বান্দরবান প্রতিনিধি
অপরাধে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বান্দরবানের পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি ব্যাংকে সশস্ত্র এই সন্ত্রাসীদের ডাকাতি ও এক কর্মকর্তাকে অপহরণ জেলায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
অনেকে বলছেন, এই ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হোঁচট খেল। কেএনএফের এই ডাকাতি ও অপহরণের কারণে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যর্থ হতে পারে বলে মনে করছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির কেউ কেউ। তবে কেএনএফের শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, ঘটনার বিষয়ে তারা কিছু জানে না। সংগঠনের যে অংশ শান্তির বিরোধিতা করছে, তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র ও জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘এই ঘটনায় শান্তিপ্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে। আমরা এই ঘটনায় স্তম্ভিত ও হতবাক। শান্তির সমঝোতা অমান্য করে তাদের এই ঘটনায় সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ।’
বিভিন্ন সূত্র জানায়, কেএনএফের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সাবেক ছাত্র নাথান বম। তিনি বর্তমানে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে অবস্থান করছেন। বম পার্টি নামেও পরিচিত এই সংগঠনটি রাঙামাটি ও বান্দরবানের ৯টি উপজেলায় বমসহ ৬টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ‘কুকি চিন রাজ্য’ করার দাবিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করে। বমরাই মূলত এর সদস্য। ২০১৭ সালে এর সশস্ত্র কার্যক্রম শুরু হয়েছিল কেএনভি নামে। সংগঠনের শতাধিক সদস্য মিয়ানমারের কাচিন ও কারেন প্রদেশ এবং ভারতের মণিপুর রাজ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় ২০১৯ সালে ফিরে আসে। কেএনএফের সশস্ত্র শাখার নাম কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। বান্দরবানের রুমা সীমান্ত ও মিজোরাম সীমান্তের জাম্পুই পাহাড়ে এর সশস্ত্র ও নিরস্ত্র মিলিয়ে ৬০০-এর বেশি সদস্য রয়েছে। তারা চাঁদাবাজি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে পুরো জেলায় আতঙ্ক তৈরি করে। রুমা ও থানচি উপজেলায় তাদের উৎপাত বেশি।
সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সঙ্গে কেএনএফের বিরোধ রয়েছে। কেএনএফের অপরাধমূলক তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের কারণে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। কেএনএফ টাকার বিনিময়ে তাদের ক্যাম্পে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের অনেক ঘাঁটি ধ্বংস হয় এবং সংগঠনটির তৎপরতা অনেকটা কমে যায়।
গত বছর কেএনএফের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ২০২৩ সালের জুনে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। কেএনএফের নেতাদের সঙ্গে এই কমিটির প্রথম বৈঠক হয় গত বছরের ১৯ জুলাই। দ্বিতীয় বৈঠক হয় ৪ আগস্ট। দুটিই ছিল ভার্চুয়াল বৈঠক। এতে পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমে যাওয়ায় আতঙ্কও কমে। দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক হয় ৫ নভেম্বর, ওই বৈঠকে চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক হয় গত ৫ মার্চ। এতে ৬ দফা দাবি আলোচনায় তোলা হয়। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন।
অনেকে বলছেন, সর্বশেষ বৈঠকের এক মাসের কম সময়ে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন ব্যাংকে কেএনএফের হামলা, ডাকাতি শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের আগ্রহকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাঁদের মতে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা নিয়ে কেএনএফে মতবিরোধ রয়েছে। এই ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। এই অংশ চায়, শান্তিপ্রক্রিয়া নস্যাৎ হোক।
একটি সূত্র বলেছে, ঘটনার পর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির এক সদস্য এ বিষয়ে কেএনএফের কাছে জানতে চাইলে সংগঠনটির প্রধান নাথান বমের উপদেষ্টা লালএংলিয়ান বম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, তাঁরাও এ ঘটনায় হতবাক।
এ ঘটনায় শান্তিপ্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে কি না প্রশ্নে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, ‘শান্তিপ্রক্রিয়ার সংলাপের মধ্যে কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
তিন ব্যাংক লুটের ঘটনায় কেএনএফকে নিয়ে জনমনে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অবশ্য বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘সব সংস্থা একযোগে কাজ করছে। সবকিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।’
অপরাধে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বান্দরবানের পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি ব্যাংকে সশস্ত্র এই সন্ত্রাসীদের ডাকাতি ও এক কর্মকর্তাকে অপহরণ জেলায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
অনেকে বলছেন, এই ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হোঁচট খেল। কেএনএফের এই ডাকাতি ও অপহরণের কারণে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যর্থ হতে পারে বলে মনে করছেন শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির কেউ কেউ। তবে কেএনএফের শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, ঘটনার বিষয়ে তারা কিছু জানে না। সংগঠনের যে অংশ শান্তির বিরোধিতা করছে, তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র ও জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘এই ঘটনায় শান্তিপ্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে। আমরা এই ঘটনায় স্তম্ভিত ও হতবাক। শান্তির সমঝোতা অমান্য করে তাদের এই ঘটনায় সবকিছু প্রশ্নবিদ্ধ।’
বিভিন্ন সূত্র জানায়, কেএনএফের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সাবেক ছাত্র নাথান বম। তিনি বর্তমানে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে অবস্থান করছেন। বম পার্টি নামেও পরিচিত এই সংগঠনটি রাঙামাটি ও বান্দরবানের ৯টি উপজেলায় বমসহ ৬টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ‘কুকি চিন রাজ্য’ করার দাবিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করে। বমরাই মূলত এর সদস্য। ২০১৭ সালে এর সশস্ত্র কার্যক্রম শুরু হয়েছিল কেএনভি নামে। সংগঠনের শতাধিক সদস্য মিয়ানমারের কাচিন ও কারেন প্রদেশ এবং ভারতের মণিপুর রাজ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় ২০১৯ সালে ফিরে আসে। কেএনএফের সশস্ত্র শাখার নাম কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। বান্দরবানের রুমা সীমান্ত ও মিজোরাম সীমান্তের জাম্পুই পাহাড়ে এর সশস্ত্র ও নিরস্ত্র মিলিয়ে ৬০০-এর বেশি সদস্য রয়েছে। তারা চাঁদাবাজি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে পুরো জেলায় আতঙ্ক তৈরি করে। রুমা ও থানচি উপজেলায় তাদের উৎপাত বেশি।
সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সঙ্গে কেএনএফের বিরোধ রয়েছে। কেএনএফের অপরাধমূলক তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের কারণে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। কেএনএফ টাকার বিনিময়ে তাদের ক্যাম্পে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের অনেক ঘাঁটি ধ্বংস হয় এবং সংগঠনটির তৎপরতা অনেকটা কমে যায়।
গত বছর কেএনএফের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ২০২৩ সালের জুনে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। কেএনএফের নেতাদের সঙ্গে এই কমিটির প্রথম বৈঠক হয় গত বছরের ১৯ জুলাই। দ্বিতীয় বৈঠক হয় ৪ আগস্ট। দুটিই ছিল ভার্চুয়াল বৈঠক। এতে পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমে যাওয়ায় আতঙ্কও কমে। দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক হয় ৫ নভেম্বর, ওই বৈঠকে চারটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক হয় গত ৫ মার্চ। এতে ৬ দফা দাবি আলোচনায় তোলা হয়। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন।
অনেকে বলছেন, সর্বশেষ বৈঠকের এক মাসের কম সময়ে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন ব্যাংকে কেএনএফের হামলা, ডাকাতি শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের আগ্রহকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাঁদের মতে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা নিয়ে কেএনএফে মতবিরোধ রয়েছে। এই ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। এই অংশ চায়, শান্তিপ্রক্রিয়া নস্যাৎ হোক।
একটি সূত্র বলেছে, ঘটনার পর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির এক সদস্য এ বিষয়ে কেএনএফের কাছে জানতে চাইলে সংগঠনটির প্রধান নাথান বমের উপদেষ্টা লালএংলিয়ান বম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, তাঁরাও এ ঘটনায় হতবাক।
এ ঘটনায় শান্তিপ্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে কি না প্রশ্নে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, ‘শান্তিপ্রক্রিয়ার সংলাপের মধ্যে কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’
তিন ব্যাংক লুটের ঘটনায় কেএনএফকে নিয়ে জনমনে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অবশ্য বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘সব সংস্থা একযোগে কাজ করছে। সবকিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে