নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় বেশ কিছুদিন ধরে চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। পাশাপাশি নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির দাম। অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতোই হঠাৎ সবজির দামও বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যের পাশাপাশি কাঁচা সবজির দাম বাড়তে থাকায় অতিষ্ঠ ক্রেতারা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত তদারক করা হচ্ছে। এমনকি দাম বেশি রাখায় বিক্রেতাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকালে নওগাঁর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ২০ টাকা, সবুজ বেগুন ৪০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া প্রতি কেজি শসা ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙে ৩৫, প্রতি পিস কুমড়া ৩০, কাঁকরোল ৬০, করলা ৫০, মুলা ৩০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ৭-১০ দিন আগে এসব সবজির অধিকাংশের দাম কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা কম ছিল। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।
খুচরা বাজারের সবজি কিনতে আসা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই মাঝেমধ্যে শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচসহ পটোল, কাঁকরোলের দাম বেশি বেড়েছে।’
সাকিল হোসেন নামের আরেক ক্রেতার অভিযোগ, বাজারে তদারকি না থাকায় বিক্রেতারা খেয়ালখুশিমতো দাম বাড়াচ্ছেন। এতে ক্রেতাদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ। সারা দিন বললেও কোনো লাভ হবে না। সরকার যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে, সেভাবেই সবকিছু হচ্ছে। আমরা খাই আর না খাই, তা দেখার কেউ নেই।’
গোস্তহাটি মোড়ের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী মদন মোহন জানান, ‘চলতি মাসে বেশ কয়েকবার ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তাই সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। আমরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে নিয়ে আসি বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
আরেক খুচরা বিক্রেতা ভুট্টু হোসেন বলেন, ‘কাঁচামালের দামের কোনো ঠিক নাই। একদিন একটু বাড়ে, আরেক দিন একটু কমে।’
পাইকারি সবজি বাজারের ব্যবসায়ী সুনীল সরকার বলেন, ‘বাজারে দুই-একটা সবজির দাম ওঠানামা করছে। স্বাভাবিক কারণেই কাঁচামালের ক্ষেত্রে এটা হয়েই থাকে। মনে হচ্ছে, বর্তমান বাজারদর খুব একটা বেশি নাই। তবে বাজারে ক্রেতা কম। খুচরা বিক্রেতারা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে পারেন। পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর দোষ চাপিয়ে লাভ নাই।’
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বেশ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে কাঁচা শাক-সবজির সরবরাহ কিছুটা কম হওয়ায় দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে এই সুযোগে খুচরা বিক্রেতারা যদি অতিরিক্ত মুনাফার আসায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি করেন, তাহলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, নিয়মিত বাজার তদারক করা হচ্ছে। অতিরিক্ত দাম নেওয়ার সুযোগ নেই। কোনো অজুহাতে বিক্রেতারা অতিরিক্ত দাম রাখলে জরিমানা করা হচ্ছে।
নওগাঁয় বেশ কিছুদিন ধরে চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। পাশাপাশি নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির দাম। অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতোই হঠাৎ সবজির দামও বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যের পাশাপাশি কাঁচা সবজির দাম বাড়তে থাকায় অতিষ্ঠ ক্রেতারা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত তদারক করা হচ্ছে। এমনকি দাম বেশি রাখায় বিক্রেতাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকালে নওগাঁর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ২০ টাকা, সবুজ বেগুন ৪০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া প্রতি কেজি শসা ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙে ৩৫, প্রতি পিস কুমড়া ৩০, কাঁকরোল ৬০, করলা ৫০, মুলা ৩০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ৭-১০ দিন আগে এসব সবজির অধিকাংশের দাম কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা কম ছিল। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।
খুচরা বাজারের সবজি কিনতে আসা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই মাঝেমধ্যে শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচসহ পটোল, কাঁকরোলের দাম বেশি বেড়েছে।’
সাকিল হোসেন নামের আরেক ক্রেতার অভিযোগ, বাজারে তদারকি না থাকায় বিক্রেতারা খেয়ালখুশিমতো দাম বাড়াচ্ছেন। এতে ক্রেতাদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ। সারা দিন বললেও কোনো লাভ হবে না। সরকার যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে, সেভাবেই সবকিছু হচ্ছে। আমরা খাই আর না খাই, তা দেখার কেউ নেই।’
গোস্তহাটি মোড়ের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী মদন মোহন জানান, ‘চলতি মাসে বেশ কয়েকবার ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তাই সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। আমরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে নিয়ে আসি বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
আরেক খুচরা বিক্রেতা ভুট্টু হোসেন বলেন, ‘কাঁচামালের দামের কোনো ঠিক নাই। একদিন একটু বাড়ে, আরেক দিন একটু কমে।’
পাইকারি সবজি বাজারের ব্যবসায়ী সুনীল সরকার বলেন, ‘বাজারে দুই-একটা সবজির দাম ওঠানামা করছে। স্বাভাবিক কারণেই কাঁচামালের ক্ষেত্রে এটা হয়েই থাকে। মনে হচ্ছে, বর্তমান বাজারদর খুব একটা বেশি নাই। তবে বাজারে ক্রেতা কম। খুচরা বিক্রেতারা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে পারেন। পাইকারি ব্যবসায়ীদের ওপর দোষ চাপিয়ে লাভ নাই।’
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বেশ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে কাঁচা শাক-সবজির সরবরাহ কিছুটা কম হওয়ায় দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে এই সুযোগে খুচরা বিক্রেতারা যদি অতিরিক্ত মুনাফার আসায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি করেন, তাহলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, নিয়মিত বাজার তদারক করা হচ্ছে। অতিরিক্ত দাম নেওয়ার সুযোগ নেই। কোনো অজুহাতে বিক্রেতারা অতিরিক্ত দাম রাখলে জরিমানা করা হচ্ছে।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে