যশোর প্রতিনিধি
অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি তৃতীয়বারের মতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে সঙ্গে মোবাইল ফোন রাখার দায়ে ঋতকমল মণ্ডল নিলয় নামে একজন পরীক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা।
জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় আজ শনিবার ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২ টা-১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘এ’ ইউনিটে যবিপ্রবিতে আসন পড়ে তিন হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থীর। এর মধ্যে যবিপ্রবিতে উপস্থিত ছিল ৯৬ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী।
জানা যায়, যবিপ্রবির স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৩১৫ নম্বর রুমে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স কমিটির সদস্যরা ২৪০৮৬৫ রোল ধারী ওই শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ আটক করেন। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর থেকে জব্দকৃত মোবাইল ফোনের লোকেশন, ব্লুটুথ ও ইন্টারনেট কানেকশন চালু ছিল।
পরে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে নিলয় সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ‘ফোন বাসা থেকে ভাইব্রেট করা ছিল। বাসা থেকে ফোন নিয়ে বের হওয়ার পর ভাবছিলাম ফোন রাখব কোথায়? পরে পকেট থেকে বের করে আন্ডারওয়্যারের ভেতর রেখে পরীক্ষা দিতে বসেছি। পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা পর হলের স্যার একটা সিগন্যালে দেখতে পান আমার কাছে ফোন রয়েছে।’
এ সময় ওই পরীক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমি একেবারে প্রথম বেঞ্চে ছিলাম। এখানে বসে ফোন বের করে দেখা বা কিছু লেখা সম্ভব ছিল না। আমি সেকেন্ড টাইমার ছিলাম। আর পরীক্ষা দিতে পারব না। এটাই আমার শেষ সুযোগ ছিল। আমার কৃষিগুচ্ছে আর একটা পরীক্ষা বাকি আছে। সেটাতে সুযোগ না হলে আমাকে চরম বিপদে পড়তে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, ‘এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। ওই শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনটি আন্ডারওয়্যারের মধ্যে রাখায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শনাক্ত হয়নি। পরবর্তীতে পরীক্ষা শুরু হলে তৃতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সিগন্যাল শনাক্তের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ ধরা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।’
এদিকে, যবিপ্রবির জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি থেকে জানানো হয়, যবিপ্রবির চারটি ভবন ও যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য সকল ভবনের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা উপকমিটির সদস্যবৃন্দ, বিএনসিসিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি কেন্দ্রে অবৈধ ডিভাইস শনাক্তে শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে গঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্সও দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ভর্তি–ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করে।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে যবিপ্রবি কেন্দ্রে জিএসটির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা ব্লুটুথ চালুসহ একজন পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে তার পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যবিপ্রবিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার সময় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ছিলেন।
অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি তৃতীয়বারের মতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে সঙ্গে মোবাইল ফোন রাখার দায়ে ঋতকমল মণ্ডল নিলয় নামে একজন পরীক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা।
জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় আজ শনিবার ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২ টা-১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘এ’ ইউনিটে যবিপ্রবিতে আসন পড়ে তিন হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থীর। এর মধ্যে যবিপ্রবিতে উপস্থিত ছিল ৯৬ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী।
জানা যায়, যবিপ্রবির স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ৩১৫ নম্বর রুমে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স কমিটির সদস্যরা ২৪০৮৬৫ রোল ধারী ওই শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ আটক করেন। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর থেকে জব্দকৃত মোবাইল ফোনের লোকেশন, ব্লুটুথ ও ইন্টারনেট কানেকশন চালু ছিল।
পরে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে নিলয় সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ‘ফোন বাসা থেকে ভাইব্রেট করা ছিল। বাসা থেকে ফোন নিয়ে বের হওয়ার পর ভাবছিলাম ফোন রাখব কোথায়? পরে পকেট থেকে বের করে আন্ডারওয়্যারের ভেতর রেখে পরীক্ষা দিতে বসেছি। পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা পর হলের স্যার একটা সিগন্যালে দেখতে পান আমার কাছে ফোন রয়েছে।’
এ সময় ওই পরীক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমি একেবারে প্রথম বেঞ্চে ছিলাম। এখানে বসে ফোন বের করে দেখা বা কিছু লেখা সম্ভব ছিল না। আমি সেকেন্ড টাইমার ছিলাম। আর পরীক্ষা দিতে পারব না। এটাই আমার শেষ সুযোগ ছিল। আমার কৃষিগুচ্ছে আর একটা পরীক্ষা বাকি আছে। সেটাতে সুযোগ না হলে আমাকে চরম বিপদে পড়তে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, ‘এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। ওই শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনটি আন্ডারওয়্যারের মধ্যে রাখায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শনাক্ত হয়নি। পরবর্তীতে পরীক্ষা শুরু হলে তৃতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সিগন্যাল শনাক্তের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ ধরা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।’
এদিকে, যবিপ্রবির জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি থেকে জানানো হয়, যবিপ্রবির চারটি ভবন ও যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য সকল ভবনের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা উপকমিটির সদস্যবৃন্দ, বিএনসিসিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি কেন্দ্রে অবৈধ ডিভাইস শনাক্তে শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে গঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্সও দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ভর্তি–ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করে।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে যবিপ্রবি কেন্দ্রে জিএসটির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা ব্লুটুথ চালুসহ একজন পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে তার পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যবিপ্রবিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার সময় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ছিলেন।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৬ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৭ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৭ ঘণ্টা আগে