নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর ওপর ক্ষুব্ধ দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের মতামত ন্যূনতম গ্রাহ্য না করে বাজেটে মনগড়া নীতিমালা দেওয়ার পাশাপাশি সংস্থাটির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক প্রাক্-বাজেট আলোচনায় ব্যবসায়ীরা এসব অভিযোগ করেন। ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেসরকারি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সভার যৌথ আয়োজক ছিল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল ২৪। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা থেকে শুরু করে বড় বড় প্রায় প্রতিটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার।
এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রাক্-বাজেটে কথা বলি, এনবিআর তার কিছুই রাখে না। এমনকি আমাদের বৈঠকের কোনো মাইনটসও (কার্যবিবরণী) লেখা হয় না। এখন সময় হয়েছে কর আদায় ও করনীতি আলাদা করার। এনবিআর কর আদায় করুক। করনীতি প্রণয়নের দায়িত্ব অন্য কাউকে নিতে হবে।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভুল নীতির কারণেই ছোট শিল্প ধ্বংস হচ্ছে। এসআরওগুলো এমনভাবে করা হয় যেন কোম্পানিগুলো আউটসোর্সিং বা বাইরের সেবা নিতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘লাল ফিতা থাকবে না। আমরা আশা করব এবারের বাজেটে সত্যিই লাল ফিতা থাকবে না। আমাদের আলাপ-আলোচনার প্রতিফলন থাকবে।’
বিভিন্ন প্রাক্-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতির বিষয়ে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘আমি আজকে বেশি ফিল করছি আমাদের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবকে। তিনি সব প্রাক্-বাজেট আলোচনায় থাকতেন, নিজে নোট নিতেন। এমন কোনো চেম্বার অ্যাসোসিয়েশন নাই, যার আলোচনায় তিনি থাকতেন না। আজকে অর্থমন্ত্রীও নাই, এনবিআরের চেয়ারম্যানও নাই, এমনকি সংস্থাটির কোনো প্রতিনিধিও নাই। তাহলে রেড টেপ (লাল ফিতা) কি বাড়ছে না কমছে।’
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি বলেন, ‘কিন্তু কেউ কেউ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্যে এসে অনেক গরম হয়ে যান। এই জায়গা থেকে, এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে…। দে হ্যাব টু চেঞ্জ দেয়ার অ্যাটিচিউড।’
শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘এনবিআর নিজেদের কী ভাবছে জানি না। উনারা প্রজাতন্ত্রের শীর্ষ স্থানে থেকে দেশকে সেবা করছেন। আমরাও যার যার অবস্থান থেকে দেশকে সেবা করছি। যেই হন, উনারা তো (কথা) শুনবেন। কো-অর্ডিনেশনটা তো দরকার। অতীতে তো এটা হয়ে এসেছে। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যানরা নিজে এফবিসিসিআইয়ে যেতেন, ব্যবসায়ীদের কথা শুনতেন। আমাদের মধ্যে মতের অমিল থাকতে পারে কিন্তু একজনকে তো আরেকজনের কথা শুনতে হবে। করনীতির কাজ ট্যারিফ কমিশন করবে। এনবিআর তা বাস্তবায়ন করবে। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।’
শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি বলেন, ‘এনবিআর যেভাবে চলছে, আমাদের তো ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়ছে না, বরং কমে যাচ্ছে। এনবিআরের এনাফ ক্যাপাবিলিটি আছে। তারাও বিসিএস পরীক্ষা দেয়, তাদের যে অভিজ্ঞতা অর্জন হয়, তাদের মধ্য থেকে কেন লিডার তৈরি হবে না? কেন বাইরে থেকে আরেকজনকে যেতে হবে? সে কনটাকচুয়ালে যাবে, যাওয়ার পরে এক বছর শিখবে, পরের বছর গাট্টি গোছানোর জন্য প্যাকিং শুরু করবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘যারা একবার করনেটে ঢুকে পড়ে, তাদের ওপরই চাপ বাড়তে থাকে। অন্যরা বাইরে থেকে যায়। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।’ সব ব্যবসায়ীকে কর প্রদানের মানসিকতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, এ অনুষ্ঠানে এনবিআর থাকলে ভালো হতো। ট্যাক্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাবগুলো নিবিড়ভাবে দেখা দরকার।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। আমেরিকায় ব্যাংক ধসে পড়ায় নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আমেরিকার কাশি হলে তো সারা বিশ্বে জ্বর এসে যায়। এ অবস্থায় উচ্চাকাঙ্ক্ষার বাজেট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে কৃষিসহ গুরুত্বপূর্ণ সব খাতেই সরকার প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর ওপর ক্ষুব্ধ দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের মতামত ন্যূনতম গ্রাহ্য না করে বাজেটে মনগড়া নীতিমালা দেওয়ার পাশাপাশি সংস্থাটির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক প্রাক্-বাজেট আলোচনায় ব্যবসায়ীরা এসব অভিযোগ করেন। ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেসরকারি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সভার যৌথ আয়োজক ছিল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল ২৪। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা থেকে শুরু করে বড় বড় প্রায় প্রতিটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার।
এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রাক্-বাজেটে কথা বলি, এনবিআর তার কিছুই রাখে না। এমনকি আমাদের বৈঠকের কোনো মাইনটসও (কার্যবিবরণী) লেখা হয় না। এখন সময় হয়েছে কর আদায় ও করনীতি আলাদা করার। এনবিআর কর আদায় করুক। করনীতি প্রণয়নের দায়িত্ব অন্য কাউকে নিতে হবে।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভুল নীতির কারণেই ছোট শিল্প ধ্বংস হচ্ছে। এসআরওগুলো এমনভাবে করা হয় যেন কোম্পানিগুলো আউটসোর্সিং বা বাইরের সেবা নিতে না পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘লাল ফিতা থাকবে না। আমরা আশা করব এবারের বাজেটে সত্যিই লাল ফিতা থাকবে না। আমাদের আলাপ-আলোচনার প্রতিফলন থাকবে।’
বিভিন্ন প্রাক্-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতির বিষয়ে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘আমি আজকে বেশি ফিল করছি আমাদের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবকে। তিনি সব প্রাক্-বাজেট আলোচনায় থাকতেন, নিজে নোট নিতেন। এমন কোনো চেম্বার অ্যাসোসিয়েশন নাই, যার আলোচনায় তিনি থাকতেন না। আজকে অর্থমন্ত্রীও নাই, এনবিআরের চেয়ারম্যানও নাই, এমনকি সংস্থাটির কোনো প্রতিনিধিও নাই। তাহলে রেড টেপ (লাল ফিতা) কি বাড়ছে না কমছে।’
এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি বলেন, ‘কিন্তু কেউ কেউ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্যে এসে অনেক গরম হয়ে যান। এই জায়গা থেকে, এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে…। দে হ্যাব টু চেঞ্জ দেয়ার অ্যাটিচিউড।’
শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘এনবিআর নিজেদের কী ভাবছে জানি না। উনারা প্রজাতন্ত্রের শীর্ষ স্থানে থেকে দেশকে সেবা করছেন। আমরাও যার যার অবস্থান থেকে দেশকে সেবা করছি। যেই হন, উনারা তো (কথা) শুনবেন। কো-অর্ডিনেশনটা তো দরকার। অতীতে তো এটা হয়ে এসেছে। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যানরা নিজে এফবিসিসিআইয়ে যেতেন, ব্যবসায়ীদের কথা শুনতেন। আমাদের মধ্যে মতের অমিল থাকতে পারে কিন্তু একজনকে তো আরেকজনের কথা শুনতে হবে। করনীতির কাজ ট্যারিফ কমিশন করবে। এনবিআর তা বাস্তবায়ন করবে। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।’
শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি বলেন, ‘এনবিআর যেভাবে চলছে, আমাদের তো ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়ছে না, বরং কমে যাচ্ছে। এনবিআরের এনাফ ক্যাপাবিলিটি আছে। তারাও বিসিএস পরীক্ষা দেয়, তাদের যে অভিজ্ঞতা অর্জন হয়, তাদের মধ্য থেকে কেন লিডার তৈরি হবে না? কেন বাইরে থেকে আরেকজনকে যেতে হবে? সে কনটাকচুয়ালে যাবে, যাওয়ার পরে এক বছর শিখবে, পরের বছর গাট্টি গোছানোর জন্য প্যাকিং শুরু করবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘যারা একবার করনেটে ঢুকে পড়ে, তাদের ওপরই চাপ বাড়তে থাকে। অন্যরা বাইরে থেকে যায়। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।’ সব ব্যবসায়ীকে কর প্রদানের মানসিকতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, এ অনুষ্ঠানে এনবিআর থাকলে ভালো হতো। ট্যাক্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাবগুলো নিবিড়ভাবে দেখা দরকার।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। আমেরিকায় ব্যাংক ধসে পড়ায় নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আমেরিকার কাশি হলে তো সারা বিশ্বে জ্বর এসে যায়। এ অবস্থায় উচ্চাকাঙ্ক্ষার বাজেট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে কৃষিসহ গুরুত্বপূর্ণ সব খাতেই সরকার প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখবে।
ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানি ও তাঁর ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগপত্র দাখিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই ধারণা করছেন ঢাকার জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এমন এক
৩৯ মিনিট আগেঅর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
২০ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
২১ ঘণ্টা আগে