Ajker Patrika

মামলা তুলে নিতে বাদীকে অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকি, তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
মামলা তুলে নিতে বাদীকে অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকি, তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ

মামলা তুলে না নিলে মামলার বাদী রোজিনা বেগমকে অ্যাসিড মেরে ঝলসে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জেল থেকে ছাড়া পাওয়া আসামি মো. হাবিব আকন। এরই মধ্যে মামলা তুলে না নেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে বাদীর দুই ভাইকে মারধর করেছেন ওই ব্যক্তি।

আজ শনিবার তালতলী সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন বাদী রোজিনা বেগম। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামের রোজিনা বেগম, আছিয়া বেগম, আব্দুল হক মিয়া ও আশ্রাব আলীর কাছ থেকে সরকারি জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার কথা বলে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন একই গ্রামের হাবিব আকন। গত পাঁচ বছরে ওই জমির বন্দোবস্ত দেননি। এ টাকা ফেরত চাইতে গেলে ভুক্তভোগীদের মিথ্যা মামলা ও জীবননাশের হুমকি দেন। 

অভিযোগ রয়েছে হাবিব আকন এলাকার অর্ধ শতাধিক লোকের কাছ থেকে সরকারি জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি রোজিনা বেগম বাদী হয়ে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাবিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হাবিব ৭ দিন জেল হাজতে ছিলেন। গত জুন মাসে হাজত থেকে বের হয়েই মামলার বাদী রোজিনা বেগমকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন তিনি।

রোজিনা অভিযোগ করে জানান, হাবিব আকন জেল থেকে বের হয়েই মামলা তুলে না নিলে তাঁকে অ্যাসিড মেরে ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেন। কিন্তু তিনি ওই মামলা তুলে নেননি। এর প্রতিশোধ নিতে গত বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে হাবিব আকনের নেতৃত্বে বাবুল হাওলাদার, জাহাঙ্গির ও হিরন হাওলাদারসহ ২৫-৩০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী তাঁর (রোজিনা) ভাই এমাদুল হাওলাদার ও তাঁর চাচাতো ভাই রেজাউলকে তুলে ইউনুস খাঁনের বাড়িতে নিয়ে যান। ওই খানে নিয়ে তাঁদের রশি দিয়ে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। 

এই খবর পেয়ে রোজিনা বেগম ৯৯৯ ফোন দেন। তুলে নেওয়ার তিন ঘণ্টা পরে ওই বাড়ি থেকে তাঁদের বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই দিন রাতে তাঁদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গত চার দিন ধরে তাঁরা ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

মারধরের শিকার এমাদুল হাওলাদার বলেন, ‘মামলা তুলে না নেওয়ায় আমার বোনের ওপর প্রতিশোধ নিতেই হাবিব আকন ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে ধরে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। পুলিশ উদ্ধার না করলে আমাকে মেরে ফেলত সন্ত্রাসীরা। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

মামলার বাদী রোজিনা বেগম বলেন, ‘হাবিব আকনের ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমার ভাইকে মারধরের ঘটনায় মামলা করতে পারছি না। আমি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হাবিব আকনের মোবাইলে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসের অপু বলেন, বিষয়টি জানি। এখানো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত