বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বাগাতিপাড়ার আমচাষিদের স্বপ্ন আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার বাগানগুলোতে আম কম ধরেছে। আবার গত বছর আমের দাম না পেয়ে এবার বাজার কেমন হবে তা নিয়েও হতাশায় ভুগছেন চাষিরা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, উপজেলায় লক্ষণভোগ, আম্রপালি, ক্ষীরসাপাত, গোপালভোগ, আশ্বিনা, হিমসাগর, দুধসর, ফজলি, তোতাপুরিসহ বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়ে থাকে। আমের সর্বোচ্চ ফলন পেতে চাষিদের সব সময় পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় আমচাষিরা জানান, গাছে মুকুল আসার আগে থেকে আমবাগানের পরিচর্যা শুরু করেছেন তাঁরা। এখন পর্যন্ত গাছে ছয় থেকে সাত দফা স্প্রে করা হয়েছে। ডগায় ডগায় দোল খাচ্ছে আম। তবে এ বছর আমের মুকুল কম আসায় গুটি একটু কম এসেছে বলে জানিয়েছেন আমবাগানের মালিকেরা। এই মৌসুমে আম্রপালি ও ফজলি আম ভালো দেখা গেলেও বাকি জাতগুলোর ফলন সন্তোষজনক হয়নি। অন্যদিকে মুকুল অবস্থা থেকে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় আমের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি গুটি ঝরে পড়েছে। তবে দেরিতে হলেও বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি এসেছে। এখন গাছে যে আম আছে, সেগুলো নিয়েই নানা স্বপ্ন দোল খাচ্ছে চাষিদের মনে। সোনালি এই স্বপ্ন পূরণে তাই চাষিরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে মনে রয়েছে শঙ্কা। কারণ এখনো বৈশাখের তাণ্ডব, ঘূর্ণিঝড় ও শীলাবৃষ্টির আশঙ্কাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মুন্সিপাড়া এলাকার বাগানমালিক আসলাম আলী বলেন, ‘১২ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আমবাগান রয়েছে। গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই বাগান পরিচর্যা শুরু করেছি। এবার অর্ধেক গাছে মুকুল আসেনি, আমও কম। তাই রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় নিয়মিত ওষুধ স্প্রে করছি।’
বিলগোপালহাটি গ্রামের আমবাগানি আকছেদ আলী জানান, তাঁর লক্ষণভোগ, ক্ষীরসাপাত ও আম্রপালি জাতের পাঁচ বিঘা জমিতে বাগান রয়েছে। এর মধ্যে আম্রপালি জাতের আম ভালো দেখা গেলেও বাকি জাতগুলো ভালো হয়নি। আবার গত কয়েক বছর আমের দাম ভালো না পেয়ে অনেক চাষিই হতাশায় বাগান কেটে ফেলছেন। তাই কৃষকদের বাঁচাতে সরকারিভাবে আম বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, ‘বাগাতিপাড়ায় ১ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। গত বছরের উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে চলতি মৌসুমে আমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৬৪০ মেট্রিক টন। তবে গাছে মুকুল কম আসার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর আম কিছু কম উৎপাদনের আশঙ্কা রয়েছে।’
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিমুদ্দিন বলেন, ‘সরকারিভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো এ বছরই হেপার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশে আম রপ্তানি শুরু হবে। আশা করা যাচ্ছে, চাষিরা এ বছর আমের দাম ভালো পাবেন।’
নাটোরের বাগাতিপাড়ার আমচাষিদের স্বপ্ন আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলার বাগানগুলোতে আম কম ধরেছে। আবার গত বছর আমের দাম না পেয়ে এবার বাজার কেমন হবে তা নিয়েও হতাশায় ভুগছেন চাষিরা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, উপজেলায় লক্ষণভোগ, আম্রপালি, ক্ষীরসাপাত, গোপালভোগ, আশ্বিনা, হিমসাগর, দুধসর, ফজলি, তোতাপুরিসহ বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়ে থাকে। আমের সর্বোচ্চ ফলন পেতে চাষিদের সব সময় পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় আমচাষিরা জানান, গাছে মুকুল আসার আগে থেকে আমবাগানের পরিচর্যা শুরু করেছেন তাঁরা। এখন পর্যন্ত গাছে ছয় থেকে সাত দফা স্প্রে করা হয়েছে। ডগায় ডগায় দোল খাচ্ছে আম। তবে এ বছর আমের মুকুল কম আসায় গুটি একটু কম এসেছে বলে জানিয়েছেন আমবাগানের মালিকেরা। এই মৌসুমে আম্রপালি ও ফজলি আম ভালো দেখা গেলেও বাকি জাতগুলোর ফলন সন্তোষজনক হয়নি। অন্যদিকে মুকুল অবস্থা থেকে দীর্ঘ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় আমের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি গুটি ঝরে পড়েছে। তবে দেরিতে হলেও বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি এসেছে। এখন গাছে যে আম আছে, সেগুলো নিয়েই নানা স্বপ্ন দোল খাচ্ছে চাষিদের মনে। সোনালি এই স্বপ্ন পূরণে তাই চাষিরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে মনে রয়েছে শঙ্কা। কারণ এখনো বৈশাখের তাণ্ডব, ঘূর্ণিঝড় ও শীলাবৃষ্টির আশঙ্কাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মুন্সিপাড়া এলাকার বাগানমালিক আসলাম আলী বলেন, ‘১২ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আমবাগান রয়েছে। গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই বাগান পরিচর্যা শুরু করেছি। এবার অর্ধেক গাছে মুকুল আসেনি, আমও কম। তাই রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় নিয়মিত ওষুধ স্প্রে করছি।’
বিলগোপালহাটি গ্রামের আমবাগানি আকছেদ আলী জানান, তাঁর লক্ষণভোগ, ক্ষীরসাপাত ও আম্রপালি জাতের পাঁচ বিঘা জমিতে বাগান রয়েছে। এর মধ্যে আম্রপালি জাতের আম ভালো দেখা গেলেও বাকি জাতগুলো ভালো হয়নি। আবার গত কয়েক বছর আমের দাম ভালো না পেয়ে অনেক চাষিই হতাশায় বাগান কেটে ফেলছেন। তাই কৃষকদের বাঁচাতে সরকারিভাবে আম বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, ‘বাগাতিপাড়ায় ১ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। গত বছরের উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে চলতি মৌসুমে আমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৬৪০ মেট্রিক টন। তবে গাছে মুকুল কম আসার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর আম কিছু কম উৎপাদনের আশঙ্কা রয়েছে।’
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিমুদ্দিন বলেন, ‘সরকারিভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো এ বছরই হেপার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশে আম রপ্তানি শুরু হবে। আশা করা যাচ্ছে, চাষিরা এ বছর আমের দাম ভালো পাবেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৮ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৯ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে