Ajker Patrika

একই জমিতে ৪ জাতের তরমুজ চাষ করে সফল তরুণ উদ্যোক্তা

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ মে ২০২৩, ১৪: ১৯
একই জমিতে ৪ জাতের তরমুজ চাষ করে সফল তরুণ উদ্যোক্তা

একই জমিতে চার জাতের তরমুজ চাষ করেছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ইমরান নামের এক তরুণ উদ্যোক্তা। পেয়েছেন ব্যবসায়ী সফলতাও। ওপরে হলুদ ভেতরে লাল, ওপরে সবুজ ভেতরে লাল, ওপরে কালো ভেতরে লাল আবার ওপরে সবুজ ভেতরে হলুদ রঙের তরমুজ রয়েছে তাঁর জমিতে।

প্রথমবারেই ব্যাপক ফলন এবং বাজারদর ভালো হওয়ায় খরচ পুষিয়ে তিন গুণ লাভের আশা করছেন ওই তরুণ। বাহারি রঙের তরমুজ দেখতে প্রতিদিন তাঁর বাগানে ভিড় করছে আশপাশের ও দূর-দূরান্তের লোকজন।

উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের খামা গ্রামের যুবক ইমরান হোসেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৩৩ শতক জমিতে চার জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এতে প্রথম চাষাবাদেই তিনি সফলতা পেয়েছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় খামা গ্রামের ইমরান হোসেনকে উচ্চফলনশীল জাতের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় তরমুজ চাষ খুবই লাভজনক ও সাশ্রয়ী। ইমরান হোসেন তাঁর ৩৩ শতক জমিতে চার জাতের তরমুজের আবাদ করেছেন। এতে প্রথমবারেই তিনি বেশ সফলতা পেয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং জৈব সার প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ফলন ভালো হয়েছে। অসময়ের তরমুজ স্থানীয় বাজারে বেশ কদর পাচ্ছে। তাই এ থেকে তিনি আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সরেজমিন খামা গ্রামে ইমরানের তরমুজের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে মাচার ফাঁকে ফাঁকে সুতার জালিতে বাঁধা শত শত তরমুজ। নানা রঙের তরমুজ ঝুলে আছে পুরো মাচায়। বাগানে পনেরো-ষোলো শ গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে চার-পাঁচটি করে তরমুজ ধরেছে। একেকটি তরমুজের গড় ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি। দর্শনার্থীরা বাহারি রঙের তরমুজের বাগান দেখতে ছুটে আসছেন। কেউ খেয়ে পরখ করছেন, আবার কেউ পরিবারের জন্য কিনে নিচ্ছেন।

ইমরান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তরমুজ চাষে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ৩০-৪০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রয় করেছি। এখনো বাগানে যে পরিমাণ তরমুজ রয়েছে তাতে খরচ পুষিয়ে তিন গুণ লাভ হবে বলে আশা করছি।’

তরমুজের বাগান দেখতে এসেছেন আবু বক্কর ছিদ্দিক, শামসুদ্দিন সুমন, মাহফুজুল করিম উজ্জ্বল নামের কয়েকজন দর্শনার্থী। তাঁদের সঙ্গে আজকের পত্রিকার কথা হলে তাঁরা জানান, লোকমুখে শুনে হলুদ রঙের তরমুজের বাগান দেখতে এসেছেন। এই জাতের তরমুজ ওপরে হলুদ ভেতরে টকটকে লাল। খেয়ে খুবই সুস্বাদু লেগেছে। আবার সবুজ রঙের তরমুজের ভেতরে হলুদ। এটিও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (আঙিয়াদী বক) মোহাম্মদ হামিমুল হক সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অসময়ে তরমুজ চাষ খুবই লাভজনক একটি ফসল। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বেকার তরুণ-যুবকদের লাভজনক চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে তাঁরা বেশ সফলতা পাচ্ছেন। ইমরানের পাশাপাশি অন্য যুবকেরাও কৃষিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত