পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
পাইকগাছায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। চারপাশে লবণপানি ভেতরে মিষ্টি পানির আঁধার তৈরি করে পাইকগাছার গড়ুইখালী ও দেলুটিতে তরমুজ চাষে সফল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছায় ১০টি ইউনিয়ন মধ্য ২টি ইউনিয়নে তরমুজ চাষ হয়েছে। লবণ পানির এলাকা হিসাবে পরিচিত গড়ুইখালী ও দেলুটি ইউনিয়ন। এ দুটি ইউনিয়ন শিবসা নদীর উপকূলে অবস্থিত। চারপাশে রয়েছে লবণ পানি। এর মধ্যে গড়ুইখালী ইউনিয়নের ঘোষখালী নদী ও দেলুটি ইউনিয়নের ডিহিবুড়া খাল খননে বৃষ্টির (মিষ্টি) পানি সংরক্ষণ করে তরমুজের চাষ করা হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজার দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। কেউ খেত হিসাবে তরমুজ বিক্রি করছেন আবার কেউবা পাইকারি বাজারে তরমুজ বিক্রি করছেন। এতে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। গড়ুইখালীতে সাড়ে ৫শ হেক্টর ও দেলুটি ইউনিয়নে ১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ তরমুজ খেত বিক্রি হয়ে গেছে। ৬০ শতাংশ তরমুজ কৃষকের খেতে রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বিগত বছরে তরমুজ চাষে আর্থিকভাবে লোকসান হলেও এবার লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।
দেলুটি ইউনিয়নের লোচন সরকার জানান, আমি ৫ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। আমার বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
গড়ুইখালী ইউনিয়নের কানাখালী গ্রামের দিপক কুমার মণ্ডল জানান, আমি চার বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমার জমিতে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছি। এ বছর কানাখালীতে ২ হাজার ৪শ বিঘা জমির মধ্য ২ হাজার ২শ বিঘা জমিতে তরমুজ, বাঙ্গির চাষ করেছি। এ জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। ধান কাটার পর তরমুজ লাগিয়েছি।
সাতক্ষীরা থেকে আসা একজন ক্রেতা আরশাদ আলী জানান, আমি ৪ বিঘার একটি খেত ২ লাখ ৭ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। অর্ধেক জমির তরমুজ ওঠানো হয়ে গেছ। বাকি তরমুজ ওঠানোর জন্য এসেছি। বাজরে দাম ভালো রয়েছে। এ তরমুজ আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১শ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। যার মধ্য গড়ুইখালীতে সাড়ে ৫শ হেক্টর ও দেলুটি ইউনিয়নে ১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে দেলুটি ইউনিয়নে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। মিষ্টি পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় তরমুজ চাষে সমস্যা হয়েছে। এসব এলাকায় খাল খনন করে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে পারলে তরমুজের চাষ আরও বাড়ানো যেত। প্রথমদিকে রমজানের কারণে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। এখনো পর্যন্ত বাজারে তরমুজের দাম সন্তোষজনক। ইতিমধ্যে উপজেলায় ৪০ ভাগ তরমুজ বিক্রি হয়ে গেছে। এ বছর বাম্পার ফলনের কারণে ভবিষ্যতে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাইকগাছায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। চারপাশে লবণপানি ভেতরে মিষ্টি পানির আঁধার তৈরি করে পাইকগাছার গড়ুইখালী ও দেলুটিতে তরমুজ চাষে সফল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছায় ১০টি ইউনিয়ন মধ্য ২টি ইউনিয়নে তরমুজ চাষ হয়েছে। লবণ পানির এলাকা হিসাবে পরিচিত গড়ুইখালী ও দেলুটি ইউনিয়ন। এ দুটি ইউনিয়ন শিবসা নদীর উপকূলে অবস্থিত। চারপাশে রয়েছে লবণ পানি। এর মধ্যে গড়ুইখালী ইউনিয়নের ঘোষখালী নদী ও দেলুটি ইউনিয়নের ডিহিবুড়া খাল খননে বৃষ্টির (মিষ্টি) পানি সংরক্ষণ করে তরমুজের চাষ করা হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজার দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। কেউ খেত হিসাবে তরমুজ বিক্রি করছেন আবার কেউবা পাইকারি বাজারে তরমুজ বিক্রি করছেন। এতে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। গড়ুইখালীতে সাড়ে ৫শ হেক্টর ও দেলুটি ইউনিয়নে ১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ তরমুজ খেত বিক্রি হয়ে গেছে। ৬০ শতাংশ তরমুজ কৃষকের খেতে রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বিগত বছরে তরমুজ চাষে আর্থিকভাবে লোকসান হলেও এবার লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।
দেলুটি ইউনিয়নের লোচন সরকার জানান, আমি ৫ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। আমার বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
গড়ুইখালী ইউনিয়নের কানাখালী গ্রামের দিপক কুমার মণ্ডল জানান, আমি চার বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমার জমিতে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছি। এ বছর কানাখালীতে ২ হাজার ৪শ বিঘা জমির মধ্য ২ হাজার ২শ বিঘা জমিতে তরমুজ, বাঙ্গির চাষ করেছি। এ জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। ধান কাটার পর তরমুজ লাগিয়েছি।
সাতক্ষীরা থেকে আসা একজন ক্রেতা আরশাদ আলী জানান, আমি ৪ বিঘার একটি খেত ২ লাখ ৭ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। অর্ধেক জমির তরমুজ ওঠানো হয়ে গেছ। বাকি তরমুজ ওঠানোর জন্য এসেছি। বাজরে দাম ভালো রয়েছে। এ তরমুজ আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১শ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। যার মধ্য গড়ুইখালীতে সাড়ে ৫শ হেক্টর ও দেলুটি ইউনিয়নে ১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে দেলুটি ইউনিয়নে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। মিষ্টি পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় তরমুজ চাষে সমস্যা হয়েছে। এসব এলাকায় খাল খনন করে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে পারলে তরমুজের চাষ আরও বাড়ানো যেত। প্রথমদিকে রমজানের কারণে চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে। এখনো পর্যন্ত বাজারে তরমুজের দাম সন্তোষজনক। ইতিমধ্যে উপজেলায় ৪০ ভাগ তরমুজ বিক্রি হয়ে গেছে। এ বছর বাম্পার ফলনের কারণে ভবিষ্যতে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
৩৪ মিনিট আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১ ঘণ্টা আগে