রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে দাওয়াত থাকলেও যাননি চারজন এমপি। তবে মেয়র ও কাউন্সিলরদের ‘খেদমতে’ সিটি করপোরেশনের অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকায় গিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, বহরের একটি অংশের যাবতীয় খরচ সিটি করপোরেশন বহন করছে।
আজ সোমবার দুপুরে রাসিকের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে। শপথ নিয়েই মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে কাউন্সিলরসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা যান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। কিন্তু লিটনের সঙ্গে এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন না। এমনকি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও লিটনের শপথ অনুষ্ঠানে যাননি রাজশাহীর চার এমপি। আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও হাজির হননি রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শপথ অনুষ্ঠানে শুধু রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা গিয়েছিলেন। রাজশাহীর অন্য চার এমপি যাননি। শপথ গ্রহণের পর কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে ৩২ নম্বরে যান লিটন। এ সময় সেখানে বিএনপির (বহিষ্কৃত) কাউন্সিলররাও সঙ্গে ছিলেন। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড়ে মেয়র লিটনের পাশে দাঁড়াতে পারছিলেন না তাঁর সহধর্মিণী শাহিন আক্তার রেনী।
দাওয়াত থাকলেও না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে জবাবে রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী এলাকায় প্রোগ্রাম থাকায় যেতে পারেননি।
তবে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ফোন ধরেননি। তাই এ বিষয়ে তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলের ফ্লাইটে সস্ত্রীক ঢাকায় যান মেয়র লিটন। আর ৩০ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী আসনের ১০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই বাস রিজার্ভ করে শপথ নিতে ঢাকায় যান।
৪০ জনের শপথ অনুষ্ঠানে মহড়ার জন্য আরও অন্তত সাড়ে তিন শ নেতা-কর্মী বহরে যুক্ত হন। তাঁদের অনেকেই সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী। ছুটি ছাড়াই তাঁরা মেয়র লিটনকে ‘চেহারা দেখাতে’ অফিস ফেলে ঢাকা ছোটেন। কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাত যাপন করেন ঢাকার ভিক্টোরিয়া আবাসিক হোটেলে।
এই বহরে থাকা সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার ঘোষ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার রোকনুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার তবিবুর রহমান শেখ, রেলওয়ে বিভাগীয় হাসপাতালের (পশ্চিমাঞ্চল) ফার্মাসিস্ট আনোয়ার হোসেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ক্লেইম ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সহকারী ইকবাল হোসেন, অফিস সহায়ক সত্যব্রত ইসলাম, উচ্চমান সহকারী শাহজাহান আলী, হেডমেট জহুরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান নেসকোর কর্মচারী আব্দুস সোহেল এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত বিএমডিএ কর্মচারী জীবন হোসেন।
এদিকে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, শপথ অনুষ্ঠানে সহযোগিতার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশনের ‘প্রয়োজনীয় সংখ্যক’ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢাকায় যেতে বলা হয়। এই সুযোগ লুফে নিয়েছেন সিটি করপোরেশনের ‘দলবাজ’ অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই তালিকায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে কম্পিউটার অপারেটর পর্যন্ত আছেন।
এর মধ্যে ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন, সচিব মশিউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ই সাঈদ, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমদ আল মঈন, হিসাবরক্ষক অমৃতা রানীসহ বেশ কয়েকজন।
সিটি করপোরেশনের সাতটি বিভাগের প্রধানেরাও গেছেন এই বহরে। তবে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসুস্থ থাকায় তাঁর বদলে মেডিকেল টিমে গেছেন একজন হিসাবরক্ষক। শপথ অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বেশির ভাগই গেছেন ‘শোডাউনে’।
এ ছাড়া রাজশাহী থেকে ছুটেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ঢাকায় নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে এই বিশাল বহর যায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার স্টার কাবাব রেস্টুরেন্ট থেকে ৩৫০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরের খাবারের স্পনসর করেন একজন ব্যক্তি। তবে টুঙ্গিপাড়া থেকে ফেরার পথে কুষ্টিয়ায় জাহাঙ্গীর হোটেলে এই বহরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় সিটি করপোরেশনের খরচে।
এই বহরে কী দায়িত্ব পালন করছেন তা জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ই সাঈদ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। যোগাযোগ করা হলে বহরে থাকা সিটি করপোরেশনের সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘করপোরেশনের কতজন গেছেন মনে নেই। তাঁরা কী কাজে ঢাকা ও টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন তা-ও জানা নেই।’
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাবেক জেলা সমন্বয়ক সুব্রত কুমার পাল বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে পদোন্নতি ও দলীয় পদ-পদবি পেতে দলবাজরা মেয়র লিটনের “গুড লিস্টে” থাকতে এই শোডাউনে গিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘নবনির্বাচিতদের শপথ অনুষ্ঠানে যাতায়াতসহ থাকা-খাওয়ার খরচ হবে তাঁদের ব্যক্তিগত। কিন্তু নগর ভবনের কর্মকর্তারা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এটি কোন আইনের বলে তাঁরা করেছেন জনগণ তা জানতে চায়। কারণ, জনগণের ট্যাক্সের টাকার তাঁরা অপচয় করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এসেছেন। যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা, থাকা-খাওয়া, মেডিকেল টিম, লজিস্টিক সাপোর্টসহ নানা ধরনের কাজের জন্য তাঁরা এসেছেন। মেয়র-কাউন্সিলরদের যাতায়াত, আবাসিক হোটেলে থাকা-খাওয়ার ব্যয় বহন করছে সিটি করপোরেশনই। এই বাবদ মোট কত টাকা খরচ হলো, তা রাজশাহী ফেরার পর বলা যাবে।’
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে দাওয়াত থাকলেও যাননি চারজন এমপি। তবে মেয়র ও কাউন্সিলরদের ‘খেদমতে’ সিটি করপোরেশনের অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকায় গিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, বহরের একটি অংশের যাবতীয় খরচ সিটি করপোরেশন বহন করছে।
আজ সোমবার দুপুরে রাসিকের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে। শপথ নিয়েই মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে কাউন্সিলরসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা যান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে। কিন্তু লিটনের সঙ্গে এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন না। এমনকি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও লিটনের শপথ অনুষ্ঠানে যাননি রাজশাহীর চার এমপি। আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও হাজির হননি রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শপথ অনুষ্ঠানে শুধু রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা গিয়েছিলেন। রাজশাহীর অন্য চার এমপি যাননি। শপথ গ্রহণের পর কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে ৩২ নম্বরে যান লিটন। এ সময় সেখানে বিএনপির (বহিষ্কৃত) কাউন্সিলররাও সঙ্গে ছিলেন। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড়ে মেয়র লিটনের পাশে দাঁড়াতে পারছিলেন না তাঁর সহধর্মিণী শাহিন আক্তার রেনী।
দাওয়াত থাকলেও না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে জবাবে রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী এলাকায় প্রোগ্রাম থাকায় যেতে পারেননি।
তবে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ফোন ধরেননি। তাই এ বিষয়ে তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলের ফ্লাইটে সস্ত্রীক ঢাকায় যান মেয়র লিটন। আর ৩০ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী আসনের ১০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই বাস রিজার্ভ করে শপথ নিতে ঢাকায় যান।
৪০ জনের শপথ অনুষ্ঠানে মহড়ার জন্য আরও অন্তত সাড়ে তিন শ নেতা-কর্মী বহরে যুক্ত হন। তাঁদের অনেকেই সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী। ছুটি ছাড়াই তাঁরা মেয়র লিটনকে ‘চেহারা দেখাতে’ অফিস ফেলে ঢাকা ছোটেন। কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাত যাপন করেন ঢাকার ভিক্টোরিয়া আবাসিক হোটেলে।
এই বহরে থাকা সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার ঘোষ, ডেপুটি রেজিস্ট্রার রোকনুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার তবিবুর রহমান শেখ, রেলওয়ে বিভাগীয় হাসপাতালের (পশ্চিমাঞ্চল) ফার্মাসিস্ট আনোয়ার হোসেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ক্লেইম ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সহকারী ইকবাল হোসেন, অফিস সহায়ক সত্যব্রত ইসলাম, উচ্চমান সহকারী শাহজাহান আলী, হেডমেট জহুরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান নেসকোর কর্মচারী আব্দুস সোহেল এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত বিএমডিএ কর্মচারী জীবন হোসেন।
এদিকে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, শপথ অনুষ্ঠানে সহযোগিতার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সিটি করপোরেশনের ‘প্রয়োজনীয় সংখ্যক’ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢাকায় যেতে বলা হয়। এই সুযোগ লুফে নিয়েছেন সিটি করপোরেশনের ‘দলবাজ’ অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই তালিকায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে কম্পিউটার অপারেটর পর্যন্ত আছেন।
এর মধ্যে ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন, সচিব মশিউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ই সাঈদ, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আহমদ আল মঈন, হিসাবরক্ষক অমৃতা রানীসহ বেশ কয়েকজন।
সিটি করপোরেশনের সাতটি বিভাগের প্রধানেরাও গেছেন এই বহরে। তবে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসুস্থ থাকায় তাঁর বদলে মেডিকেল টিমে গেছেন একজন হিসাবরক্ষক। শপথ অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বেশির ভাগই গেছেন ‘শোডাউনে’।
এ ছাড়া রাজশাহী থেকে ছুটেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ঢাকায় নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে এই বিশাল বহর যায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার স্টার কাবাব রেস্টুরেন্ট থেকে ৩৫০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরের খাবারের স্পনসর করেন একজন ব্যক্তি। তবে টুঙ্গিপাড়া থেকে ফেরার পথে কুষ্টিয়ায় জাহাঙ্গীর হোটেলে এই বহরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় সিটি করপোরেশনের খরচে।
এই বহরে কী দায়িত্ব পালন করছেন তা জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ই সাঈদ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। যোগাযোগ করা হলে বহরে থাকা সিটি করপোরেশনের সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘করপোরেশনের কতজন গেছেন মনে নেই। তাঁরা কী কাজে ঢাকা ও টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন তা-ও জানা নেই।’
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাবেক জেলা সমন্বয়ক সুব্রত কুমার পাল বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে পদোন্নতি ও দলীয় পদ-পদবি পেতে দলবাজরা মেয়র লিটনের “গুড লিস্টে” থাকতে এই শোডাউনে গিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘নবনির্বাচিতদের শপথ অনুষ্ঠানে যাতায়াতসহ থাকা-খাওয়ার খরচ হবে তাঁদের ব্যক্তিগত। কিন্তু নগর ভবনের কর্মকর্তারা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এটি কোন আইনের বলে তাঁরা করেছেন জনগণ তা জানতে চায়। কারণ, জনগণের ট্যাক্সের টাকার তাঁরা অপচয় করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এসেছেন। যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা, থাকা-খাওয়া, মেডিকেল টিম, লজিস্টিক সাপোর্টসহ নানা ধরনের কাজের জন্য তাঁরা এসেছেন। মেয়র-কাউন্সিলরদের যাতায়াত, আবাসিক হোটেলে থাকা-খাওয়ার ব্যয় বহন করছে সিটি করপোরেশনই। এই বাবদ মোট কত টাকা খরচ হলো, তা রাজশাহী ফেরার পর বলা যাবে।’
পাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
১ few সেকেন্ড আগেবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
১৮ মিনিট আগেক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে বহিরাগত ছাত্রদলের হামলায় তাঁদের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহত সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তাঁরা।
২৩ মিনিট আগেবরগুনার আমতলীতে এক দিনে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ ২৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্বজনেরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
৩০ মিনিট আগে