মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরে তৃতীয় ধাপে ভূমিহীনদের জন্য ৮২টি ঘর উদ্বোধন হয়েছে ৩ মাস আগে। গত ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মনিরামপুরের ঘরগুলো উদ্বোধন করেন। এরপর দীর্ঘ সময় পার হলেও আজও ভূমিহীনরা তাঁদের ঘরে উঠতে পারেননি।
ঘর নির্মাণকাজ সমাপ্ত, জমি রেজিস্ট্রেশন ও বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ না হওয়ায় বরাদ্দ পাওয়া ঘর মালিকেরা নতুন ঘরে উঠতে পারছেন না। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমিহীনরা ঘরে উঠতে পারবেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ভূমি দপ্তরের তথ্য মতে, মনিরামপুরে তৃতীয় ধাপে ৮২টা ঘর নির্মিত হয়েছে। তার মধ্যে হেলাঞ্চি ৪২ টি, হরিহরনগরে ৭ টি, পারখাজুরায় ৬ টি, শ্যামকুড়ে ১৪ টি, মাছনায় ১১টি ও নেহালপুরে ২টি ঘর রয়েছে। প্রতি ঘর তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। তিন ধাপে এ পর্যন্ত মনিরামপুরে ভূমিহীনদের জন্য ৩৯৯টি ঘর নির্মিত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার হেলাঞ্চি বাজারের অদূরে পাকা রাস্তার দু-পাশে ভূমিহীনদের জন্য সাদা রং ও রঙিন টিনের ৪২টি ঘর নির্মিত হয়েছে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও খালি পড়ে আছে ঘরগুলো। কোনো ঘরেই ওঠেননি ভূমিহীনরা। একই অবস্থা অন্য এলাকার ঘরগুলোতেও। ঘর প্রস্তুত, জমি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন ও বিদ্যুৎ সংযোগ না লাগায় ভূমিহীনদের ঘরে উঠতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
হেলাঞ্চি অঞ্চলে নির্মিত ঘরের মধ্যে একটি ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন পূর্ণিমা রানী। তিনি বলেন, ‘বাপের বাড়ি থাকি। স্বামী ভ্যান চালায়। সরকার আমারে একটা ঘর দেছে। ২-৩ মাস আগে উপজেলায় আমাগের ডাকিল। তখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের একটা প্লেট দেছে। এখনো ঘর বুঝে পাই নাই। কবে নতুন ঘরে উঠতি পারব জানিনে।’
খেদাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জিন্নাহ বলেন, ‘হেলাঞ্চির ঘরগুলোর এখনো জমি রেজিস্ট্রেশন হয়নি। দলিল না হলে কেউ ঘরে উঠতে পারবে না।
এদিকে শ্যামকুড় এলাকার ১৪টি ঘরের মধ্যে কয়েকটি ঘরে লোকজন উঠেছেন। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ না লাগায় ঘরের বাসিন্দারা কষ্টে আছেন।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার বলেন, তৃতীয় ধাপে উপজেলায় ৮২টি ঘর এসেছিল। সবগুলো ঘরের কাজ শেষ। আবার নতুন করে ৫০টি ঘরের কাজ শুরু হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান বলেন, তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোর মধ্যে ২৮ টির দলিলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাকিগুলোর নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে।
যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ মনিরামপুর সদর দপ্তরের সহকারী ব্যবস্থাপক মোকসেদুল মমিন বলেন, ‘৮২টি ঘরে মিটার স্থাপন বাদে বাকি কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দের একটি তালিকা আমাদের দেওয়ার কথা। সেটা এখনো হাতে পাইনি। তালিকা না পেলে কার নামে মিটার বরাদ্দ হবে সেটা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কবীর হোসেন বলেন, ‘ভূমিহীনদের ঘরের কাজে আমরা তাড়াহুড়া করি না। উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর ধীরস্থিরভাবে কাজ করা হয়। তৃতীয় ধাপের ঘরে কিছু কাজ বাকি ছিল। মালিকানা সংক্রান্ত বিষয় থাকে।’
ইউএনও বলেন, ‘এখন আর কোনো সমস্যা নাই। দ্রুত সবগুলো ঘরে লোকজন উঠে যাবে।’
যশোরের মনিরামপুরে তৃতীয় ধাপে ভূমিহীনদের জন্য ৮২টি ঘর উদ্বোধন হয়েছে ৩ মাস আগে। গত ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মনিরামপুরের ঘরগুলো উদ্বোধন করেন। এরপর দীর্ঘ সময় পার হলেও আজও ভূমিহীনরা তাঁদের ঘরে উঠতে পারেননি।
ঘর নির্মাণকাজ সমাপ্ত, জমি রেজিস্ট্রেশন ও বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ না হওয়ায় বরাদ্দ পাওয়া ঘর মালিকেরা নতুন ঘরে উঠতে পারছেন না। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমিহীনরা ঘরে উঠতে পারবেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ভূমি দপ্তরের তথ্য মতে, মনিরামপুরে তৃতীয় ধাপে ৮২টা ঘর নির্মিত হয়েছে। তার মধ্যে হেলাঞ্চি ৪২ টি, হরিহরনগরে ৭ টি, পারখাজুরায় ৬ টি, শ্যামকুড়ে ১৪ টি, মাছনায় ১১টি ও নেহালপুরে ২টি ঘর রয়েছে। প্রতি ঘর তৈরিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। তিন ধাপে এ পর্যন্ত মনিরামপুরে ভূমিহীনদের জন্য ৩৯৯টি ঘর নির্মিত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার হেলাঞ্চি বাজারের অদূরে পাকা রাস্তার দু-পাশে ভূমিহীনদের জন্য সাদা রং ও রঙিন টিনের ৪২টি ঘর নির্মিত হয়েছে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলেও খালি পড়ে আছে ঘরগুলো। কোনো ঘরেই ওঠেননি ভূমিহীনরা। একই অবস্থা অন্য এলাকার ঘরগুলোতেও। ঘর প্রস্তুত, জমি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন ও বিদ্যুৎ সংযোগ না লাগায় ভূমিহীনদের ঘরে উঠতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
হেলাঞ্চি অঞ্চলে নির্মিত ঘরের মধ্যে একটি ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন পূর্ণিমা রানী। তিনি বলেন, ‘বাপের বাড়ি থাকি। স্বামী ভ্যান চালায়। সরকার আমারে একটা ঘর দেছে। ২-৩ মাস আগে উপজেলায় আমাগের ডাকিল। তখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের একটা প্লেট দেছে। এখনো ঘর বুঝে পাই নাই। কবে নতুন ঘরে উঠতি পারব জানিনে।’
খেদাপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম জিন্নাহ বলেন, ‘হেলাঞ্চির ঘরগুলোর এখনো জমি রেজিস্ট্রেশন হয়নি। দলিল না হলে কেউ ঘরে উঠতে পারবে না।
এদিকে শ্যামকুড় এলাকার ১৪টি ঘরের মধ্যে কয়েকটি ঘরে লোকজন উঠেছেন। তবে বিদ্যুৎ সংযোগ না লাগায় ঘরের বাসিন্দারা কষ্টে আছেন।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার বলেন, তৃতীয় ধাপে উপজেলায় ৮২টি ঘর এসেছিল। সবগুলো ঘরের কাজ শেষ। আবার নতুন করে ৫০টি ঘরের কাজ শুরু হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান বলেন, তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোর মধ্যে ২৮ টির দলিলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাকিগুলোর নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে।
যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ মনিরামপুর সদর দপ্তরের সহকারী ব্যবস্থাপক মোকসেদুল মমিন বলেন, ‘৮২টি ঘরে মিটার স্থাপন বাদে বাকি কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দের একটি তালিকা আমাদের দেওয়ার কথা। সেটা এখনো হাতে পাইনি। তালিকা না পেলে কার নামে মিটার বরাদ্দ হবে সেটা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।’
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কবীর হোসেন বলেন, ‘ভূমিহীনদের ঘরের কাজে আমরা তাড়াহুড়া করি না। উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর ধীরস্থিরভাবে কাজ করা হয়। তৃতীয় ধাপের ঘরে কিছু কাজ বাকি ছিল। মালিকানা সংক্রান্ত বিষয় থাকে।’
ইউএনও বলেন, ‘এখন আর কোনো সমস্যা নাই। দ্রুত সবগুলো ঘরে লোকজন উঠে যাবে।’
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে