প্রতিনিধি, বেড়া (পাবনা)
পাবনা জেলার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে তৈরি হচ্ছে মৎস্য উৎপাদনের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধ জাল ‘চায়না দোয়ার’। লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় কারণে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এ জাল তৈরির কারখানা। মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে উৎপাদন বন্ধের চেষ্টা করলেও তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাই দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে নিষিদ্ধ জাল চায়না দোয়ারের ব্যবহার। এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে চায়না দোয়ারের ভয়ংকর এ জাল।
এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়না থেকে আমদানি করে এ দেশের মাছ শিকারিদের কাছে অভিনব ফাঁদ হিসেবে পরিচিতি করে তোলেন ঢাকার কিছু জাল ব্যবসায়ী। বছর তিনেক আগে লোহার তারের খাঁচা ও নেট দিয়ে তৈরি এ পণ্যটি প্রথম দেশের বাজারে এসেছে। ওই বছর প্রতিটি দোয়ার ৮-১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। পরের বছর ঢাকার ব্যবসায়ীরা সে পণ্যটি নিজেরাই উৎপাদন করে তা ৫-৬ হাজার টাকা বিক্রি করেন। আর এ বছর এটির উৎপাদনে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যুক্ত হলে তা একেবারে সহজলভ্য হয়ে যায়। এখন স্থানীয় বাজারে এ চায়না দোয়ার ফাঁদটি ২-৩ হাজারে বিক্রি হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেড়া উপজেলার বেড়া পৌর এলাকার চরপাড়া মহল্লা, কৈতলা ইউনিয়নের সোনা পদ্মা, আমিনপুর থানার বাঘলপুর, সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা ও নাক ডেমরা এলাকা। এ সব এলাকার অন্তত দশটি জাল তৈরির কারখানা থেকে প্রতিদিন শত শত জাল উৎপাদন করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক তৎপরতার শিথিলতার সুযোগে উৎপাদনকারীরা মনেই করছেন না পণ্যটি সরকার ঘোষিত একটি নিষিদ্ধ পণ্য। এতে বাজারে প্রকাশ্য বিক্রি হওয়াতে প্রশাসনিক ব্যর্থতার চিত্রই ফুটে উঠেছে।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে বেড়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও "চায়না দোয়ার" (জাল) ব্যবহারে মৎস্য জীবীরা যেন বিরত থাকেন। গত বছর এ জাল ব্যবহারকারীদের আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা প্রশাসনে কাছে জানতে চাইলে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সবুর আলী জানান, তিনি গত ৯ জুলাই এমন একটি কারখানার খোঁজ পেয়ে বেড়া পৌর এলাকার বনগ্রাম চরপাড়া মহল্লার বিশ্বজিৎ হালদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ "চায়না দোয়ার" তৈরির নেট, তার ও যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে পুড়িয়ে ফেলেছিলেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত এ জাল তৈরির কারখানার সন্ধান পেলে তিনি অভিযান পরিচালনা করবেন।
জানা গেছে পঞ্চাশ থেকে আশি ফুট লম্বা একধরনের ফাঁদ যা নেট ও লোহার মোটা তার দিয়ে তৈরি। এটি নদীর তলদেশে আড়াআড়ি ভাবে পেতে রাখা হয়। পাতা সে ফাঁদের দু দিকে জানালার মতো পাল্লা কাটা থাকে। সেই পাল্লা দিয়ে ছোট বড় সকল মাছ ভেতরে ঢুকে পড়ে। মাছ একবার ঢুকলে আর বের হতে পারে না। এ পদ্ধতিটি চায়নাদের আবিষ্কার। এ জালটি আমাদের নদী, জলাশয়ে অবাধ ব্যবহার করলে আমাদের দেশীয় প্রজাতির মাছের অবাধ বিচরণ ও বংশ বিস্তারের প্রতিবন্ধকতা আশঙ্কা থেকে মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিনব ফাঁদটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
পাবনা জেলার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে তৈরি হচ্ছে মৎস্য উৎপাদনের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধ জাল ‘চায়না দোয়ার’। লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় কারণে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এ জাল তৈরির কারখানা। মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে উৎপাদন বন্ধের চেষ্টা করলেও তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাই দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে নিষিদ্ধ জাল চায়না দোয়ারের ব্যবহার। এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে চায়না দোয়ারের ভয়ংকর এ জাল।
এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়না থেকে আমদানি করে এ দেশের মাছ শিকারিদের কাছে অভিনব ফাঁদ হিসেবে পরিচিতি করে তোলেন ঢাকার কিছু জাল ব্যবসায়ী। বছর তিনেক আগে লোহার তারের খাঁচা ও নেট দিয়ে তৈরি এ পণ্যটি প্রথম দেশের বাজারে এসেছে। ওই বছর প্রতিটি দোয়ার ৮-১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। পরের বছর ঢাকার ব্যবসায়ীরা সে পণ্যটি নিজেরাই উৎপাদন করে তা ৫-৬ হাজার টাকা বিক্রি করেন। আর এ বছর এটির উৎপাদনে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যুক্ত হলে তা একেবারে সহজলভ্য হয়ে যায়। এখন স্থানীয় বাজারে এ চায়না দোয়ার ফাঁদটি ২-৩ হাজারে বিক্রি হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেড়া উপজেলার বেড়া পৌর এলাকার চরপাড়া মহল্লা, কৈতলা ইউনিয়নের সোনা পদ্মা, আমিনপুর থানার বাঘলপুর, সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা ও নাক ডেমরা এলাকা। এ সব এলাকার অন্তত দশটি জাল তৈরির কারখানা থেকে প্রতিদিন শত শত জাল উৎপাদন করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক তৎপরতার শিথিলতার সুযোগে উৎপাদনকারীরা মনেই করছেন না পণ্যটি সরকার ঘোষিত একটি নিষিদ্ধ পণ্য। এতে বাজারে প্রকাশ্য বিক্রি হওয়াতে প্রশাসনিক ব্যর্থতার চিত্রই ফুটে উঠেছে।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে বেড়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও "চায়না দোয়ার" (জাল) ব্যবহারে মৎস্য জীবীরা যেন বিরত থাকেন। গত বছর এ জাল ব্যবহারকারীদের আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা প্রশাসনে কাছে জানতে চাইলে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সবুর আলী জানান, তিনি গত ৯ জুলাই এমন একটি কারখানার খোঁজ পেয়ে বেড়া পৌর এলাকার বনগ্রাম চরপাড়া মহল্লার বিশ্বজিৎ হালদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ "চায়না দোয়ার" তৈরির নেট, তার ও যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে পুড়িয়ে ফেলেছিলেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত এ জাল তৈরির কারখানার সন্ধান পেলে তিনি অভিযান পরিচালনা করবেন।
জানা গেছে পঞ্চাশ থেকে আশি ফুট লম্বা একধরনের ফাঁদ যা নেট ও লোহার মোটা তার দিয়ে তৈরি। এটি নদীর তলদেশে আড়াআড়ি ভাবে পেতে রাখা হয়। পাতা সে ফাঁদের দু দিকে জানালার মতো পাল্লা কাটা থাকে। সেই পাল্লা দিয়ে ছোট বড় সকল মাছ ভেতরে ঢুকে পড়ে। মাছ একবার ঢুকলে আর বের হতে পারে না। এ পদ্ধতিটি চায়নাদের আবিষ্কার। এ জালটি আমাদের নদী, জলাশয়ে অবাধ ব্যবহার করলে আমাদের দেশীয় প্রজাতির মাছের অবাধ বিচরণ ও বংশ বিস্তারের প্রতিবন্ধকতা আশঙ্কা থেকে মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিনব ফাঁদটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে