রাজশাহী প্রতিনিধি
দুজনেই নৌকার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন নৌকা ডুবোতে সক্ষম হন। নির্বাচিত হন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তবে অন্যজন হেরেছিলেন নৌকার কাছে। এবার এঁরা দুজনেই হয়েছেন নৌকার মাঝি। আগামী ৫ জানুয়ারির পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ তাঁদের দলীয় প্রার্থী করে মনোনয়ন দিয়েছে।
তাঁরা হলেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৪ নম্বর হামিরকুৎসা ইউপির আনোয়ার হোসেন এবং ১৫ নম্বর যোগীপাড়া ইউপির এম এফ মাজেদুল। আনোয়ার এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর মাজেদুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। এঁদের মধ্যে আনোয়ার হামিরকুৎসা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী সাফিনুর নাহারকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আনোয়ার হোসেন তখনো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে যোগীপাড়ায় দলীয় প্রার্থী মোস্তাফা কামাল প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ভোট করে পরাজিত হন উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক এম এফ মাজেদুল। ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হলেও আনোয়ার বা মাজেদুলকে বহিষ্কার করা হয়নি। উল্টো গত বছরের সম্মেলনে ভোট ছাড়াই আনোয়ারকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর যুবলীগ থেকে আওয়ামী লীগে এসেছেন মাজেদুল। এবার তাঁরা পেলেন নৌকার টিকিট।
অবশ্য ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনের জন্যও তাঁরা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তখন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুর মধ্যে তুমুল বিরোধ। ভোটে সাংসদের প্রভাব বিস্তার নিয়ে ইউনিয়নে ইউনিয়নে শুরু হয় সহিংসতা। ফলে নির্বাচন কমিশন বাগমারার ১৬ ইউনিয়নেরই ভোট স্থগিত করে দেয়।
পরে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করলে হামিরকুৎসা ও যোগীপাড়ায় প্রার্থী বদল করে আওয়ামী লীগ। নৌকা পেয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সাফিনুর নাহার ও মোস্তফা কামাল প্রামাণিক। কিন্তু মাজেদুল ও আনোয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করেন। তখন সংসদ সদস্যের কথায় খোদ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারাই নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেন বলে অভিযোগ আছে। এবারও সংসদ সদস্যের এ দুই অনুসারী মনোনয়ন পেলেন।
মাজেদুল ও আনোয়ার বলেছেন, গতবার তাঁরা প্রথমে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ভোটগ্রহণের আগের দিন নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। তাই পরে নৌকা না পেলেও তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তবে এ দুই বিদ্রোহীকে এবার মনোনয়ন দেওয়ায় মনোনয়নবঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা বলছেন, সংসদ সদস্য এনামুল হক প্রভাব খাটিয়ে শুধু তাঁর অনুসারীদের মনোনয়ন এনে দিয়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য এনামুল হককে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
এবারের নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত ও গতবারের নৌকার প্রার্থী সাফিনুর নাহারের নম্বরে শুক্রবার দুপুরে ফোন করা হলে তাঁর স্বামী আবদুল বারী ধরেন। তিনি জানান, সাফিনুর এখন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সামনে বসে বিদ্রোহীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বাগমারা উপজেলা পরিষদেরই চেয়ারম্যান। গতবারের দুই বিদ্রোহীকে এবার মনোনয়নের সুপারিশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’ অনিল কুমার সরকারই কথা বলার জন্য বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ারকে ফোনটি দেন। তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা করে উপজেলা কমিটিতে দিয়েছে। উপজেলা কমিটি সেটা জেলায় দিয়েছে, জেলা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। তালিকায় চার-পাঁচজনের নাম ছিল। কেন্দ্র যাঁকে পছন্দ করেছে, তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। এ বিষয়ে আর কোনো কথা নেই।’
দুজনেই নৌকার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন নৌকা ডুবোতে সক্ষম হন। নির্বাচিত হন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তবে অন্যজন হেরেছিলেন নৌকার কাছে। এবার এঁরা দুজনেই হয়েছেন নৌকার মাঝি। আগামী ৫ জানুয়ারির পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ তাঁদের দলীয় প্রার্থী করে মনোনয়ন দিয়েছে।
তাঁরা হলেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৪ নম্বর হামিরকুৎসা ইউপির আনোয়ার হোসেন এবং ১৫ নম্বর যোগীপাড়া ইউপির এম এফ মাজেদুল। আনোয়ার এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর মাজেদুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। এঁদের মধ্যে আনোয়ার হামিরকুৎসা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী সাফিনুর নাহারকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আনোয়ার হোসেন তখনো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে যোগীপাড়ায় দলীয় প্রার্থী মোস্তাফা কামাল প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ভোট করে পরাজিত হন উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক এম এফ মাজেদুল। ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হলেও আনোয়ার বা মাজেদুলকে বহিষ্কার করা হয়নি। উল্টো গত বছরের সম্মেলনে ভোট ছাড়াই আনোয়ারকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর যুবলীগ থেকে আওয়ামী লীগে এসেছেন মাজেদুল। এবার তাঁরা পেলেন নৌকার টিকিট।
অবশ্য ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনের জন্যও তাঁরা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তখন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুর মধ্যে তুমুল বিরোধ। ভোটে সাংসদের প্রভাব বিস্তার নিয়ে ইউনিয়নে ইউনিয়নে শুরু হয় সহিংসতা। ফলে নির্বাচন কমিশন বাগমারার ১৬ ইউনিয়নেরই ভোট স্থগিত করে দেয়।
পরে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করলে হামিরকুৎসা ও যোগীপাড়ায় প্রার্থী বদল করে আওয়ামী লীগ। নৌকা পেয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সাফিনুর নাহার ও মোস্তফা কামাল প্রামাণিক। কিন্তু মাজেদুল ও আনোয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করেন। তখন সংসদ সদস্যের কথায় খোদ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারাই নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেন বলে অভিযোগ আছে। এবারও সংসদ সদস্যের এ দুই অনুসারী মনোনয়ন পেলেন।
মাজেদুল ও আনোয়ার বলেছেন, গতবার তাঁরা প্রথমে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ভোটগ্রহণের আগের দিন নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। তাই পরে নৌকা না পেলেও তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তবে এ দুই বিদ্রোহীকে এবার মনোনয়ন দেওয়ায় মনোনয়নবঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা বলছেন, সংসদ সদস্য এনামুল হক প্রভাব খাটিয়ে শুধু তাঁর অনুসারীদের মনোনয়ন এনে দিয়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য এনামুল হককে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
এবারের নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত ও গতবারের নৌকার প্রার্থী সাফিনুর নাহারের নম্বরে শুক্রবার দুপুরে ফোন করা হলে তাঁর স্বামী আবদুল বারী ধরেন। তিনি জানান, সাফিনুর এখন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সামনে বসে বিদ্রোহীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বাগমারা উপজেলা পরিষদেরই চেয়ারম্যান। গতবারের দুই বিদ্রোহীকে এবার মনোনয়নের সুপারিশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’ অনিল কুমার সরকারই কথা বলার জন্য বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ারকে ফোনটি দেন। তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা করে উপজেলা কমিটিতে দিয়েছে। উপজেলা কমিটি সেটা জেলায় দিয়েছে, জেলা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। তালিকায় চার-পাঁচজনের নাম ছিল। কেন্দ্র যাঁকে পছন্দ করেছে, তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। এ বিষয়ে আর কোনো কথা নেই।’
সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, হবিগঞ্জ জেলা সদরের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চালু করা হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজটির জন্য যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করতে হবে। এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে ইতিমধ্যে একটি ব্যাচ এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করলেও এখন...
৩ মিনিট আগেঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ট্রাফিক আইন অমান্য করে উল্টো পথে নারায়ণগঞ্জ শহরে ঢুকছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন। কিন্তু উল্টো পথে চলাচলে বাধা দেয় ট্রাফিক স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা। আর তাতেই রেগে আগুন হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন তিনি; যার ভিডিও...
২৫ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরের নাজির শাহিন আলমকে মোবাইলে হুমকির পর মারপিটের ঘটনায় মনিরামপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে...
৪৪ মিনিট আগেসিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের জুমপাড়ে গ্রাম প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ রক্ষায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছে এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার বাদ জুমা স্থানীয় ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে জাফলং বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কান্দুবস্তিসংলগ্ন জুমপাড়ে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধে গিয়ে শেষ হয়।
১ ঘণ্টা আগে