফরোজ শারমিও একই রিপোর্ট দেন।
তবে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আলট্রাসনোগ্রাফিক রিপোর্টে ভুল ছিল। দুটি নয় প্রসূতির গর্ভে বাচ্চা পাওয়া গেছে একটি। হাসপাতালের রিপোর্টে গর্ভে একটি বাচ্চার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল এবং সম্ভাব্য আরেকটি বাচ্চাও থাকতে পারে এমনটি জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে, রজনী খাতুনের বাবা নবীর হোসেন বলেন, ‘প্রসব বেদনা উঠলে গত শনিবার সকালের দিকে আমার মেয়েকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতাল থেকে রজনীকে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হলে তাঁর গর্ভে যমজ দুটি সন্তান থাকার কথা বলা হয়। বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সরকারি হাসপাতাল থেকে গর্ভে দুটি সন্তানের কথা জানালেও চিকিৎসক আমাদের একটি সন্তান আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আরেকটি সন্তান কি হলো? নিশ্চয়ই চুরি হয়েছে গেছে। আমার নাতিকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
রজনী খাতুনের স্বামী রাসেল বলেন, ‘দুই প্রতিষ্ঠানে তিনবার আলট্রাসনোগ্রাফি করে একই রিপোর্ট এসেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভুল হলেও সদর হাসপাতালের রিপোর্ট কীভাবে ভুল হয়?’
মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাফি করা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) নাজমুল হক বলেন, ‘আমরা আলট্রাসনোগ্রাফি করি। আমাদের বৈধতা আছে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ওই রোগীর রিপোর্ট প্রিন্ট করতে গিয়ে ভুল করতে পারে। এ ছাড়া আমারও ভুল হতে পারে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. আকলিমা খাতুন বলেন, ‘সিজারের পর রজনী খাতুনের গর্ভে একটি ছেলে সন্তান পেয়েছি আমরা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরাসরি বলা হয়েছে দুটি সন্তানের কথা। আর সদর হাসপাতালের রিপোর্টে একটি বাচ্চার কথা সরাসরি বললেও সম্ভাব্য আরেকটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ওই প্রসূতির সিজার করেছেন ডা. আকলিমা খাতুন। সিজারের পর প্রসূতির গর্ভ থেকে একটি ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। জীবননগর থেকে প্রসূতির যে আল্ট্রাসনো রিপোর্ট করেছে পরিবারের সদস্যরা, তা সঠিক নয়। ধারণা করা হচ্ছে, পেটের ভেতরে পানি বা অন্য কোনো কারণে ওই রিপোর্টে যমজ বাচ্চার বিষয়ে জানানো হয়েছে। তবে সদর হাসপাতাল থেকে ওই প্রসূতির আল্ট্রাসনো রিপোর্ট করালে সেখানে একটি বাচ্চার বিষয়েই নিশ্চিত জানা যায়। এটাই নিশ্চিত যে ওই প্রসূতির গর্ভে একটি সন্তানই ছিল, সিজারে পর সেই সন্তানকেই অপারেশন থিয়েটারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রসূতির পরিবারের সদস্যদের নিকট দেওয়া হয়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, ‘সদর হাসপাতালে যে চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রাফি করেছে তাঁর সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, সে একটি বাচ্চার কথাই উল্লেখ করেছে এবং শুধু সম্ভাব্য আরেকটি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) কখনোই আলট্রাসনোগ্রাফি করতে পারবেন না। যদি করে থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় নীলফামারী-১ আসনের (ডোমার-ডিমলা) সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফতাব উদ্দিন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে রংপুর নগরীর সেনপাড়ার গুড় মজিবরের বাড়ি থেকে তাঁকে...
১৮ মিনিট আগেরাজধানীর গাবতলীতে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সামনে শাহী মসজিদ বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, আগুনে বস্তির প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।
৩৮ মিনিট আগেনেতৃত্বের শূন্যতায় ধুঁকছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি)। তার প্রভাব পড়ছে নগরজীবনে। নগরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দূষণ, যানজট, জলজট, খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট, মশার উপদ্রব, সড়কবাতির অভাবে রাতে ভুতুড়ে পরিবেশ—এসব এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
৫ ঘণ্টা আগেদেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৭ ঘণ্টা আগে