Ajker Patrika

উপড়ে পড়া গাছ দখল করে আছে স্কুলের মাঠ, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ মে ২০২৩, ১৩: ১০
উপড়ে পড়া গাছ দখল করে আছে স্কুলের মাঠ, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পরাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পড়ে আছে তিনটি গাছ। এতে মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। এদিকে গাছ তিনটি বিক্রির ব্যবস্থা না করায় পচে-ক্ষয়ে নষ্ট হচ্ছে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার সরকারি সম্পদ। গাছগুলো অপসারণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকাবাসী। উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার মেহেদী হাসান জানান, ব্যবস্থা নিতে এ সপ্তাহে বিদ্যালয়টিতে যাবেন তিনি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২০ সালের শেষের দিকে প্রচণ্ড ঝড়ে মাটিতে উপড়ে পড়ে একটি বকুল ফুলের গাছ। পড়ার সময় গাছটি একটি তালগাছকে ধাক্কা দেয় । পরে সেই তালগাছটিও মাটিতে পড়ে যায়। সেই থেকে গাছ দুটি স্কুল মাঠের উত্তরে পড়ে রয়েছে। স্কুল মাঠের দক্ষিণে ছিল আরেকটি জামগাছ। সেটিও ওই ঝড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গাছ তিনটি বিদ্যালয় মাঠের একটি বড় অংশ দখল করে আছে। তাই খেলাধুলার কোনো পরিবেশ নেই স্কুল মাঠে। সামান্য জায়গায় ফুটবল খেললে বল ফুটো হয়ে যায় গাছগুলোর ডালে লেগে। অনেক সময় শিশু শিক্ষার্থীরা মাটিতে পড়ে থাকা গাছের শুকনো ডালে উঠে খেলা করে। তাতে ব্যথা পাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে গাছগুলো মাটিতে পড়ে থাকায় বৃষ্টির পানিতে পচে, ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নষ্ট হচ্ছে। অপচয় হচ্ছে সরকারি সম্পদ। খেলার মাঠ উন্মুক্ত ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় দ্রুত অপসারণের দাবিও জানান তাঁরা।

ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, গাছ পড়ে থাকায় মাঠে খেলতে পারছে না। খেলতে না পারায় তাদের মন খারাপ। খেলার মাঠ আগের মতো হয়ে যাক তাই চায় তারা।

এ বিষয়ে পরাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজাদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাছ তিনটি নিয়ে খুব ঝামেলায় আছি। ঝড়ে উপড়ে যাওয়ার পরপরই অপসারণ করতে আবেদন করা হয়। শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বন কর্মকর্তাকে বহুবার অনুরোধও করেছি। কিন্তু কোনোভাবেই অপসারণ করা যাচ্ছে না গাছ তিনটি। এদিকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী ভীষণ চাপও দিচ্ছেন আমাকে। ইদানীং তাঁরা আমাকে দুষছেন। তাঁদের ধারণা, আমার কারণে গাছ অপসারণ হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমি এখন খুবেই বিরক্ত বোধ করছি।’

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনজুমান আরা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গাছ তিনটি অপসারণ করতে বহুবার যোগাযোগ করেছেন আমাদের হেড স্যার। কিন্তু কোনো কাজই হচ্ছে না। এগুলো সরকারি সম্পদ। সে কারণে বিদ্যালয়ের কোনো কাজে লাগাব সে ক্ষমতাও নেই আমাদের। কিন্তু গাছগুলো দিনে দিনে মাটিতে মিশে যাচ্ছে। করার কিছুই নেই।’

এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি একা মানুষ। সুন্দরগঞ্জ ছাড়াও সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর দেখতে হয় আমাকে। তা ছাড়া কাজের চাপও অনেক বেশি। এসব নানা কারণে দেরি হয়েছে। তবে ব্যবস্থা নিতে এ সপ্তাহে ওই বিদ্যালয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।’ 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে এসেছি বেশি দিন হয়নি। সে কারণে বিষয়টি জানা নেই।’ তবে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গাছ তিনটি অপসারণ করা হয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত