Ajker Patrika

সভাপতি-অধ্যক্ষ দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, আতঙ্কে ছাত্রীদের চিৎকার

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি 
সভাপতি-অধ্যক্ষ দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, আতঙ্কে ছাত্রীদের চিৎকার

রাজশাহীর পুঠিয়ায় শহীদ নাদের আলী (বালিকা) স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বে উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকে ছাত্রীরা। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নাদের আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক অভিযোগ করেন, কয়েক মাস আগে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের মধ্যে অর্থ ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। অধ্যক্ষ সম্প্রতি এমপির সামনেই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাসের কথা বলেন। এরপর থেকে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়ে একজন শিক্ষককে ম্যানেজ করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করান। সেই সঙ্গে অধ্যক্ষর কক্ষে তালা লাগিয়ে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর জেরে আজ সকালে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু বলেন, ‘অধ্যক্ষ কৌশলে সরকারি অনুদানের উপবৃত্তির টাকা, বিভিন্ন সময় টিউশন ফির টাকা এবং কলেজের পুকুরের ইজারার ৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমতি ছাড়া ব্যাংক থেকে তুলে নেন। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক শামসুল আলম গত ৯ জুন আদালতে একটি মামলা করেন।’

উভয়পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে ছাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আরও বলেন, ‘কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর অনুপস্থিতির কারণে ওই দিন তাঁর কক্ষে তালা লাগানো হয়। তবে আজ সকালে অধ্যক্ষের অনুসারী গুন্ডা বাহিনী প্রতিষ্ঠানের তালা ভাঙে। কমিটির লোকজন বাধা দিতে গেলে তারা মারতে তেড়ে আসে।’

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ রুহুল আমিন নান্নু বলেন, ‘সভাপতির লুটপাটে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ নিয়ে আমি প্রতিবাদ করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। আমি কোনো অর্থ লুটপাট বা অনিয়ম করিনি। সঠিক তদন্ত করা হলে জানা যাবে।’

পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ‘সকালে নাদের আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে কিছু ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। আর থানায় কেউ কোনো অভিযোগও দেননি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আকতার জাহান বলেন, ‘ওই স্কুলে অধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছে তা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

ফেরত পাঠাতে ৫০০ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত