Ajker Patrika

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির নেতা খুন

আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ মে ২০২২, ১২: ১৯
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির নেতা খুন

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় কামাল হোসেন (৬২) নামে বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত ১২টায় আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের ক্লিনিকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত কামাল হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত জাহান আলী মাস্টারের ছেলে। তিনি বিএনপির নেতা ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ঠিকাদারির কাজে যুক্ত ছিলেন। 

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, কামাল হোসেনের মামা মুন্সিগঞ্জ গ্রামের ক্লিনিকপাড়ার মৃত মোতালেব হোসেন। মোতালেব হোসেনের জামাই স্বাধীন আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কামাল হোসেনের শরিকানার জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল সোমবার সকালে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তখন কামাল হোসেনকে খুন করার হুমকি দেন স্বাধীন আলী। রাতে ক্লিনিকপাড়ায় শ্বশুরবাড়ির সামনে কামালকে একা পেয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায় স্বাধীন। স্থানীয়রা শ্বশুরবাড়ির সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কামালকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রতিজ্ঞা ক্লিনিকে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে স্বাধীন আলীর শরিকানা জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে স্বাধীন। মৃত্যুর আগে কে মেরেছে জানতে চাইলে আমার স্বামী জানান, স্বাধীন তাকে পিটিয়েছে ও ছুরিকাঘাত করেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরিফুজ্জামান শরীফ জানান, দলীয় কোনো পদ না থাকলেও কামাল হোসেন বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। 

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহসানুল হক জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান কামাল হোসেন। বাম পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ছাড়া তাঁর কান দিয়েও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বাধীন পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত