Ajker Patrika

দিনদুপুরে কাঠ পাচার, জানে না বন বিভাগ

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১১: ৪৫
দিনদুপুরে কাঠ পাচার, জানে না বন বিভাগ

রাঙামাটিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জ্বালানি কাঠ পাচারে জড়িত চোরাকারবারিরা। কাঠ পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে রাঙামাটির মানিকছড়ি উপজেলার আমছড়ি-মানিকছড়ি ইটসলিং সড়কটি। প্রতিদিন দিনদুপুরে এ রুটে দিয়ে পাচার হচ্ছে জ্বালানি কাঠ।

জানা গেছে, রাঙামাটির মগবান, বালুখালী, জীবতলিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব কাঠ নৌকায় করে আনা হচ্ছে আমছড়িতে। সেখান থেকে জিপ ও ট্রাকে নেওয়া হচ্ছে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ইটভাটায়। এ ছাড়া কাউখালীর ঘাগড়া-কাউখালী সড়কটি ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী প্রাকৃতিক ও সামাজিক বনের কাঠে জ্বালানি হিসেবে পাচার করছে চোরাকারবারিরা। তবে বিষয়টি স্বীকার করছে না বন বিভাগ। ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ একে অপরের ওপর দায় চাপিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকছড়ির আমছড়ি সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে জ্বালানি কাঠ তোলা হচ্ছে। এ কাঠগুলো পানিপথে আমছড়িতে আনা হয়েছিল। এ সময় এক শ্রমিক বলেন, ‘এগুলো ইটভাটায় নেওয়া হবে।’

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিনদুপুরে মানিকছড়ি-আমছড়ি সড়ক দিয়ে জ্বালানি কাঠ পাচার করা হচ্ছে। কিন্তু বন বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দিনে কখনো চার গাড়ি আবার কখনো দুই গাড়ি করে জ্বালানি কাঠ পাচার করা হচ্ছে।

পরিবেশকর্মী জাহাঙ্গীর আলম মুন্না বলেন, ‘রাঙামাটির পার্শ্ববর্তী রাঙুনিয়ায় শতাধিক ইটভাটায় ইট পোড়ানোর মৌসুমে রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি কাঠ নেওয়া হয়। এগুলো সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নেওয়া হয়। এর কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাকৃতিক বন উজাড় হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। পানির উৎস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এটি বন্ধ করা দরকার।’

এ ব্যাপারে বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ একে অপরের ওপর দায় চাপিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জে দায়িত্বরত রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এলাকাটি ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ দেখাশোনা করে। আমরা করি না।’ ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জে দায়িত্বরত রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমছড়ি-মানিকছড়ি রোড এলাকাটি দক্ষিণ বন বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে।’

জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ছালেহ মো. শোয়াইব খান বলেন, ‘বিষয়টি আমি আমার কর্মকর্তাকে দেখতে বলেছি। তবু আপনি জ্বালানি কাঠ পাচার হতে দেখলে আমাকে একটু বলবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত