কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা
অসহায়-দুস্থ নারীদের সহায়তার জন্য সরকার থেকে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) প্রকল্প। কিন্তু খুলনার রূপসায় সচ্ছল পরিবারের নারীরা এই সুবিধায় ভাগ বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রকল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দরিদ্ররা।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রূপসার পাঁচটি ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাচ্ছেন মোট ২ হাজার ৬৩৩ নারী। তাঁদের অধিকাংশই সুবিধা নেওয়ার আবেদনে নিজেদের ঘর টিন, মাটি ও বাঁশ দিয়ে তৈরি বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ৮০ শতাংশ তাঁদের পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তির পেশা হিসেবে কৃষিজমিতে দিনমজুরের তথ্য দিয়েছেন। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অনেক তথ্যই অসত্য।
নীতিমালা অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের সভাপতিত্বে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে উপকারভোগীদের তালিকা করতে হবে। পরে ইউনিয়ন কমিটি সব তালিকা সমন্বয় করে উপজেলা কমিটিতে জমা দেবে। তালিকায় অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত ও প্রতিবন্ধী নারীদের অগ্রাধিকারের কথাও বলা আছে নীতিমালায়। তবে এর তোয়াক্কা না করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরিচিতদের মধ্যে ভিডব্লিউবি কার্ড বণ্টন করা হয়েছে। বিগত দিনে যাঁরা কার্ড পেয়েছিলেন, তাঁদেরও নতুন চক্রে নিয়মবহির্ভূতভাবে ফের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নীতিমালায় উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুফলভোগীদের আত্মকর্মসংস্থানের দিকে উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশনা থাকলেও এখনো কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইচগাতি ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাকা বাড়ির বাসিন্দা রোকেয়া বেগমের ভিডব্লিউবি কার্ড রয়েছে। বাড়ির সামনেই তিনি তৈরি করছেন পাকা দোকান। স্বামী আলমগীর হোসেনের রয়েছে একটি ট্যুরিস্ট ও একটি মালবাহী ট্রলার। ঘাটভোগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাদিয়া শান্তা স্বামীকে দিনমজুর কৃষক এবং টিনের ঘরে বসবাস করার তথ্য দিয়ে তালিকায় নাম তুলেছেন। বাস্তবে তাঁর স্বামী সাদ্দাম হোসেনের রয়েছে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ব্যবসা, চলাচল করেন মোটরসাইকেলে। নৈহাটি ইউনিয়নের রহিমনগর বাজারের নাজিম স্টোরের মালিক নাজিম ফরাজীর রয়েছে মুদি-মনিহারিসহ জ্বালানি তেলের ব্যবসা। তবে ভিডব্লিউবির আবেদনের তালিকায় তিনি একজন দিনমজুর কৃষক, বাস করেন মাটির ঘরে। আর সে কারণেই তাঁর স্ত্রী নাজমুন নাহার পাচ্ছেন কার্ডের মাধ্যমে চাল সহায়তা।
অন্যদিকে আইচগাতির এক বিধবা নারী নাম প্রকাশ না করে জানান, তিনি লবণ তৈরির কোম্পানিতে কাজ করেন। কোম্পানির জমিতে ঝুপড়িতে দুই সন্তান নিয়ে থাকেন। তিনি গত বছর বারবার ধরনা দিয়েও ভিডব্লিউবি কার্ড পাননি।
এ নিয়ে কথা হলে নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল বলেন, ‘অনলাইনে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার সময় যাচাই-বাছাই করা হয় না। আর উপজেলা দপ্তর থেকে কার্ড দেওয়া হয়। আমাদের কাছ থেকে কোনো তালিকা নেওয়া হয়নি।’
রূপসায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তালিকায় স্বাক্ষর থাকা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মনোয়ারা খানমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি বদলি হয়ে বাগেরহাটে রয়েছেন। ভিডব্লিউবি সুবিধা পেতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনেকে আবেদন করেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা এ-সংক্রান্ত ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি। অনলাইনে আবেদন করার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কোর পড়ে, সে অনুযায়ী অগ্রাধিকার পাওয়া নারীদের নাম আগে চলে আসে। পেশা, আয়, বাড়ির বিবরণী স্বল্প সময়ে যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে কিছু ত্রুটি থাকতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে রূপসা উপজেলার বর্তমান মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হাসি রানী রায় বলেন, অভিযোগ পেয়ে বিগত চক্রে যাঁরা ছিলেন এমন ৬২ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে তাঁদের কার্ড বাতিল করা হবে।
অসহায়-দুস্থ নারীদের সহায়তার জন্য সরকার থেকে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) প্রকল্প। কিন্তু খুলনার রূপসায় সচ্ছল পরিবারের নারীরা এই সুবিধায় ভাগ বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রকল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দরিদ্ররা।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রূপসার পাঁচটি ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাচ্ছেন মোট ২ হাজার ৬৩৩ নারী। তাঁদের অধিকাংশই সুবিধা নেওয়ার আবেদনে নিজেদের ঘর টিন, মাটি ও বাঁশ দিয়ে তৈরি বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ৮০ শতাংশ তাঁদের পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তির পেশা হিসেবে কৃষিজমিতে দিনমজুরের তথ্য দিয়েছেন। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অনেক তথ্যই অসত্য।
নীতিমালা অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের সভাপতিত্বে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে উপকারভোগীদের তালিকা করতে হবে। পরে ইউনিয়ন কমিটি সব তালিকা সমন্বয় করে উপজেলা কমিটিতে জমা দেবে। তালিকায় অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত ও প্রতিবন্ধী নারীদের অগ্রাধিকারের কথাও বলা আছে নীতিমালায়। তবে এর তোয়াক্কা না করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরিচিতদের মধ্যে ভিডব্লিউবি কার্ড বণ্টন করা হয়েছে। বিগত দিনে যাঁরা কার্ড পেয়েছিলেন, তাঁদেরও নতুন চক্রে নিয়মবহির্ভূতভাবে ফের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নীতিমালায় উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুফলভোগীদের আত্মকর্মসংস্থানের দিকে উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশনা থাকলেও এখনো কোনো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইচগাতি ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাকা বাড়ির বাসিন্দা রোকেয়া বেগমের ভিডব্লিউবি কার্ড রয়েছে। বাড়ির সামনেই তিনি তৈরি করছেন পাকা দোকান। স্বামী আলমগীর হোসেনের রয়েছে একটি ট্যুরিস্ট ও একটি মালবাহী ট্রলার। ঘাটভোগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাদিয়া শান্তা স্বামীকে দিনমজুর কৃষক এবং টিনের ঘরে বসবাস করার তথ্য দিয়ে তালিকায় নাম তুলেছেন। বাস্তবে তাঁর স্বামী সাদ্দাম হোসেনের রয়েছে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ব্যবসা, চলাচল করেন মোটরসাইকেলে। নৈহাটি ইউনিয়নের রহিমনগর বাজারের নাজিম স্টোরের মালিক নাজিম ফরাজীর রয়েছে মুদি-মনিহারিসহ জ্বালানি তেলের ব্যবসা। তবে ভিডব্লিউবির আবেদনের তালিকায় তিনি একজন দিনমজুর কৃষক, বাস করেন মাটির ঘরে। আর সে কারণেই তাঁর স্ত্রী নাজমুন নাহার পাচ্ছেন কার্ডের মাধ্যমে চাল সহায়তা।
অন্যদিকে আইচগাতির এক বিধবা নারী নাম প্রকাশ না করে জানান, তিনি লবণ তৈরির কোম্পানিতে কাজ করেন। কোম্পানির জমিতে ঝুপড়িতে দুই সন্তান নিয়ে থাকেন। তিনি গত বছর বারবার ধরনা দিয়েও ভিডব্লিউবি কার্ড পাননি।
এ নিয়ে কথা হলে নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল বলেন, ‘অনলাইনে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার সময় যাচাই-বাছাই করা হয় না। আর উপজেলা দপ্তর থেকে কার্ড দেওয়া হয়। আমাদের কাছ থেকে কোনো তালিকা নেওয়া হয়নি।’
রূপসায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তালিকায় স্বাক্ষর থাকা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মনোয়ারা খানমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি বদলি হয়ে বাগেরহাটে রয়েছেন। ভিডব্লিউবি সুবিধা পেতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনেকে আবেদন করেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা এ-সংক্রান্ত ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি। অনলাইনে আবেদন করার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কোর পড়ে, সে অনুযায়ী অগ্রাধিকার পাওয়া নারীদের নাম আগে চলে আসে। পেশা, আয়, বাড়ির বিবরণী স্বল্প সময়ে যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে কিছু ত্রুটি থাকতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে রূপসা উপজেলার বর্তমান মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হাসি রানী রায় বলেন, অভিযোগ পেয়ে বিগত চক্রে যাঁরা ছিলেন এমন ৬২ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে তাঁদের কার্ড বাতিল করা হবে।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৪১ মিনিট আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে