সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফ এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করেছেন। তিনি টেবিলে পিস্তল রেখে ক্লাস নিতেন বলে মেডিকেল কলেজটির শিক্ষার্থীদের ভাষ্য।
রায়হান শরীফের বাবা আব্দুর রাজ্জাক সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজ ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের শিমলা গ্রামে। বর্তমানে রায়হান শরীফ পরিবার নিয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের পাশের একটি ভবনে বসবাস করেন।
এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক রায়হান শরীফের বাবা আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ দিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার ও কলেজ থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন আহমেদ শুভ বলেন, ‘ওই শিক্ষক সব সময় গরম দেখাতেন। অস্ত্র নিয়ে ক্লাসে আসতেন। শিক্ষার্থীরা ভয়ে কিছু বলতে পারত না। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষা অবগত করেছি। তারপরও কিছু হয়নি। শিক্ষক বলেন, আমি মেডিকেল কলেজে লেখাপড়ার সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় আমি জানি। সকালে তিনি ভাইভা ক্লাসে আসেন। এসে আমাদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, পরীক্ষার একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে গুলি করে মারা হবে। তখন শিক্ষার্থীরা সবাই ভয় পেয়ে যায়। আমরা প্রতিবাদ করলে তিনি গুলি ছুড়ে মারেন এবং গুলিতে তমাল আহত হয়।’
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রওনক জাহান রিজা বলেন, ‘কোনো কারণ নেই। তিনি যখন ক্লাস নিতে আসেন প্রথমেই ব্যাগ থেকে পিস্তল ও ধারালো ছুরি বের করে টেবিলের ওপর রাখতেন। তারপর পিস্তলে গুলি লোড করে আমাদের দিকে তাক করে রাখেন। এমনটাই তিনি সব সময় করে থাকেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি ক্লাস করার জন্য ডেকেছিলেন আমাদের। সন্ধ্যায় তো ক্লাস থাকার কথা না। কারণ ক্লাস সিডিউল দুপুর ৩টা পর্যন্ত। তাঁর ক্লাসে না যাওয়ার কারণে তিনি আমাদের ফোন করেন। তোরা কেন ফোন কল ব্যাক করিসনি। আজ তোদের বুঝিয়ে দেব। একটা প্রশ্নের উত্তর পারবি না তো গুলি করে মেরে ফেলব। এই বলে গুলি করেন।’
কলেজের আরেক শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ‘আমাদের ভয় দেখানোর জন্য তিনি পিস্তল নিয়ে ক্লাসে আসতেন। কলেজে যখন থেকে ভর্তি হয়েছি তখন থেকে দেখতাম তিনি ক্লাসরুমে পিস্তল নিয়ে ঢুকতেন এবং টিবিলের ওপর পিস্তল ও গুলি রেখে দিতেন। শুধু তাই নয়, ছাত্রীদের তিনি কুপ্রস্তাব দিতেন। ছাত্রীদের মোবাইলে মেসেজ দিতেন তাঁর কাছে আসার জন্য।’
কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. আব্দুল্লাহ হেল কাফিও বলেন, রায়হান শরীফ অস্ত্র নিয়ে কলেজে আসতেন। তিনি বলেন, ‘এটা সবাই জানে। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি। অধ্যক্ষ ওপরের মহলকেও বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান বলেন, শিক্ষকের ব্যবহৃত অস্ত্রটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। অস্ত্রের কাগজপত্র না থাকলে অস্ত্র আইনে মামলা হবে।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলহাজ উদ্দিন জানান, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজশিক্ষকের কাছ থেকে পিস্তলটি জব্দ করা হয়েছে। এটি ৭ দশমিক ৬ এমএম মডেলের পিস্তল বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ক্লাস চলাকালে শিক্ষক রায়হান শরীফের হাতে থাকা পিস্তলের গুলিতে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রীরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিরও অভিযোগ তোলেন। অভিযুক্ত শিক্ষক রায়হান শরীফকে আটক করেছে পুলিশ।
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফ এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করেছেন। তিনি টেবিলে পিস্তল রেখে ক্লাস নিতেন বলে মেডিকেল কলেজটির শিক্ষার্থীদের ভাষ্য।
রায়হান শরীফের বাবা আব্দুর রাজ্জাক সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজ ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের শিমলা গ্রামে। বর্তমানে রায়হান শরীফ পরিবার নিয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের পাশের একটি ভবনে বসবাস করেন।
এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক রায়হান শরীফের বাবা আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ দিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার ও কলেজ থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন আহমেদ শুভ বলেন, ‘ওই শিক্ষক সব সময় গরম দেখাতেন। অস্ত্র নিয়ে ক্লাসে আসতেন। শিক্ষার্থীরা ভয়ে কিছু বলতে পারত না। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষা অবগত করেছি। তারপরও কিছু হয়নি। শিক্ষক বলেন, আমি মেডিকেল কলেজে লেখাপড়ার সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় আমি জানি। সকালে তিনি ভাইভা ক্লাসে আসেন। এসে আমাদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, পরীক্ষার একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে গুলি করে মারা হবে। তখন শিক্ষার্থীরা সবাই ভয় পেয়ে যায়। আমরা প্রতিবাদ করলে তিনি গুলি ছুড়ে মারেন এবং গুলিতে তমাল আহত হয়।’
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রওনক জাহান রিজা বলেন, ‘কোনো কারণ নেই। তিনি যখন ক্লাস নিতে আসেন প্রথমেই ব্যাগ থেকে পিস্তল ও ধারালো ছুরি বের করে টেবিলের ওপর রাখতেন। তারপর পিস্তলে গুলি লোড করে আমাদের দিকে তাক করে রাখেন। এমনটাই তিনি সব সময় করে থাকেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি ক্লাস করার জন্য ডেকেছিলেন আমাদের। সন্ধ্যায় তো ক্লাস থাকার কথা না। কারণ ক্লাস সিডিউল দুপুর ৩টা পর্যন্ত। তাঁর ক্লাসে না যাওয়ার কারণে তিনি আমাদের ফোন করেন। তোরা কেন ফোন কল ব্যাক করিসনি। আজ তোদের বুঝিয়ে দেব। একটা প্রশ্নের উত্তর পারবি না তো গুলি করে মেরে ফেলব। এই বলে গুলি করেন।’
কলেজের আরেক শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, ‘আমাদের ভয় দেখানোর জন্য তিনি পিস্তল নিয়ে ক্লাসে আসতেন। কলেজে যখন থেকে ভর্তি হয়েছি তখন থেকে দেখতাম তিনি ক্লাসরুমে পিস্তল নিয়ে ঢুকতেন এবং টিবিলের ওপর পিস্তল ও গুলি রেখে দিতেন। শুধু তাই নয়, ছাত্রীদের তিনি কুপ্রস্তাব দিতেন। ছাত্রীদের মোবাইলে মেসেজ দিতেন তাঁর কাছে আসার জন্য।’
কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. আব্দুল্লাহ হেল কাফিও বলেন, রায়হান শরীফ অস্ত্র নিয়ে কলেজে আসতেন। তিনি বলেন, ‘এটা সবাই জানে। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি। অধ্যক্ষ ওপরের মহলকেও বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান বলেন, শিক্ষকের ব্যবহৃত অস্ত্রটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। অস্ত্রের কাগজপত্র না থাকলে অস্ত্র আইনে মামলা হবে।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলহাজ উদ্দিন জানান, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজশিক্ষকের কাছ থেকে পিস্তলটি জব্দ করা হয়েছে। এটি ৭ দশমিক ৬ এমএম মডেলের পিস্তল বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ক্লাস চলাকালে শিক্ষক রায়হান শরীফের হাতে থাকা পিস্তলের গুলিতে তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রীরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিরও অভিযোগ তোলেন। অভিযুক্ত শিক্ষক রায়হান শরীফকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজধানীর গুলশানের একটি বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে শতাধিক ব্যক্তি। বাড়িটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের বলে দাবি করেন তারা। ওই বাড়িতে গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা হত্যাকারীরা আশ্রয় নিয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্র...
২ মিনিট আগে‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৯ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
৯ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
৯ ঘণ্টা আগে