রোজার আগেই বাড়ল ছোলা-খেসারির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০: ০৪
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০: ৩৮

রোজা শুরুর তিন সপ্তাহ আগেই বাড়ল ছোলা, ডাবলি, অ্যাংকর ও খেসারি ডালের দাম। ভোক্তারা ইফতারের জন্য এসব কেনা শুরু না করলেও ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই দাম বাড়িয়ে রাখলেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব পাইকারি ও খুচরা বাজারে ছোলা, ডাবলি, অ্যাংকর ও খেসারি ডালের দাম বেড়েছে। বর্তমানে আমদানিকারকদের কাছ থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এবং পাইকারদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য কিনছেন। 

পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের পাইকারি ডাল ব্যবসায়ীরা জানান, এক মাস আগে প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল মানভেদে ৭৫-৭৮ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮৬-৯৫ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগের ৬৬-৬৮ টাকার অ্যাংকর এখন ৭৪, ৭৫-৭৬ টাকার খেসারি ১০৪ এবং ৬৪-৬৬ টাকার ডাবলি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকায়। 

রহমতগঞ্জের মেসার্স এস আলম এন্টারপ্রাইজের মালিক আলী আজগর বলেন, ছোলার দাম এক মাস আগে বাড়লেও ইদানীং বেড়েছে অ্যাংকর, খেসারি ও ডাবলির দাম। 

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের ব্যবসায়ীরাও ডালের মূল্যবৃদ্ধির কথা জানালেন। নিতাইগঞ্জের ব্যবসায়ী বিকাশ চন্দ্র সাহা বলেন, বড় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করলে বাজারে দাম বাড়বে না। তবে সরবরাহে সমস্যা হলে দাম আরও বাড়বে। ছোলার দাম এক-দেড় মাস আগে বাড়ার পর ইদানীং আরেক দফা বেড়েছে বলে জানান সেগুনবাগিচা বাজারের মুদিদোকানি মেসার্স আল্লাহর দান স্টোরের মালিক শিপন আহমেদ। বনশ্রীর মুদিদোকানি মিনহাজ উদ্দিন বলেন, এক মাস আগে প্রতি কেজি ছোলা ৯০-৯২ টাকা থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। ৯০ টাকার খেসারি ১১০ এবং ৭০ টাকার অ্যাংকর ডাল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে ২ লাখ ৩০ হাজার ১১৮ দশমিক ৫৫ টন ছোলা আমদানির এলসি খোলা হয়েছিল। গত বছর ১ লাখ ১১ হাজার ২৪৬ টনের এলসি খোলা হয়, যা আগের বছরের চেয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৭২ দশমিক ৫৫ টন কম। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিপমেন্ট হওয়ার কথা ৮৮ হাজার ৫০৯ টন ছোলার। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত