আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
থানার পাশে ফুলের গাছ খেয়েছিল কয়েকটি ছাগল। আর এই কারণে এলাকার ১৪টি ছাগলকে রেলওয়ে থানার একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। এরপর টাকার বিনিময়ে ছাগলগুলোকে মালিকদের ছাড়িয়ে নিতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে থানায়।
গত শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ সদস্যরা ১৪টি ছাগল থানায় নিয়ে আটক করে রাখেন। এই থানার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য থানার পাশে খোলা জায়গায় কিছু ফুলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি কিছু গাছ লাগান। আর সেই গাছগুলো ছাগল খেয়ে ফেলে। এরপর তিনি একে একে ১৪টি ছাগলগুলো ধরে নিয়ে আসেন পুলিশ সদস্যদের দিয়ে। আটক রাখা হয় থানা এলাকায় আলামতের ঘরে।
ছাগল মালিকেরা তাঁদের ছাগলগুলো খোঁজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে জানতে পারেন ফুলের গাছ খাওয়ায় রেলওয়ে থানায় আটক রাখা হয়েছে ছাগলগুলো।
পরে ছাগল মালিকেরা ছাগল নিতে গেলে থানার ওসি বলেন, রেলের ভেতরে ছাগল এসেছে কেন? ছাগলগুলো ফুলের গাছ খেয়েছে। তাই গাছ কিনে দিতে হবে। তা ছাড়া দেওয়া হবে না। এরপর বিপাকে পড়েন ওই সব দরিদ্র ছাগল মালিকেরা। বাধ্য হয়ে তারা টাকা দিয়ে ছাগল ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে থানার পাশে খোঁয়াড়ের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে ছাগলগুলোকে রাখা হয়নি। বরং টাকা আদায় করে ছাগলগুলোকে মালিকদের জিম্মায় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ছাগল নিতে আসা শহরের চা বাগান এলাকার সিয়াম নামের এক স্কুলছাত্র বলে, ‘আমার খালার চারটি ছাগল আটক রেখেছিল রেলওয়ে থানায়। আমি নিতে গেলে প্রথমে ৭০০ টাকা চাওয়া হয়। আমার সঙ্গে একজন ছিলেন। অনেক অনুরোধের পর ৩০০ টাকা দিয়ে ছাগলগুলো নিয়ে আসতে হয়েছে। পুলিশের পোশাক পড়ে একজন (কনস্টেবল) নিয়েছেন। ফুলের গাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগলগুলো আটক রাখা হয়েছিল। তাই টাকা দিয়ে ছাড়তে হয়েছে।’
এই ছাগলগুলোর মালিক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, ‘আমি জানতে পারি আমার চারটি ছাগল ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে থানায়। পরে ৩০০ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে নিয়ে আসতে হয়েছে ছাগলগুলোকে।’
এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ছাগল নিয়ে ভাবার কোনো সময় নেই। এভাবে ছাগল ঢোকার কথা না, তার ওপর আবার আমার বাগানে এসে ফুলের গাছ খেয়েছে। থানার পুলিশ সদস্যরা দেখতে পেয়ে ছাগলগুলো আটক করে নিয়ে আসেন।’
কয়টি ছাগল ধরে নিয়ে আসা হয় এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছাগলের সংখ্যা মনে নেই। তবে পরবর্তীতে ছাগলগুলো মালিকদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘কেউ যদি বলতে পারেন টাকা নেওয়া হয়েছে, তাঁকে থানায় নিয়ে আসেন, আমি তাঁর সামনে সব পুলিশ সদস্যদের হাজির করব কে নিয়েছেন।’
থানার পাশে ফুলের গাছ খেয়েছিল কয়েকটি ছাগল। আর এই কারণে এলাকার ১৪টি ছাগলকে রেলওয়ে থানার একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। এরপর টাকার বিনিময়ে ছাগলগুলোকে মালিকদের ছাড়িয়ে নিতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে থানায়।
গত শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ সদস্যরা ১৪টি ছাগল থানায় নিয়ে আটক করে রাখেন। এই থানার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য থানার পাশে খোলা জায়গায় কিছু ফুলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি কিছু গাছ লাগান। আর সেই গাছগুলো ছাগল খেয়ে ফেলে। এরপর তিনি একে একে ১৪টি ছাগলগুলো ধরে নিয়ে আসেন পুলিশ সদস্যদের দিয়ে। আটক রাখা হয় থানা এলাকায় আলামতের ঘরে।
ছাগল মালিকেরা তাঁদের ছাগলগুলো খোঁজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে জানতে পারেন ফুলের গাছ খাওয়ায় রেলওয়ে থানায় আটক রাখা হয়েছে ছাগলগুলো।
পরে ছাগল মালিকেরা ছাগল নিতে গেলে থানার ওসি বলেন, রেলের ভেতরে ছাগল এসেছে কেন? ছাগলগুলো ফুলের গাছ খেয়েছে। তাই গাছ কিনে দিতে হবে। তা ছাড়া দেওয়া হবে না। এরপর বিপাকে পড়েন ওই সব দরিদ্র ছাগল মালিকেরা। বাধ্য হয়ে তারা টাকা দিয়ে ছাগল ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে থানার পাশে খোঁয়াড়ের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে ছাগলগুলোকে রাখা হয়নি। বরং টাকা আদায় করে ছাগলগুলোকে মালিকদের জিম্মায় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ছাগল নিতে আসা শহরের চা বাগান এলাকার সিয়াম নামের এক স্কুলছাত্র বলে, ‘আমার খালার চারটি ছাগল আটক রেখেছিল রেলওয়ে থানায়। আমি নিতে গেলে প্রথমে ৭০০ টাকা চাওয়া হয়। আমার সঙ্গে একজন ছিলেন। অনেক অনুরোধের পর ৩০০ টাকা দিয়ে ছাগলগুলো নিয়ে আসতে হয়েছে। পুলিশের পোশাক পড়ে একজন (কনস্টেবল) নিয়েছেন। ফুলের গাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগলগুলো আটক রাখা হয়েছিল। তাই টাকা দিয়ে ছাড়তে হয়েছে।’
এই ছাগলগুলোর মালিক আব্দুর রহিম বাবু বলেন, ‘আমি জানতে পারি আমার চারটি ছাগল ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে থানায়। পরে ৩০০ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে নিয়ে আসতে হয়েছে ছাগলগুলোকে।’
এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ছাগল নিয়ে ভাবার কোনো সময় নেই। এভাবে ছাগল ঢোকার কথা না, তার ওপর আবার আমার বাগানে এসে ফুলের গাছ খেয়েছে। থানার পুলিশ সদস্যরা দেখতে পেয়ে ছাগলগুলো আটক করে নিয়ে আসেন।’
কয়টি ছাগল ধরে নিয়ে আসা হয় এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছাগলের সংখ্যা মনে নেই। তবে পরবর্তীতে ছাগলগুলো মালিকদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘কেউ যদি বলতে পারেন টাকা নেওয়া হয়েছে, তাঁকে থানায় নিয়ে আসেন, আমি তাঁর সামনে সব পুলিশ সদস্যদের হাজির করব কে নিয়েছেন।’
রাজধানীর গুলশানের একটি বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে শতাধিক ব্যক্তি। বাড়িটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের বলে দাবি করেন তারা। ওই বাড়িতে গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা হত্যাকারীরা আশ্রয় নিয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্র...
৩ মিনিট আগে‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৯ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
৯ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
৯ ঘণ্টা আগে