আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলীতে ইসমাইল শাহের মাজারে বার্ষিক ওরস চলাকালে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় গতকাল রোববার রাত সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে মাজারের ভেতরের শামিয়ানা ও দুটি বৈঠকখানা পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। হামলার সময় মারধর, ছোটাছুটি ও আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সোলায়মান, রেজাউল, বাদল মৃধা, দুলাল মৃধা, আবু বকর, আবুল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. মামুন, আবুল কালাম, জোবায়ের ও ফজলুল করিম। তাঁদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বটতলা এলাকায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহের মাজার চালু হয়। তখন থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ওরস উদ্যাপন করে আসছে। এবার ২৮তম ওরস রোববার সন্ধ্যায় শুরু হয়। কিন্তু রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে এসে ‘মাজার পূজা ও গানবাজনা’ বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরস বন্ধে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্য দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওমর ও বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে মাজারে হামলা চালান। তাঁরা ভাঙচুর করে আগুন দেন। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এ সময় ওরসে আসা ভক্ত ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আমতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ জানান, রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ততক্ষণে মাজারের ভেতরের শামিয়ানা ও দুই ঘর পুড়ে যায়।
মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর বলেন, ‘ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়। এতে মাজারের ভেতরের গিলাফ এবং দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা ভক্তদের মারধর ও মাজারের বাক্সে থাকা টাকা-পয়সা লুটপাট করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের নেতা বায়েজিদ বলেন, ‘মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীসহ বেশ কিছু সমর্থক গিয়ে মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে পবিত্র রমজান মাসে মাজার পূজা ও গানবাজনা করতে নিষেধ করে। কিন্তু তিনি তা মানতে নারাজ। একপর্যায়ে তাঁর ভক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর গায়ে হাত তোলে। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মাজার ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে।’
ওমর বলেন, ‘এ মাজার ভণ্ডের আস্তানা। এখানে ওরসের নামে গানবাজনা, গাঁজা-মাদক সেবন ও নারীর আসর বসে। যা সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী। আমরা মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে এই রমজান মাসে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি তা না শুনে তাঁর নির্দেশে তাঁর ভক্তরা আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এই ভণ্ড মাজারের খাদেম বাবুল উকিল ও তাঁর দোসরদের শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি আরিফুল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলীর ইউএনও আশরাফুল বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যাঁরাই জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার আমতলীতে ইসমাইল শাহের মাজারে বার্ষিক ওরস চলাকালে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় গতকাল রোববার রাত সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে মাজারের ভেতরের শামিয়ানা ও দুটি বৈঠকখানা পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। হামলার সময় মারধর, ছোটাছুটি ও আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সোলায়মান, রেজাউল, বাদল মৃধা, দুলাল মৃধা, আবু বকর, আবুল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. মামুন, আবুল কালাম, জোবায়ের ও ফজলুল করিম। তাঁদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বটতলা এলাকায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহের মাজার চালু হয়। তখন থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ওরস উদ্যাপন করে আসছে। এবার ২৮তম ওরস রোববার সন্ধ্যায় শুরু হয়। কিন্তু রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে এসে ‘মাজার পূজা ও গানবাজনা’ বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরস বন্ধে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্য দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওমর ও বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে মাজারে হামলা চালান। তাঁরা ভাঙচুর করে আগুন দেন। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এ সময় ওরসে আসা ভক্ত ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আমতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ জানান, রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ততক্ষণে মাজারের ভেতরের শামিয়ানা ও দুই ঘর পুড়ে যায়।
মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর বলেন, ‘ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়। এতে মাজারের ভেতরের গিলাফ এবং দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা ভক্তদের মারধর ও মাজারের বাক্সে থাকা টাকা-পয়সা লুটপাট করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের নেতা বায়েজিদ বলেন, ‘মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীসহ বেশ কিছু সমর্থক গিয়ে মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে পবিত্র রমজান মাসে মাজার পূজা ও গানবাজনা করতে নিষেধ করে। কিন্তু তিনি তা মানতে নারাজ। একপর্যায়ে তাঁর ভক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর গায়ে হাত তোলে। এতে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মাজার ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে।’
ওমর বলেন, ‘এ মাজার ভণ্ডের আস্তানা। এখানে ওরসের নামে গানবাজনা, গাঁজা-মাদক সেবন ও নারীর আসর বসে। যা সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী। আমরা মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে এই রমজান মাসে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি তা না শুনে তাঁর নির্দেশে তাঁর ভক্তরা আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এই ভণ্ড মাজারের খাদেম বাবুল উকিল ও তাঁর দোসরদের শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি আরিফুল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলীর ইউএনও আশরাফুল বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যাঁরাই জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১ দিন আগেধর্ষণের শিকার নারীর ছবি বা পরিচয় সংবাদ মাধ্যম কিংবা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলেই পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করতে পারবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বর্ণিত এই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়ায় জড়িত অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা যাবে।
৮ দিন আগেসাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
১৭ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫