বিপ্লব রায়, শাল্লা (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই খেলার মাঠ। মাঠের অভাবে বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয় না। টিফিন কিংবা অন্য বিরতির সময় তারা শ্রেণিকক্ষে বসেই সময় পার করে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চারটি ইউনিয়নে ১০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাকা ভবন থাকলেও খেলার মাঠ নেই, যার কারণে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় বিকশিত হচ্ছে না হাওরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। টিফিনের ছুটি চার দেয়ালের ভেতরেই কাটাতে হচ্ছে।
উপজেলা সদর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে ২০৮ জন শিক্ষার্থী আছে। আট কক্ষের দুটি পাকা ভবনও আছে, কিন্তু খেলার মাঠ নেই। তাই শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জয় রায় বলে, ‘আমাদের স্কুলে খেলার মাঠ না থাকায় খেলা করিবার পাই না। টিফিন হইলে ক্লাসে বসি থাকি।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্তি রায় বলে, ‘টিভিত (টেলিভিশনে) দেখি শহরের স্কুলের মেয়েরা ফুটবল খেলায়, ক্রিকেট খেলায়। আমরার খেলার জায়গা নাই, খেলমো কেমনে।’
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস বলেন, বিদ্যালয়ের কাছে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশুদের খেলাধুলা করতে সমস্যা হচ্ছে।
প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮২ জন শিক্ষার্থী আছে। ছয়টি কক্ষের দুটি পাকা ভবন আছে, কিন্তু খেলার মাঠ নেই। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল দাস বলে, ‘ক্লাস করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাই। টিফিন হলে খেলার ইচ্ছা করে, কিন্তু মাঠ না থাকায় খেলা করতেও পারি না।’
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘উপজেলায় ১০৭টি বিদ্যালয় রয়েছে। কোনোটিতেই খেলার মাঠ নেই। তবে খেলার ব্যবস্থা করতে পারলে শিক্ষার্থীদের চিত্তবিনোদনে মন বিকশিত হত।’
শাল্লা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলেন, ‘শাল্লা হাওরাঞ্চলের একটি দুর্গম উপজেলা। এই উপজেলায় ১০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর জায়গার সংকট থাকায় কোনো মাঠের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে বিদ্যালয়ে ভূমিদাতারা একটু এগিয়ে এলে মাঠের ব্যবস্থা করা সম্ভব হতে পারে। এর পরও শিক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব জানান, অনেক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা না থাকায় খেলার মাঠের সংকট রয়েছে। এর পরও যেসব বিদ্যালয়ের সামনে ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই খেলার মাঠ। মাঠের অভাবে বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয় না। টিফিন কিংবা অন্য বিরতির সময় তারা শ্রেণিকক্ষে বসেই সময় পার করে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চারটি ইউনিয়নে ১০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাকা ভবন থাকলেও খেলার মাঠ নেই, যার কারণে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় বিকশিত হচ্ছে না হাওরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা। টিফিনের ছুটি চার দেয়ালের ভেতরেই কাটাতে হচ্ছে।
উপজেলা সদর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে ২০৮ জন শিক্ষার্থী আছে। আট কক্ষের দুটি পাকা ভবনও আছে, কিন্তু খেলার মাঠ নেই। তাই শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জয় রায় বলে, ‘আমাদের স্কুলে খেলার মাঠ না থাকায় খেলা করিবার পাই না। টিফিন হইলে ক্লাসে বসি থাকি।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্তি রায় বলে, ‘টিভিত (টেলিভিশনে) দেখি শহরের স্কুলের মেয়েরা ফুটবল খেলায়, ক্রিকেট খেলায়। আমরার খেলার জায়গা নাই, খেলমো কেমনে।’
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস বলেন, বিদ্যালয়ের কাছে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশুদের খেলাধুলা করতে সমস্যা হচ্ছে।
প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮২ জন শিক্ষার্থী আছে। ছয়টি কক্ষের দুটি পাকা ভবন আছে, কিন্তু খেলার মাঠ নেই। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল দাস বলে, ‘ক্লাস করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাই। টিফিন হলে খেলার ইচ্ছা করে, কিন্তু মাঠ না থাকায় খেলা করতেও পারি না।’
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘উপজেলায় ১০৭টি বিদ্যালয় রয়েছে। কোনোটিতেই খেলার মাঠ নেই। তবে খেলার ব্যবস্থা করতে পারলে শিক্ষার্থীদের চিত্তবিনোদনে মন বিকশিত হত।’
শাল্লা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলেন, ‘শাল্লা হাওরাঞ্চলের একটি দুর্গম উপজেলা। এই উপজেলায় ১০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর জায়গার সংকট থাকায় কোনো মাঠের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে বিদ্যালয়ে ভূমিদাতারা একটু এগিয়ে এলে মাঠের ব্যবস্থা করা সম্ভব হতে পারে। এর পরও শিক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব জানান, অনেক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা না থাকায় খেলার মাঠের সংকট রয়েছে। এর পরও যেসব বিদ্যালয়ের সামনে ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
৩ ঘণ্টা আগে