বন্যা পরিস্থিতি: ময়মনসিংহে আরও অবনতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১: ৪৪

ময়মনসিংহে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম। এ নিয়ে এই তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়নে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। তবে নেত্রকোনা ও শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কমতে শুরু করেছে সেখানকার পানি। বানভাসিরা জানিয়েছেন, সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তাঁদের অনেকেই ত্রাণ পাননি। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহায়তা পৌঁছানো হয়েছে।

ময়মনসিংহে নতুন করে প্লাবিত 
আরও ৫০ গ্রাম: কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে এ তিন উপজেলার আরও অন্তত ৫০টি গ্রাম।

সোমবার দুপুরে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন নারী-শিশুসহ দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তিন উপজেলায় ৬৩ টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া রান্না করা খাবারও দেওয়া হচ্ছে বন্যাদুর্গতদের।

ধোবাউড়া সদর উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের কুলসুম আক্তার বলেন, ‘চার দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছি। বাড়ির উঠান ও চারপাশে হাঁটুপানির কারণে রান্নাও করা যাচ্ছে না। হাঁস-মুরগিগুলো মরে গেছে। কেউ একটু সহযোগিতাও করেনি।’ ফুলপুর উপজেলার ছনধরা, রামভদ্রপুর, সিংহেশ্বর ও ফুলপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ ও অন্যান্য ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

এর মধ্যে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ১০টি গ্রাম। এসব এলাকার আমন ফসল ও সবজিখেত তলিয়ে গেছে। 

পানি কমলেও নেত্রকোনায় বাড়ছে দুর্ভোগ
এদিকে বৃষ্টি না থাকায় নেত্রকোনায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। এতে স্বস্তি ফিরছে ভুক্তভোগী কয়েক হাজার পরিবারে। তবে পানি কমতে থাকায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ভেসে উঠছে ভেঙে যাওয়া রাস্তার খানাখন্দ। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্থানীয়রা।

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জেলার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও পূর্বধলা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে ২০-৩০ হাজার মানুষ। শতাধিক বিদ্যালয়ে পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। ১৭ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান তলিয়ে যায়।

পূর্বধলায় নাটেরকোনা এলাকায় একটি ফসল রক্ষা বাঁধ গত রোববার বিকেলে ভেঙে গিয়ে ৭-৮টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়। তবে সোমবার সেখান থেকেও পানি নামতে শুরু করেছে।

জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, সব জায়গায় পানি কমতে শুরু করেছে। শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কয়েক শ পরিবারকে এ পর্যন্ত ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে। 

শেরপুরে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ
শেরপুরে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। এতে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো পানিবন্দী রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। দুর্ভোগে রয়েছে পানিবন্দী এলাকার মানুষজন। বানভাসি মানুষদের দাবি, এখনো অনেকে ত্রাণ পাননি। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সহায়তা পৌঁছানো হয়েছে। কৃষি বিভাগ ও মৎস্য

বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এখনো ৩৩ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ৬ হাজারের বেশি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত