নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি জুন মাসে ধর্ষণ ও নানাভাবে যৌন সহিংসতার শিকার ৭৬ জন আত্মহত্যা করেছেন। যেখানে এ সময় সারা দেশে ৩৩৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফ সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী জুন মাসে ৩৩৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬টি ধর্ষণ, ১৬টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং ৪টি ধর্ষণ ও হত্যা। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৬ জন এবং গণধর্ষণের শিকার ২ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী।
এ ছাড়া জুন মাসে ২১টি ধর্ষণের চেষ্টা, ২৪টি যৌন হয়রানি ও ৪৯টি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির এসব ঘটনার শিকার ৭৬ জন আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যাকারীদের ২৪ জন কিশোরী ও ৫২ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী এবং দুজন প্রতিবন্ধী নারী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার ৭৬ জনের মধ্যে ১৪ জন শিশু, ৪৩ জন কিশোরী। অপরদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯ জন কিশোরী এবং ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ১টি শিশু, ১ জন কিশোরী ও ২ জন নারী। অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছেন দুই জন নারী।
এ মাসে দুই শিশু ও ছয় কিশোরী নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জুন মাসে ৯ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ মোট ৫৬ শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ১৬ জন শিশু ও কিশোরী।
ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, হত্যা, আত্মহত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বিগত মাসগুলোর মতোই অব্যাহত রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমঘটিত ইত্যাদি কারণে এ হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুনে সরকার ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহিংসতা, হানাহানি হতাহতের ঘটনাসহ নাগরিক জীবনে উৎকণ্ঠা বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২৫ টি। রাজনৈতিক সহিংসতায় একজন নিহত ও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০৩ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুন মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং ২ জন সাংবাদিকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১ জন। এ ছাড়া এ মাসে ২ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন হামলায় আহত হয়েছেন ৫ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত ও লাঞ্ছিত হয়েছে ৩ জন সাংবাদিক।
জুন মাসে অন্তত ১৩টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৭ নিহত ও ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। চুরি বা ডাকাতি সন্দেহে ও নারীঘটিত কারণে গণপিটুনির ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে।
এসব ঘটনার পাশাপাশি জুনে কারা হেফাজতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২ জন কয়েদি ও ৬ জন হাজতি। প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে অপর্যাপ্ত চিকিৎসার কারণে অসুস্থ অধিকাংশ বন্দীকে কারাগারের বাইরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কারাগারের অভ্যন্তরে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি, হেফাজতে মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।
চলতি জুন মাসে ধর্ষণ ও নানাভাবে যৌন সহিংসতার শিকার ৭৬ জন আত্মহত্যা করেছেন। যেখানে এ সময় সারা দেশে ৩৩৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও এমএসএফ সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী জুন মাসে ৩৩৭টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬টি ধর্ষণ, ১৬টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং ৪টি ধর্ষণ ও হত্যা। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৬ জন এবং গণধর্ষণের শিকার ২ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী।
এ ছাড়া জুন মাসে ২১টি ধর্ষণের চেষ্টা, ২৪টি যৌন হয়রানি ও ৪৯টি শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির এসব ঘটনার শিকার ৭৬ জন আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যাকারীদের ২৪ জন কিশোরী ও ৫২ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী এবং দুজন প্রতিবন্ধী নারী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার ৭৬ জনের মধ্যে ১৪ জন শিশু, ৪৩ জন কিশোরী। অপরদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯ জন কিশোরী এবং ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ১টি শিশু, ১ জন কিশোরী ও ২ জন নারী। অ্যাসিড নিক্ষেপে আক্রান্ত হয়েছেন দুই জন নারী।
এ মাসে দুই শিশু ও ছয় কিশোরী নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জুন মাসে ৯ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ মোট ৫৬ শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ১৬ জন শিশু ও কিশোরী।
ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, হত্যা, আত্মহত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বিগত মাসগুলোর মতোই অব্যাহত রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমঘটিত ইত্যাদি কারণে এ হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুনে সরকার ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহিংসতা, হানাহানি হতাহতের ঘটনাসহ নাগরিক জীবনে উৎকণ্ঠা বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২৫ টি। রাজনৈতিক সহিংসতায় একজন নিহত ও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০৩ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুন মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং ২ জন সাংবাদিকসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১ জন। এ ছাড়া এ মাসে ২ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন হামলায় আহত হয়েছেন ৫ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত ও লাঞ্ছিত হয়েছে ৩ জন সাংবাদিক।
জুন মাসে অন্তত ১৩টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৭ নিহত ও ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। চুরি বা ডাকাতি সন্দেহে ও নারীঘটিত কারণে গণপিটুনির ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে।
এসব ঘটনার পাশাপাশি জুনে কারা হেফাজতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২ জন কয়েদি ও ৬ জন হাজতি। প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে অপর্যাপ্ত চিকিৎসার কারণে অসুস্থ অধিকাংশ বন্দীকে কারাগারের বাইরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কারাগারের অভ্যন্তরে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি, হেফাজতে মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৬ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৫ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫