Ajker Patrika

পাকিস্তানের গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে শ্রমিক শোষণের ভয়াবহ চিত্র

অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে শ্রমিক শোষণের ভয়াবহ চিত্র

পাকিস্তানের গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য উঠে এসেছে। গার্মেন্টসকর্মীর অধিকার বিষয়ক সংগঠন লেবার বিহাইন্ড দ্য লেবেলের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। মানবাধিকার আইন বিষয়ক সংস্থা গ্লোবাল রাইটস কমপ্লায়েন্স এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছে।

প্রতিবেদনে পাকিস্তানের গার্মেন্ট শিল্পের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। ন্যূনতম মজুরি আইন লঙ্ঘন, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা (ওভারটাইম), কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে অবহেলা এবং আহত ও মৃত কর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ না দেওয়াসহ নানা বঞ্চনায় জর্জরিত পাকিস্তানের এ খাত। 

পাকিস্তানের এসব গার্মেন্ট কারখানার পোশাক কেনে গ্যাপ, অ্যাডিডাস, আসদা, এইচ অ্যান্ড এম, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, পুমা, লিভাইস, প্রাইমার্ক, বুহু এবং ইন্ডিটেক্সের (জারার মূল প্রতিষ্ঠান) মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ড।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অপ্রত্যাশিতভাবে ব্র্যান্ডগুলো প্রতিবেদনে উল্লেখিত সরবরাহকারীর কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করলেও সাপ্লাই চেইনে নজরদারির বিষয়ে বড় ধরনের ফাঁকফোকর রয়েছে। যদিও তাদের দাবি, তারা কঠোরভাবে সামাজিক নিরীক্ষা প্রক্রিয়া মেনে চলে।

এ কারখানাগুলো অনানুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে কর্মীদের শোষণ করছে। কর্মীদের পেছনে ব্যয় ও ঝুঁকি হ্রাসের উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয় বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এক জরিপে দেখা গেছে, এ ধরনের নিয়োগ ব্যবস্থার জন্য শ্রমশক্তির এক–তৃতীয়াংশেরও বেশি ন্যূনতম মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

এ ছাড়া কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। কারখানাগুলোতে কর্মীরা তুলার আঁশ ও ধোঁয়াপূর্ণ বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করেন। এমনকি কর্মক্ষেত্রের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে এক কর্মীর মৃত্যুর খবর চেপে যাওয়ার মতো ঘটনাও আছে। সেই কর্মীর পরিবারকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণও দেয়নি সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গ্লোবাল রাইটস কমপ্লায়েন্সের বাণিজ্য ও মানবাধিকার প্রধান লারা স্ট্র্যাংওয়েস। তিনি বলেন, ‘এ প্রতিবেদনের তথ্যগুলো ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি জরুরি সতর্কবার্তা হতে পারে। এ তথ্যগুলো পণ্য তৈরিতে মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার লঙ্ঘন চিহ্নিত করতে পারার চরম ব্যর্থতাকেই ইঙ্গিত করছে।’

লারা আরও বলেন, ‘সামাজিক নিরীক্ষা এ শোষণ ও লঙ্ঘনগুলো ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং স্পষ্টতই উদ্দেশ্যসাধনের জন্য এ প্রক্রিয়া যথেষ্ট নয়। ব্র্যান্ডগুলোকে অবশ্যই তাদের সোর্সিং পদ্ধতি পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং শ্রমিক বিক্ষোভ সমাধানের জন্য আলোচনা শুরু করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত