Ajker Patrika

সংবাদ প্রকাশের পর নড়বড়ে সাঁকোর দায়িত্ব নিলেন সাংসদ

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ মে ২০২২, ১১: ৪৮
সংবাদ প্রকাশের পর নড়বড়ে সাঁকোর দায়িত্ব নিলেন সাংসদ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়নে বুড়াইল নদীতে ভেঙে পড়া নড়বড়ে সেই বাঁশের সাঁকো পুনরায় নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর) এবং ২৯ গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকা ‘ভোটে জিতে খোঁজ নেন না’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় প্রকাশের পর বিষয়টি স্থানীয় সাংসদের নজরে এলে তিনি পত্রিকার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে এই আশ্বাস দেন।

সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘ওই বুড়াইল নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু করোনার কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে। তা না হলে এত দিনে হয়ে যেত ব্রিজটি। যাতে ব্রিজটির কাজ দ্রুত করা যায়, সে জন্য মন্ত্রণালয়ে আমি নিজে গিয়ে আবারও খোঁজ নেব।’ 

সাংসদ আরও বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ওখানে আবারও নতুন করে বাঁশের সাঁকো করে দেওয়া হবে এবং ব্রিজ না হওয়া পর্যন্ত সাঁকোটি তদারকি আমি নিজে করব।’ 

এদিকে নতুন করে আবারও সাঁকোটি নির্মাণ করে দেওয়া হবে সংবাদ পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ওই এলাকার মানুষ। তবে এলাকারবাসীর মূল দাবি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ। 

খোর্দ্দা নামাপাতা গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিন ছেলে মানিক ব্যাপারী (৩০) বলেন, ‘ফির বাঁশের সাঁকো এমপি করি দেবে এটা ভালো কথা। তাতে হামরা খুশি। কিন্তু হামাক একবারে ব্রিজ করি দেওয়া নাইগবে। যাতে আর কোনো দিন সেখান ভাঙ্গি না যায়। কারণ ভাঙ্গিলে অনেক কষ্ট হয় হামারগুলার।’ 

এ বিষয়ে তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে কমপক্ষে এ ধরনের সাঁকো রয়েছে ১০টি। প্রতিবছর সেগুলো মেরামত করতে হয়, যা পরিষদের পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় সেগুলো মেরামত করা হয়ে থাকে। তবে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ 

উপজেলা প্রকৌশলী শামছুল আরেফীন জানান, যেখানে সাঁকো রয়েছে, সেখানেই স্থায়ীভাবে ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই নির্মাণ করা হবে।

উল্লেখ্য, তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দা নামাপাতা নামক গ্রামের ওপর দিয়ে চলে গেছে বুড়াইল নদী। নদীটি ছোট হওয়ায় বাঁশের সাঁকো আবার কখনো কাঠের সাঁকোই দিয়েই চলে নানা শ্রেণিপেশার প্রায় ৫০ হাজার জনসাধারণের যাতায়াত। প্রতিবছরে একবার করে নির্মাণ করতে হয় সাঁকোটি। সংস্কার করতে হয় বছরে দুবার। মাস দু-এক আগ থেকে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে যায়। ঝুঁকি জেনেও যাতায়াত করতে গিয়ে গত ১৫ দিনে দুর্ঘটনা ঘটেছে কমপক্ষে পাঁচটি। সপ্তাহখানেক আগে সবার অজান্তে নড়বড়ে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। যাতায়াতের একমাত্র ও শেষ ভরসা বাঁশের সাঁকোটি নদীতে ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন দুই পারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। এতে বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

ফেরত পাঠাতে ৫০০ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত