বিরামপুরে কচুর মুখির ফলন ভালো, ন্যায্যদামে খুশি কৃষক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩: ০৭
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩: ০৮

দিনাজপুরের বিরামপুরে কচুর মুখির ভালো ফলন হয়েছে। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা। এতে বাজারে পর্যাপ্ত কচুর মুখির সরবরাহ হচ্ছে। 

আজ রোববার সকালে বিরামপুর নতুন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের মোকাম থেকে পাঁচ-ছয়টি ট্রাকে করে কচুর মুখি ঢাকা-কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিমণ কচু আকার ভেদে দাম ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় কৃষকদের থেকে কেনা হচ্ছে। এতে উপজেলার কৃষকেরা ন্যায্যদাম পাচ্ছেন। 

বাজারে কচুর মুখির সরবরাহের বিষয়ে বিরামপুর নতুন বাজারের ব্যবসায়ী সাদেক হোসেন বলেন, ‘এবার উপজেলায় কচুর মুখির ফলন ভালো হয়েছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় এই বেশি পরিমাণে কচু আমদানি হচ্ছে।’ 

কচুর মুখি কেনার কাজে ব্যস্ত থাকা নতুন বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর, আশরাফুল, সাদেকসহ অনেকে বলেন, কচুর মুখির আমদানি ভালো হওয়ায় কচু রপ্তানিতে লাভবান হচ্ছেন। 

দিনাজপুরের বিরামপুর নতুন বাজারে কচুর মুখি বস্তায় ভরছেন শ্রমিকেরাউপজেলার ভেলাপাড়া গ্রামের কচু চাষি মিলন মিয়া বলেন, ‘এবার মোকামে কচুর সর্বোচ্চ দাম পাওয়ায় যাচ্ছে। ফলন ভালো হওয়ায় অনেক লাভ হচ্ছে।’ 

মির্জাপুর গ্রামের কৃষক সুনিরাম বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে বারি মুখি কচু-১ চাষ করি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে এবার ন্যায্য দাম পাচ্ছি। এলাকায় কচুর মুখির আবাদ বেড়েছে।’ 

কচুর মুখি আবাদে ঝামেলা কম ও বেশি লাভ হওয়ার কথা আজকের পত্রিকাকে জানান বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিরামপুর উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে কচু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। খরচ কম আর লাভ বেশি হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।’ 

অধিকাংশ কৃষক বারি মুখি কচু-১ ও মালশিরা জাতের কচু আবাদে ফলন ভালো পাওয়ায় ভবিষ্যতে এই লক্ষ্যমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত