Ajker Patrika

মাঠে সক্রিয় হচ্ছেন আব্বাস

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬: ১৮
মাঠে সক্রিয় হচ্ছেন আব্বাস

বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা নেতাদের প্রতি নমনীয় হয়েছে আওয়ামী লীগ। যাঁরা অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চাইছেন, তাঁদের কেন্দ্র থেকে ক্ষমা করে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীও দলে মনোযোগ দিয়েছেন।

এক বছর কারাভোগের পর গত বছরের নভেম্বর মাসে জামিনে মুক্তি পান আব্বাস আলী। এরপর থেকে তিনি আবার রাজনীতির মাঠে ফিরেছেন। এদিকে স্থানীয় ছন্নছাড়া নেতা-কর্মীরাও আব্বাস আলীর উপস্থিতিতে সরব হতে শুরু করেছেন।

আব্বাস আলী কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবার তিনি কাটাখালী পৌরসভার মেয়র হন। এরপর ২০২০ সালে নৌকা নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হন তিনি।

কিন্তু ২০২১ সালের নভেম্বরে ঘরোয়া বৈঠকের বিতর্কিত কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে তাঁর। এতে তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারে যান। এর মধ্যেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাঁকে বরখাস্ত করে। দলীয় পদ থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।

এদিকে আব্বাস আলীর ডাকে তাঁর ঝিমিয়ে পড়া কর্মীরা গত ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় কাটাখালী থেকে প্রায় তিন হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে মহড়া বের করেন। আব্বাস আলী নিজেও মাদ্রাসা ময়দানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, কাটাখালী এলাকার প্রভাবশালী জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান হরিয়ান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কাটাখালী পৌরসভার মেয়র হিসেবে টানা ২০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু সবশেষ দুই পৌর নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এই মাজেদুর রহমানকে পরাজিত করেছেন আব্বাস আলী।

কাটাখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাটাখালী একসময় বিএনপি-জামায়াত-অধ্যুষিত এলাকা ছিল। কিন্তু আব্বাস মেয়র হওয়ার পর ২০১৫ সাল থেকে এখানে বিএনপি-জামায়াতের কোনো অস্তিত্ব ছিল না।

আব্বাসের অনুপস্থিতিতে গত এক বছরে বিএনপি-জামায়াত আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। নির্বাচনের আগেই তিনি ফিরবেন বলে মনে করি।’

আব্বাস আলী বলেন, ‘কাটাখালীর উন্নয়ন থমকে গেছে। এখানে বিএনপি-জামায়াত আবার উত্থান শুরু করেছে। আমি সক্রিয় থাকার সময় তাঁরা পারেনি।’

আব্বাস আলীর ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা জানিয়েছেন, তাঁর বিষয়টি নিয়ে এখনো নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাঁরাও কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল বলেন, ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের তো ক্ষমা করা হচ্ছে। তিনি অন্যায় করেছেন, তাঁর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু আব্বাস আলী ক্ষমা চেয়েছেন কি না, তা জানা নেই। ক্ষমা চাইলে নিশ্চয়ই কেন্দ্রীয় কমিটি এটা বিবেচনা করে দেখবে।’

এ বিষয়ে আব্বাস আলী জানান, জেলা আওয়ামী লীগ তাঁকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল; কিন্তু বহিষ্কার করেনি। বহিষ্কারের কোনো চিঠি কেন্দ্র থেকেও পাননি। যেহেতু তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি, তাই তিনি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেননি। এখন হাইকমান্ডের দিকে তাকিয়ে আছেন। দল যেভাবে কাজ করতে বলবে, তিনি সেভাবেই করবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত