আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নতুন কিছুই ছিল না, যদিও আগে থেকে বেশ কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন অংশীজনেরা। বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো আলোচনা না থাকায় শঙ্কার যে মেঘ গাঢ় হয়েছিল, তা কেটে গেল পরের কর্মদিবসেই। গতকাল রোববার পুঁজিবাজারে সূচকের পাশাপাশি লেনদেন বেড়ে প্রায় সাত মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নতুন কোনো সুবিধা থাকছে না, তা আগেই স্পষ্ট হয়েছিল। তাই আশাহত না হয়ে আস্থা রেখে বাজারে আসছেন বিনিয়োগকারীরা। তাঁদের ইচ্ছাশক্তির জোরেই বাজারে ইতিবাচক প্রবাহ বজায় রয়েছে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডয়েচে ভেলের এক সাক্ষাৎকারে আমাদের সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন বলেছিলেন, ডলার-সংকটসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সরকারের সামনে, সেগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজারের প্রতি বিশেষভাবে নজর দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়েই বাজারসংশ্লিষ্টরা আভাস পেয়েছিলেন, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বেশি কিছু থাকবে না।’
অধ্যাপক আল আমিন বলেন, ‘আরেকটা গুজব ছিল, সেকেন্ডারি মার্কেটের কর-রেয়াত সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে; কিন্তু এই জায়গায় পরিবর্তন হয়নি। মানুষ ধরে নিয়েছে, নতুন কোনো বোঝা চাপানো হয়নি। তাই বাজেটের প্রভাব এখানে থাকবে না। এটা ধরেই বিনিয়োগকারীরা এগোচ্ছেন।’
এই আলোচনার মধ্যে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে, যা গত ৮ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ। আগের দিনের চেয়ে আড়াই শ কোটি টাকার বেশি বেড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এ সময়ের পর এত বেশি লেনদেন হয়নি পুঁজিবাজারে। তবে লেনদেনে গতি ফিরতে শুরু করেছিল বাজেট প্রস্তাবের কিছুদিন আগে থেকেই।
বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলে নিম্নমুখী হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। বিনিয়োগকারীরা ‘সেফ সাইডে’ চলে যেতে চান। আবার সেখানে যেতে যেতে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হলে বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসেন। সেটাই ঘটছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের আস্থা ফিরেছে যে বাজার এখন সর্বনিম্ন স্থানে আছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াবে। লেনদেন বাড়ার কারণ হলো, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।’
তবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কয়েকটি অনুঘটক থাকতে পারে বলে মনে করেন আল আমিন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন বেশির ভাগ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় সাইডলাইনে ছিলেন অনেক বিনিয়োগকারী। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন বিও হয়েছে এবং পুরোনো অনেক বিনিয়োগকারী ফিরেছেন। এসব কারণে যখন কিছু শেয়ার ফ্লোর প্রাইস থেকে জেগে উঠেছে, তখন বাজারে কিছু তারল্য সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে সাইডলাইন থাকা বিনিয়োগকারীরা আসছেন, অন্যদিকে বাজারে যাঁদের কিছু টাকা ফ্রি হয়েছে, তাঁরাও অংশ নিচ্ছেন।’
এই পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি সম্প্রতি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে, বর্তমানে এর প্রবাহ আরও বেশি। এ থেকে তাদের সন্দেহ, পাচার করা টাকা দেশে রেমিট্যান্স হিসেবে ঢুকছে। নতুন ভিসা নীতির কারণে যাঁরা টাকা পাচার করতেন, তাঁরা হয়তো সতর্ক হয়ে গেছেন। সে ক্ষেত্রে অপ্রদর্শিত অর্থ বাইরে না গিয়ে কিছু পুঁজিবাজারেও আসতে পারে। কারণ, এ টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলেও রাখতে পারবেন না।’
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নতুন কিছুই ছিল না, যদিও আগে থেকে বেশ কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন অংশীজনেরা। বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো আলোচনা না থাকায় শঙ্কার যে মেঘ গাঢ় হয়েছিল, তা কেটে গেল পরের কর্মদিবসেই। গতকাল রোববার পুঁজিবাজারে সূচকের পাশাপাশি লেনদেন বেড়ে প্রায় সাত মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নতুন কোনো সুবিধা থাকছে না, তা আগেই স্পষ্ট হয়েছিল। তাই আশাহত না হয়ে আস্থা রেখে বাজারে আসছেন বিনিয়োগকারীরা। তাঁদের ইচ্ছাশক্তির জোরেই বাজারে ইতিবাচক প্রবাহ বজায় রয়েছে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডয়েচে ভেলের এক সাক্ষাৎকারে আমাদের সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন বলেছিলেন, ডলার-সংকটসহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সরকারের সামনে, সেগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজারের প্রতি বিশেষভাবে নজর দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়েই বাজারসংশ্লিষ্টরা আভাস পেয়েছিলেন, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বেশি কিছু থাকবে না।’
অধ্যাপক আল আমিন বলেন, ‘আরেকটা গুজব ছিল, সেকেন্ডারি মার্কেটের কর-রেয়াত সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে; কিন্তু এই জায়গায় পরিবর্তন হয়নি। মানুষ ধরে নিয়েছে, নতুন কোনো বোঝা চাপানো হয়নি। তাই বাজেটের প্রভাব এখানে থাকবে না। এটা ধরেই বিনিয়োগকারীরা এগোচ্ছেন।’
এই আলোচনার মধ্যে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে, যা গত ৮ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ। আগের দিনের চেয়ে আড়াই শ কোটি টাকার বেশি বেড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এ সময়ের পর এত বেশি লেনদেন হয়নি পুঁজিবাজারে। তবে লেনদেনে গতি ফিরতে শুরু করেছিল বাজেট প্রস্তাবের কিছুদিন আগে থেকেই।
বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলে নিম্নমুখী হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। বিনিয়োগকারীরা ‘সেফ সাইডে’ চলে যেতে চান। আবার সেখানে যেতে যেতে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হলে বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসেন। সেটাই ঘটছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একধরনের আস্থা ফিরেছে যে বাজার এখন সর্বনিম্ন স্থানে আছে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াবে। লেনদেন বাড়ার কারণ হলো, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।’
তবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কয়েকটি অনুঘটক থাকতে পারে বলে মনে করেন আল আমিন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন বেশির ভাগ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় সাইডলাইনে ছিলেন অনেক বিনিয়োগকারী। সাম্প্রতিক সময়ে নতুন বিও হয়েছে এবং পুরোনো অনেক বিনিয়োগকারী ফিরেছেন। এসব কারণে যখন কিছু শেয়ার ফ্লোর প্রাইস থেকে জেগে উঠেছে, তখন বাজারে কিছু তারল্য সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে সাইডলাইন থাকা বিনিয়োগকারীরা আসছেন, অন্যদিকে বাজারে যাঁদের কিছু টাকা ফ্রি হয়েছে, তাঁরাও অংশ নিচ্ছেন।’
এই পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি সম্প্রতি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে, বর্তমানে এর প্রবাহ আরও বেশি। এ থেকে তাদের সন্দেহ, পাচার করা টাকা দেশে রেমিট্যান্স হিসেবে ঢুকছে। নতুন ভিসা নীতির কারণে যাঁরা টাকা পাচার করতেন, তাঁরা হয়তো সতর্ক হয়ে গেছেন। সে ক্ষেত্রে অপ্রদর্শিত অর্থ বাইরে না গিয়ে কিছু পুঁজিবাজারেও আসতে পারে। কারণ, এ টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলেও রাখতে পারবেন না।’
ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানি ও তাঁর ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগপত্র দাখিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই ধারণা করছেন ঢাকার জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এমন এক
১ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
২১ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১ দিন আগে