ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ অফিসে ককটেল হামলা ও নাশকতার আশঙ্কার মামলায় ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও একজন ব্যাংকের কর্মচারী রয়েছেন। এ ছাড়া ঝিনাইদহ শহরের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলরের ভাইও রয়েছেন। গত শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা থেকে ১৩ জন, কালীগঞ্জ থেকে ১১, মহেশপুর থেকে ৭, কোটচাঁদপুর থেকে ৫ ও হরিণাকুণ্ডু থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেনের ভাই আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে নাশকতা মালায় গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার দিন রাজ্জাক বাড়িতেই ছিলেন।
যদিও গ্রেপ্তার রাজ্জাকের ভাই কাউন্সিলর মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই নাশকতা নয়, অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলছেন, তাঁকে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে তাঁকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা-ও বলেননি তিনি।
এদিকে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে কয়েকজনের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও একজন ব্যাংকের কর্মচারী রয়েছেন।
জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর উপজেলার বারবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। গ্রেপ্তার ১১ জনকে এই মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী আশিক হোসাইনের বাবা আলম হোসেন পেশায় ট্রাকচালক। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। রাত একটার দিকে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে গেছে।’
সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের বিএম শাখার শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, বিএম শাখার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কারিগরি বোর্ডের অধীনে বাস্তব প্রশিক্ষণ পরীক্ষা চলমান রয়েছে। এ পরীক্ষা চার সপ্তাহ ধরে চলে। এর মধ্যে দুই সপ্তাহ শেষ হয়েছে।
একই কথা ব্যাংক কর্মচারী আমানত আলী মোল্লার ছেলে ফরহাদ হোসেনের। তিনি বলেন, ‘বাবা রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে পুলিশ এসে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এ সময় যেতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ব্যাংক থেকে টাকা লুট করেছেন—এমন অভিযোগ করে তারা বাবাকে থানায় নিয়ে যায়।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আবু জাফর বলেন, বারবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। শনিবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার সবাইকে ওই মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ অফিসে ককটেল হামলা ও নাশকতার আশঙ্কার মামলায় ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও একজন ব্যাংকের কর্মচারী রয়েছেন। এ ছাড়া ঝিনাইদহ শহরের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলরের ভাইও রয়েছেন। গত শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা থেকে ১৩ জন, কালীগঞ্জ থেকে ১১, মহেশপুর থেকে ৭, কোটচাঁদপুর থেকে ৫ ও হরিণাকুণ্ডু থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. লিয়াকত হোসেনের ভাই আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে নাশকতা মালায় গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার দিন রাজ্জাক বাড়িতেই ছিলেন।
যদিও গ্রেপ্তার রাজ্জাকের ভাই কাউন্সিলর মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই নাশকতা নয়, অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলছেন, তাঁকে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে তাঁকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা-ও বলেননি তিনি।
এদিকে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে কয়েকজনের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও একজন ব্যাংকের কর্মচারী রয়েছেন।
জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর উপজেলার বারবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। গ্রেপ্তার ১১ জনকে এই মামলার আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী আশিক হোসাইনের বাবা আলম হোসেন পেশায় ট্রাকচালক। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। রাত একটার দিকে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে গেছে।’
সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের বিএম শাখার শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, বিএম শাখার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কারিগরি বোর্ডের অধীনে বাস্তব প্রশিক্ষণ পরীক্ষা চলমান রয়েছে। এ পরীক্ষা চার সপ্তাহ ধরে চলে। এর মধ্যে দুই সপ্তাহ শেষ হয়েছে।
একই কথা ব্যাংক কর্মচারী আমানত আলী মোল্লার ছেলে ফরহাদ হোসেনের। তিনি বলেন, ‘বাবা রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে পুলিশ এসে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এ সময় যেতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ব্যাংক থেকে টাকা লুট করেছেন—এমন অভিযোগ করে তারা বাবাকে থানায় নিয়ে যায়।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আবু জাফর বলেন, বারবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। শনিবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার সবাইকে ওই মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে