Ajker Patrika

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতির অভিযোগ

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতির অভিযোগ

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল মাঠে নালা খনন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের সিঁড়ি ভেঙে ফেলা ও নামফলক ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। অভিযোগটি করেছে পাশাপাশি অবস্থিত আরেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার ডায়নারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডায়নারপাড় গ্রামে একই স্থানে পৃথক দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডায়নারপাড় প্রাথমিক ও ডায়নার পাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মাঠের পূর্বে প্রাথমিক ও পশ্চিমে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন অবস্থিত। দুটি প্রতিষ্ঠান সহাবস্থান থেকে দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান করে আসছে। 

গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় হঠাৎ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম লোকজনসহ সেখানে উপস্থিত হয়ে মাঠের মাঝামাঝি উত্তর-দক্ষিণ বরাবর নালা খনন করেন। ভেঙে ফেলেন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ভবনের সিঁড়ি। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ল্যাবের নামফলক।

ডায়নারপাড় বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন সরকার বলেন, ‘প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক হঠাৎ করে সেদিন লোকজন নিয়ে এই কাণ্ড ঘটান। তিনি সেদিন এতটাই আগ্রাসী ছিলেন যে আমরা ভয় পেয়ে গেছি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনি। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমি এ ঘটনায় সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছি।’

ডায়নারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা ইউনুছ আলী বিদ্যালয় দুইটি প্রতিষ্ঠার সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৩৩ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে ১৮ শতক জমি দান করেন। মাধ্যমিকের ১৮ শতক জমির বাইরে প্রাথমিকের জমি দখল করে আছে বিদ্যালয়টি। বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। পক্ষান্তরে কিছুদিন আগে প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ভবন নির্মাণ করেন। এ ভবনের সিঁড়ি এমন এক জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে যে প্রাথমিকের কোমলমতির শিক্ষার্থীরা সেখানে হোঁচট খেয়ে অসুস্থ হন। এ বিষয়ে আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি আমাকে বলেন -‘শিক্ষার্থীদের সুবিধায় আপনার সীমানায় থেকে যা করার দরকার তাই করেন।’ পরে আমি ভবনের সিঁড়ি ভেঙে ফেলি। তবে নামফলক ও ভবনে কোনো স্পর্শ করিনি। অপরদিকে প্রাথমিকের জমির সীমানায় মাঠের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর নালা খনন করে সে মাটি প্রাথমিকের মাঠে ফেলেছি। যাতে বৃষ্টির পানি মাঠে জমতে না পারে। এর বাইরে আমার কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না।’ 

এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলীসহ আমরা সরেজমিন গিয়ে লিখিত অভিযোগের অনেকটা সত্যতা পেয়েছি। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত