নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
দেশে অনেক শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও যৌন নির্যাতন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। এমনকি গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষকও এ ব্যাপারে সচেতন নন। এ কারণে যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিতে সবাইকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি।
পাশাপাশি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি করার পাশাপাশি তা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সমিতির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ‘কর্মস্থল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সালমা আলী বলেন, ‘আমরা নারী বান্ধব আইন, কমিটি, কোর্ট, পুলিশ স্টেশন চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি করার প্রস্তাব এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি। এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সালমা আলী আরও বলেন, ‘এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই ১০ মাসে জাতীয় দৈনিক ও নিউজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী ৩ হাজার ৬০ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ৬৬ জন পাচারের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ১৮ জনই কন্যা শিশু।’
আজকের পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, ‘বিচারের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে না পারলে নারী নির্যাতন প্রতিকার সম্ভব হবে না। এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য বিচার বিভাগের বিচারক স্বল্পতাসহ অন্যান্য জটিলতা দূর করতে হবে। এ জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবে এখনো কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।’
ধর্ষণের ঘটনা গণমাধ্যমে যেভাবে প্রচার হয়, এর ফলোআপ নিয়ে তেমন উদ্যোগ তেমন দেখা যায় না উল্লেখ করে সালমা আলী বলেন, ‘ধর্ষণের মুখোমুখি বা ভুক্তভোগী নারীর চরিত্র নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না, নতুন করে তৈরি এ আইন নারী অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ রাখবে। গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষকও জানেন না যৌন নির্যাতন কী। এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিতে সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সংগঠনের পরিচালক অ্যাডভোকেট দিল সেতারা জানান, নারীদের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭১ শতাংশ কমিটি রয়েছে, তবে কর্মস্থলগুলোতে কমিটি রয়েছে মাত্র ৩৯ শতাংশ। আর গঠন করা এসব কমিটির মধ্যে কার্যকর আছে মাত্র ৪৪ শতাংশ। এ ছাড়া ৫৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে কোনো অভিযোগ বাক্সও নেই।
এ সময় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন বলেন, ‘১১টি নির্দেশনা ছিল হাইকোর্টের। নির্দেশনাগুলো এখনো পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। শ্রম আইনের সংশোধনীতে এই ১১টি সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে জন্য আইন ও শ্রম মন্ত্রণালয়কে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সীমা জহুর, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোবায়েদা পারভিন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য জেসমিন আরা বেগম, ব্যাংকার তামলিমা জাহান প্রমুখ।
দেশে অনেক শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও যৌন নির্যাতন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। এমনকি গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষকও এ ব্যাপারে সচেতন নন। এ কারণে যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিতে সবাইকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি।
পাশাপাশি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি করার পাশাপাশি তা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সমিতির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে ‘কর্মস্থল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সালমা আলী বলেন, ‘আমরা নারী বান্ধব আইন, কমিটি, কোর্ট, পুলিশ স্টেশন চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি করার প্রস্তাব এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি। এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সালমা আলী আরও বলেন, ‘এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই ১০ মাসে জাতীয় দৈনিক ও নিউজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী ৩ হাজার ৬০ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ৬৬ জন পাচারের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ১৮ জনই কন্যা শিশু।’
আজকের পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, ‘বিচারের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে না পারলে নারী নির্যাতন প্রতিকার সম্ভব হবে না। এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য বিচার বিভাগের বিচারক স্বল্পতাসহ অন্যান্য জটিলতা দূর করতে হবে। এ জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবে এখনো কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।’
ধর্ষণের ঘটনা গণমাধ্যমে যেভাবে প্রচার হয়, এর ফলোআপ নিয়ে তেমন উদ্যোগ তেমন দেখা যায় না উল্লেখ করে সালমা আলী বলেন, ‘ধর্ষণের মুখোমুখি বা ভুক্তভোগী নারীর চরিত্র নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না, নতুন করে তৈরি এ আইন নারী অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ রাখবে। গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষকও জানেন না যৌন নির্যাতন কী। এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিতে সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সংগঠনের পরিচালক অ্যাডভোকেট দিল সেতারা জানান, নারীদের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭১ শতাংশ কমিটি রয়েছে, তবে কর্মস্থলগুলোতে কমিটি রয়েছে মাত্র ৩৯ শতাংশ। আর গঠন করা এসব কমিটির মধ্যে কার্যকর আছে মাত্র ৪৪ শতাংশ। এ ছাড়া ৫৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে কোনো অভিযোগ বাক্সও নেই।
এ সময় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন বলেন, ‘১১টি নির্দেশনা ছিল হাইকোর্টের। নির্দেশনাগুলো এখনো পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। শ্রম আইনের সংশোধনীতে এই ১১টি সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে জন্য আইন ও শ্রম মন্ত্রণালয়কে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সীমা জহুর, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোবায়েদা পারভিন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য জেসমিন আরা বেগম, ব্যাংকার তামলিমা জাহান প্রমুখ।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৫ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৪ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫