কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছাত্রাবস্থায় ২০১৬ সালে বিয়ে এবং পড়ালেখার সুবাদে বগুড়া শহরে বাসাভাড়া নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর ঘর-সংসার করেন তাঁরা। সম্প্রতি চাকরি পেয়ে ঢাকায় চলে গিয়ে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন যুবক। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত শাহ্ সুলতান শাকিল সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের বরশীভাঙ্গা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তাঁর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করেন ওই ভুক্তভোগী। চলে যান তাঁর বাড়ি। কিন্তু যুবকের পরিবার তাঁকে মেনে নিচ্ছিল না। তাঁরা দাবি করেন, ছেলে বিয়েই করেনি। শাশুড়ি, ননদ মিলে মেয়েটিকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ছেলের পরিবার মেনে নেয়। গত ২২ জুলাই নতুন করে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। এরপর মেয়েটি স্বামীর সঙ্গে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন।
এরই মধ্যে স্বামীর বাড়ির অনুমতি নিয়েই অসুস্থ বাবাকে দেখতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বেলভুজা গ্রামের বাড়ি যান মেয়েটি। সেখানে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলে আর ফোন রিসিভ করেননি স্বামী। গত ৬ আগস্ট ডাকযোগে একটি তালাকের কাগজ হাতে পান মেয়েটি। কাগজ পেয়ে আবার স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু স্বামীর পরিবার তাঁকে মেনে না নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। বাবার বাড়ি ফিরে যান তিনি। কয়েকদিনের ব্যবধানে তালাকের আরেকটি কাগজ হাতে পান। আবার স্বামীর বাড়ি গেলে এবারও তাঁকে নির্যাতন করে বের করে দেওয়া হয়।
গ্রামের মাতবররা সালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগীর দুর্দশা দেখে মাতবররা শাকিলের চাচা শফিকুল ইসলামের বাড়িতে মেয়েটিকে আশ্রয় দেন। গত ১৬-১৭ দিন ধরে মেয়েটি চাচাশ্বশুরের বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
এরই মধ্যে যুবকের চাচাসহ মাতবরেরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়েছিলেন। ইউএনও চেষ্টা করে কোনো সমাধান করতে পারেননি।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেছে। তা না হলে মাত্র ৫০ হাজার টাকা মোহরানা দিয়ে কাবিননামায় আমাকে স্বাক্ষর করতে তারা বাধ্য করতো না। কয়েকদিন না যেতেই আমার নামে তালাকের কাগজপত্রও পাঠায় তারা। স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া পর্যন্ত জীবন গেলেও আমি এখান থেকে যাব না।
অভিযুক্ত শাহ্ সুলতান শাকিলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। অফিসের কাজে ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ কেটে দেন।
শাকিলের চাচা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টা মীমাংসা করতে আমরা অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। আমার ভাতিজা ও ভাইকেও অনেক বুঝাচ্ছি কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। আমিও খুব চিন্তায় আছি বিষয়টি নিয়ে, যদি একটা অঘটন ঘটে যায়!
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্তমকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও ওই পরিবারটিকে বিষয়টির মীমাংসা করতে বলা হয়েছে।
ছাত্রাবস্থায় ২০১৬ সালে বিয়ে এবং পড়ালেখার সুবাদে বগুড়া শহরে বাসাভাড়া নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর ঘর-সংসার করেন তাঁরা। সম্প্রতি চাকরি পেয়ে ঢাকায় চলে গিয়ে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন যুবক। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত শাহ্ সুলতান শাকিল সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের বরশীভাঙ্গা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তাঁর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করেন ওই ভুক্তভোগী। চলে যান তাঁর বাড়ি। কিন্তু যুবকের পরিবার তাঁকে মেনে নিচ্ছিল না। তাঁরা দাবি করেন, ছেলে বিয়েই করেনি। শাশুড়ি, ননদ মিলে মেয়েটিকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ছেলের পরিবার মেনে নেয়। গত ২২ জুলাই নতুন করে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। এরপর মেয়েটি স্বামীর সঙ্গে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন।
এরই মধ্যে স্বামীর বাড়ির অনুমতি নিয়েই অসুস্থ বাবাকে দেখতে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বেলভুজা গ্রামের বাড়ি যান মেয়েটি। সেখানে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলে আর ফোন রিসিভ করেননি স্বামী। গত ৬ আগস্ট ডাকযোগে একটি তালাকের কাগজ হাতে পান মেয়েটি। কাগজ পেয়ে আবার স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু স্বামীর পরিবার তাঁকে মেনে না নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। বাবার বাড়ি ফিরে যান তিনি। কয়েকদিনের ব্যবধানে তালাকের আরেকটি কাগজ হাতে পান। আবার স্বামীর বাড়ি গেলে এবারও তাঁকে নির্যাতন করে বের করে দেওয়া হয়।
গ্রামের মাতবররা সালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগীর দুর্দশা দেখে মাতবররা শাকিলের চাচা শফিকুল ইসলামের বাড়িতে মেয়েটিকে আশ্রয় দেন। গত ১৬-১৭ দিন ধরে মেয়েটি চাচাশ্বশুরের বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
এরই মধ্যে যুবকের চাচাসহ মাতবরেরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য মেয়েটিকে নিয়ে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়েছিলেন। ইউএনও চেষ্টা করে কোনো সমাধান করতে পারেননি।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন পূর্বপরিকল্পিত ভাবেই আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেছে। তা না হলে মাত্র ৫০ হাজার টাকা মোহরানা দিয়ে কাবিননামায় আমাকে স্বাক্ষর করতে তারা বাধ্য করতো না। কয়েকদিন না যেতেই আমার নামে তালাকের কাগজপত্রও পাঠায় তারা। স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়া পর্যন্ত জীবন গেলেও আমি এখান থেকে যাব না।
অভিযুক্ত শাহ্ সুলতান শাকিলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। অফিসের কাজে ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ কেটে দেন।
শাকিলের চাচা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টা মীমাংসা করতে আমরা অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। আমার ভাতিজা ও ভাইকেও অনেক বুঝাচ্ছি কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। আমিও খুব চিন্তায় আছি বিষয়টি নিয়ে, যদি একটা অঘটন ঘটে যায়!
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্তমকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও ওই পরিবারটিকে বিষয়টির মীমাংসা করতে বলা হয়েছে।
অহিংস গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম
৪ ঘণ্টা আগেজামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং এরপরই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন
৪ ঘণ্টা আগেঅবশেষে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন যাবে
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক ইমন খান জীবনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়
৪ ঘণ্টা আগে