শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
‘আমার জীবনে আমি তাকে সাপোর্ট বা শেল্টার কোনোটাই দিইনি। এসব কাজের জন্য সব সময় আমি তাকে গালিগালাজ করতাম।’ এই গালিগালাজ যাঁকে করা হতো, তিনি যশোরের শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকুল হোসেন। যিনি গালিগালাজ করতেন, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শার্শার বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
অভিযোগ আছে, আশরাফুলসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন নেতার ছত্রছায়ায়ই অস্ত্র ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগ নেতা আকুল। সেই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে ওই কথাগুলো বলেন আশরাফুল।
অস্ত্র বিক্রি করতে ঢাকায় এসে গত বুধবার অনেক অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়েছেন আকুল। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর পাঁচ সহযোগীকেও। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর গত শনিবার আকুলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
ঘটনা তদন্তের সঙ্গে জড়িত গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক পদ ব্যবহার করে আকুল অস্ত্র ও গুলির ব্যবসা ছাড়াও মাদক, সোনা চোরাচালানে জড়িত। দেশে অবৈধ পথে যত গুলি আসে, তার একটি বড় অংশ এই ছাত্রনেতার নেটওয়ার্কেই আসত। এ কাজে বাংলাদেশ-ভারতে ২৪ সদস্যের এক বাহিনীও গড়ে তুলেছেন তিনি। এসব কাজে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বড় নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন এই ছাত্রলীগ নেতা।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর-১ আসনে (শার্শা) আওয়ামী লীগের রাজনীতি বেশ কয়েক বছর ধরে দুভাবে বিভক্ত। একাংশের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সাংসদ শেখ আফিলউদ্দিন। অন্য অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম। বিভক্তির কারণে শার্শা উপজেলা থেকে শুরু করে তৃণমূলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি কমিটি রয়েছে। দুই পক্ষই নিজেদের পছন্দমতো এ কমিটি দিয়েছে। ২০১২ সালে আশরাফুল আলমের দেওয়া কমিটিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন আকুল। রাজনীতির বাইরেও আকুলের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতেন এই নেতা।
২০১৯ সালের ১৫ জুন বেনাপোলে আকুলের বাড়ি থেকে ১২টি ম্যাগাজিন, ৩টি গুলি, ১টি বোমা, ৬টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বেনাপোল বন্দর থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হলেও শেষ পর্যন্ত অভিযোগপত্র থেকে আকুলের নাম বাদ পড়ে। গুঞ্জন আছে, তাঁর পক্ষে তদবির করেছিলেন আশরাফুল আলম।
এসব অভিযোগের বিষয়েই গত রোববার আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে আকুলকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব কাজের জন্য আমি সব সময় গালিগালাজ করতাম। তবে একটা ছেলের পদ-পজিশন থাকলে, সে কোনো না কোনো জায়গায় ওঠাবসা করে। সেভাবেই আমার সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল।’
যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধেও আকুলের অন্যায় কাজে প্রশ্রয় ও সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার বড় নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় আকুল এখনো রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তাঁকে সব সময় সাপোর্ট দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল। তিনিই আকুলকে সব বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।’
জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘আকুল একসময় আমার সঙ্গে রাজনীতি করত। আমি তখন তাকে দেখাশোনা করতাম। কিন্তু এখন সে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের এক বড় নেতার রাজনীতি করে। তাঁকেই নিতে হবে আকুলের অবৈধ কাজের দায়।’
পুলিশ সূত্র বলছে, রাজধানী ঢাকা, সীমান্তবর্তী যশোর, সাতক্ষীরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সক্রিয় রয়েছেন আকুলের অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের অর্ধশতাধিক সদস্য। ২০১৪ সাল থেকে তিনি অস্ত্র ব্যবসা করেন। গত ছয় বছরে ২০০টির বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছেন তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আকুল স্থানীয় ১০-১২ জন নেতার নাম জানিয়েছেন। তাঁরা আকুলের কাছ থেকে অস্ত্র কেনেন। এঁদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে মশিউর রহমান জানান, ভারতপ্রবাসী চাচাতো ভাইয়ের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের তিন মহাজনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনেন আকুল। মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে মেটান পাওনা। তারপর মহাজনের লোকজন সীমান্ত এলাকার আবাদি জমিতে পুঁতে রাখে অস্ত্র। হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেয়ে মাটি খুঁড়ে অস্ত্র বের করে আকুলের লোকজন। নজরদারি এড়াতে পানির জারের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয় অস্ত্র।
‘আমার জীবনে আমি তাকে সাপোর্ট বা শেল্টার কোনোটাই দিইনি। এসব কাজের জন্য সব সময় আমি তাকে গালিগালাজ করতাম।’ এই গালিগালাজ যাঁকে করা হতো, তিনি যশোরের শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকুল হোসেন। যিনি গালিগালাজ করতেন, তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শার্শার বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
অভিযোগ আছে, আশরাফুলসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন নেতার ছত্রছায়ায়ই অস্ত্র ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন ছাত্রলীগ নেতা আকুল। সেই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে ওই কথাগুলো বলেন আশরাফুল।
অস্ত্র বিক্রি করতে ঢাকায় এসে গত বুধবার অনেক অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়েছেন আকুল। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর পাঁচ সহযোগীকেও। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের পর গত শনিবার আকুলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
ঘটনা তদন্তের সঙ্গে জড়িত গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক পদ ব্যবহার করে আকুল অস্ত্র ও গুলির ব্যবসা ছাড়াও মাদক, সোনা চোরাচালানে জড়িত। দেশে অবৈধ পথে যত গুলি আসে, তার একটি বড় অংশ এই ছাত্রনেতার নেটওয়ার্কেই আসত। এ কাজে বাংলাদেশ-ভারতে ২৪ সদস্যের এক বাহিনীও গড়ে তুলেছেন তিনি। এসব কাজে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বড় নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন এই ছাত্রলীগ নেতা।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর-১ আসনে (শার্শা) আওয়ামী লীগের রাজনীতি বেশ কয়েক বছর ধরে দুভাবে বিভক্ত। একাংশের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সাংসদ শেখ আফিলউদ্দিন। অন্য অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম। বিভক্তির কারণে শার্শা উপজেলা থেকে শুরু করে তৃণমূলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি কমিটি রয়েছে। দুই পক্ষই নিজেদের পছন্দমতো এ কমিটি দিয়েছে। ২০১২ সালে আশরাফুল আলমের দেওয়া কমিটিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন আকুল। রাজনীতির বাইরেও আকুলের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতেন এই নেতা।
২০১৯ সালের ১৫ জুন বেনাপোলে আকুলের বাড়ি থেকে ১২টি ম্যাগাজিন, ৩টি গুলি, ১টি বোমা, ৬টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বেনাপোল বন্দর থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হলেও শেষ পর্যন্ত অভিযোগপত্র থেকে আকুলের নাম বাদ পড়ে। গুঞ্জন আছে, তাঁর পক্ষে তদবির করেছিলেন আশরাফুল আলম।
এসব অভিযোগের বিষয়েই গত রোববার আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে আকুলকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব কাজের জন্য আমি সব সময় গালিগালাজ করতাম। তবে একটা ছেলের পদ-পজিশন থাকলে, সে কোনো না কোনো জায়গায় ওঠাবসা করে। সেভাবেই আমার সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল।’
যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের বিরুদ্ধেও আকুলের অন্যায় কাজে প্রশ্রয় ও সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার বড় নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় আকুল এখনো রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তাঁকে সব সময় সাপোর্ট দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল। তিনিই আকুলকে সব বিপদ থেকে উদ্ধার করেন।’
জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘আকুল একসময় আমার সঙ্গে রাজনীতি করত। আমি তখন তাকে দেখাশোনা করতাম। কিন্তু এখন সে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের এক বড় নেতার রাজনীতি করে। তাঁকেই নিতে হবে আকুলের অবৈধ কাজের দায়।’
পুলিশ সূত্র বলছে, রাজধানী ঢাকা, সীমান্তবর্তী যশোর, সাতক্ষীরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সক্রিয় রয়েছেন আকুলের অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের অর্ধশতাধিক সদস্য। ২০১৪ সাল থেকে তিনি অস্ত্র ব্যবসা করেন। গত ছয় বছরে ২০০টির বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছেন তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আকুল স্থানীয় ১০-১২ জন নেতার নাম জানিয়েছেন। তাঁরা আকুলের কাছ থেকে অস্ত্র কেনেন। এঁদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে মশিউর রহমান জানান, ভারতপ্রবাসী চাচাতো ভাইয়ের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের তিন মহাজনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনেন আকুল। মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে মেটান পাওনা। তারপর মহাজনের লোকজন সীমান্ত এলাকার আবাদি জমিতে পুঁতে রাখে অস্ত্র। হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেয়ে মাটি খুঁড়ে অস্ত্র বের করে আকুলের লোকজন। নজরদারি এড়াতে পানির জারের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয় অস্ত্র।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৭ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৭ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৮ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে