শেরপুর-২: শেষ দিকে প্রচারণা জমলেও নির্ভার মতিয়া

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩: ০৯
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ১৭

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা হাটবাজারে ভোট চাওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনী জনসভায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে করছেন ভোট প্রার্থনা। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। 

এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য টানা সপ্তমবারের মতো নৌকা প্রতীকের হেভিওয়েট প্রার্থী সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীর সঙ্গে নির্বাচনে লড়ছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া (মশাল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ আঙ্গুর (ঈগল)। 

জয়ের ব্যাপারে নির্ভার হয়েও শুরু থেকেই ভোট প্রার্থনা করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মতিয়া চৌধুরী। শুরুর দিকে মতিয়া চৌধুরী ছাড়া ভোটের মাঠে কাউকে দেখা না গেলেও শেষ সময়ে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীও নির্বাচনী মাঠের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। জয়ী হওয়ার ব্যাপারেও তাঁরা যথেষ্ট আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। 

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর-২ সংসদীয় আসন নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১২ হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৩৯ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ১০ হাজার ২৭১ জন। 

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেগম মতিয়া চৌধুরী এই আসন থেকে পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে কৃষিমন্ত্রী এবং দলের সিনিয়র নেতা হওয়ার সুবাদে নাকুগাঁও স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দরে রূপান্তরিত করার পাশাপাশি এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। অনেকটা নিরুত্তাপ ভোটের মাঠে মতিয়া চৌধুরী রয়েছেন নির্ভার, তাঁর বিজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র—এমনটাই আলোচনা পথেঘাটে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ আঙ্গুর বলছেন, ‘আমি জয়ী হলে এলাকার সব ধরনের উন্নয়নে অবদান রাখব। মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজের উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙব। আমার সব ওয়াদা আমি পূরণ করব।’ 

এদিকে পাঁচ দিন প্রচার বন্ধ রেখে আবারও প্রচারণায় সরব হয়েছেন জাসদ মনোনীত প্রার্থী লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিনিও ভোট প্রার্থনা করছেন। 

তিনি বলছেন, ‘একটি মহল আমাকে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছে। তাই আমি পাঁচ দিন প্রচারণা বন্ধ রেখেছিলাম। এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করার লক্ষ্যেই আমি প্রার্থী হয়েছি।’ 

এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেগম মতিয়া চৌধুরী জয়ের ব্যাপারে নির্ভার হয়েও প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় নির্বাচনী পথসভা করে সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন। 

মতিয়া চৌধুরী বলছেন, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই খাটো নয়। সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত