নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সরকারের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার (জিআরএস) অনলাইন ওয়েব কিংবা অ্যাপে ঢুকে যেকোনো বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করা যায়। কোনো ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগ কোন অবস্থায় আছে সেটিও দেখা যায় এখানে। তাই যত দিন গড়াচ্ছে, ততই জনপ্রিয় হচ্ছে জিআরএস; সুফল পাচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা।
জিআরএসের পূর্ণ রূপ হচ্ছে গ্রিভেন্স রিড্রেস সিস্টেম। সরকারের সেবাপ্রদান প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে কিনা তা জানতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিকল্পনায় ২০১৮ সালে জিআরএসে অভিযোগ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। জিআরএসে অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগকারীকে এসএমএসের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আবার যে দপ্তরে অভিযোগ পড়ে, ওই দপ্তর কী ব্যবস্থা নিল, মাসে কতগুলো অভিযোগ জমা পড়ল, নিষ্পত্তির হার কত—সবই জানাতে হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। তাই অভিযোগ এলে ব্যবস্থা না নিয়ে ফেলে রাখারও কোনো উপায় নেই।
রাজশাহীর মিজানুর রহমান এসএসসি পাসের মূল সনদ যাচাইয়ের জন্য শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করেছিল। নিয়ম অনুযায়ী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সনদটি যাচাই করে দেওয়ার কথা। কিন্তু তিন দিন পর মিজানুর যখন সংশ্লিষ্ট শাখায় যায়, তখন তাকে বলা হয় কোনো আবেদনই জমা নেই।
তাই গত ২৬ অক্টোবর মিজানুর রহমান জিআরএসের মাধ্যমে অভিযোগ করে। অভিযোগের সঙ্গে তুলে দেয় তার আবেদনের জন্য সোনালী ব্যাংকে জমা দেওয়া টাকার রশিদ। সেদিনই অভিযোগটি জমা পড়ে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীরের কাছে। তাৎক্ষণিক অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়। এরপর ফোন করে মিজানুরকে ডেকে তার সনদ যাচাই করে দেওয়া হয়।
মিজানুর রহমান বলে, ‘কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে আমি জিআরএসে অভিযোগ করি। এতেই কাজ হয়েছে। জিআরএসের মাধ্যমে অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ট্র্যাকিং নম্বর দিয়ে অভিযোগ কোন অবস্থায় আছে তা জানা যায়।’
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা মাহবুবা বেগমও জানেন জিআরএসের কথা। তার বাড়ি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কুসুমসাড়া গ্রামে। মাহবুবা একটি স্কুলে আয়া পদে চাকরির জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েও নিয়োগ পাননি। তাই গত ২২ সেপ্টেম্বর তিনি জিআরএসের মাধ্যমে অভিযোগ করেন রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে।
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক উৎকোচ দাবি করেছিলেন। দিতে না পারার কারণে আমার চাকরি হয়নি। আমি স্বামী-সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। আমাকে আয়া পদে যোগদান করান প্লিজ।’
মাহবুবার এ অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। মাহবুবা বলেন, ‘আমি জিআরএস সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগের ফেসবুক পেজ থেকে। সেখানে দেখি, যেকোনো বিষয়েই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা যায়। আমি প্রথম হয়েও চাকরি না পেয়ে অভিযোগ করেছি। এখন অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে আমি চাকরি পাব বলে বিশ্বাস করি।’
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও জিআরএসের অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমাদের এখানে মাসে ২৫-৩০টি অভিযোগ আসে জিআরএসের মাধ্যমে। নিষ্পত্তির হার প্রায় শতভাগ। এখানে অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই যেমন গত মাসে ১৮টি অভিযোগ ছিল, ১৭টি অভিযোগেরই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি একটি এ মাসে নিষ্পত্তি হবে।’
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সরকারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের রাজশাহীর সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন। সম্প্রতি তিনি জিআরএসের ওয়েবসাইটের অনলাইন লিংক নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে লেখেন, ‘পদে পদে নানা সমস্যার মুখোমুখি আমরা। এখন অভিযোগ করার চমৎকার সুযোগ। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জিআরএস সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। খুব ভালো হবে যদি নবম, দশম কিংবা একাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে জিআরএস অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’
জিআরএসের পরিকল্পনা, নকশা ও উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সরকারের যুগ্ম সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। তিনি বলেন, ‘জিআরএসের মাধ্যমে অভিযোগ এলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে। এটা লুকিয়ে রাখার উপায় নেই। এ পর্যন্ত দেশের ১২ হাজার অফিসে জিআরএস চালু হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ নিষ্পত্তি করছেন। মানুষ সুফল পাচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে সব উপজেলা পর্যায়ের অফিসগুলোও জিআরএসের আওতায় আসবে।’
সরকারের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার (জিআরএস) অনলাইন ওয়েব কিংবা অ্যাপে ঢুকে যেকোনো বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করা যায়। কোনো ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগ কোন অবস্থায় আছে সেটিও দেখা যায় এখানে। তাই যত দিন গড়াচ্ছে, ততই জনপ্রিয় হচ্ছে জিআরএস; সুফল পাচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা।
জিআরএসের পূর্ণ রূপ হচ্ছে গ্রিভেন্স রিড্রেস সিস্টেম। সরকারের সেবাপ্রদান প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে কিনা তা জানতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিকল্পনায় ২০১৮ সালে জিআরএসে অভিযোগ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। জিআরএসে অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগকারীকে এসএমএসের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আবার যে দপ্তরে অভিযোগ পড়ে, ওই দপ্তর কী ব্যবস্থা নিল, মাসে কতগুলো অভিযোগ জমা পড়ল, নিষ্পত্তির হার কত—সবই জানাতে হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। তাই অভিযোগ এলে ব্যবস্থা না নিয়ে ফেলে রাখারও কোনো উপায় নেই।
রাজশাহীর মিজানুর রহমান এসএসসি পাসের মূল সনদ যাচাইয়ের জন্য শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করেছিল। নিয়ম অনুযায়ী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সনদটি যাচাই করে দেওয়ার কথা। কিন্তু তিন দিন পর মিজানুর যখন সংশ্লিষ্ট শাখায় যায়, তখন তাকে বলা হয় কোনো আবেদনই জমা নেই।
তাই গত ২৬ অক্টোবর মিজানুর রহমান জিআরএসের মাধ্যমে অভিযোগ করে। অভিযোগের সঙ্গে তুলে দেয় তার আবেদনের জন্য সোনালী ব্যাংকে জমা দেওয়া টাকার রশিদ। সেদিনই অভিযোগটি জমা পড়ে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীরের কাছে। তাৎক্ষণিক অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়। এরপর ফোন করে মিজানুরকে ডেকে তার সনদ যাচাই করে দেওয়া হয়।
মিজানুর রহমান বলে, ‘কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে আমি জিআরএসে অভিযোগ করি। এতেই কাজ হয়েছে। জিআরএসের মাধ্যমে অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ট্র্যাকিং নম্বর দিয়ে অভিযোগ কোন অবস্থায় আছে তা জানা যায়।’
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা মাহবুবা বেগমও জানেন জিআরএসের কথা। তার বাড়ি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কুসুমসাড়া গ্রামে। মাহবুবা একটি স্কুলে আয়া পদে চাকরির জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েও নিয়োগ পাননি। তাই গত ২২ সেপ্টেম্বর তিনি জিআরএসের মাধ্যমে অভিযোগ করেন রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে।
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক উৎকোচ দাবি করেছিলেন। দিতে না পারার কারণে আমার চাকরি হয়নি। আমি স্বামী-সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। আমাকে আয়া পদে যোগদান করান প্লিজ।’
মাহবুবার এ অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। মাহবুবা বলেন, ‘আমি জিআরএস সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম প্ল্যাটফর্ম ফর ডায়ালগের ফেসবুক পেজ থেকে। সেখানে দেখি, যেকোনো বিষয়েই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা যায়। আমি প্রথম হয়েও চাকরি না পেয়ে অভিযোগ করেছি। এখন অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে আমি চাকরি পাব বলে বিশ্বাস করি।’
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও জিআরএসের অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমাদের এখানে মাসে ২৫-৩০টি অভিযোগ আসে জিআরএসের মাধ্যমে। নিষ্পত্তির হার প্রায় শতভাগ। এখানে অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই যেমন গত মাসে ১৮টি অভিযোগ ছিল, ১৭টি অভিযোগেরই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি একটি এ মাসে নিষ্পত্তি হবে।’
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সরকারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের রাজশাহীর সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন। সম্প্রতি তিনি জিআরএসের ওয়েবসাইটের অনলাইন লিংক নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে লেখেন, ‘পদে পদে নানা সমস্যার মুখোমুখি আমরা। এখন অভিযোগ করার চমৎকার সুযোগ। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জিআরএস সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। খুব ভালো হবে যদি নবম, দশম কিংবা একাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে জিআরএস অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’
জিআরএসের পরিকল্পনা, নকশা ও উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সরকারের যুগ্ম সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। তিনি বলেন, ‘জিআরএসের মাধ্যমে অভিযোগ এলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে। এটা লুকিয়ে রাখার উপায় নেই। এ পর্যন্ত দেশের ১২ হাজার অফিসে জিআরএস চালু হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ নিষ্পত্তি করছেন। মানুষ সুফল পাচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যে সব উপজেলা পর্যায়ের অফিসগুলোও জিআরএসের আওতায় আসবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় নীলফামারী-১ আসনের (ডোমার-ডিমলা) সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফতাব উদ্দিন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে রংপুর নগরীর সেনপাড়ার গুড় মজিবরের বাড়ি থেকে তাঁকে...
১০ মিনিট আগেরাজধানীর গাবতলীতে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সামনে শাহী মসজিদ বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, আগুনে বস্তির প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।
৩০ মিনিট আগেনেতৃত্বের শূন্যতায় ধুঁকছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি)। তার প্রভাব পড়ছে নগরজীবনে। নগরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দূষণ, যানজট, জলজট, খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট, মশার উপদ্রব, সড়কবাতির অভাবে রাতে ভুতুড়ে পরিবেশ—এসব এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
৫ ঘণ্টা আগেদেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৭ ঘণ্টা আগে