Ajker Patrika

নোয়াখালীতে ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্টু গ্রেপ্তার

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪: ২৮
নোয়াখালীতে ভোটের রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণ: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্টু গ্রেপ্তার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মিন্টু ওরফে হেলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে গত পাঁচ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। 

গ্রেপ্তার মিন্টু সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে। 

চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্টুকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

ওসি বলেন, বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে ও ছদ্মনামে মিন্টু গত পাঁচ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা তথ্য-উপাত্ত ও নজরদারির মাধ্যমে তাঁকে রাজধানীর বাসাবো এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। 

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জের ধরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। 

ওই ঘটনার পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কার হওয়া প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিগত ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও মিন্টুসহ ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে মো. রুহুল আমিন, মৃত আবদুল হাসেমের ছেলে মো. হাসান আলী বুলু, মৃত ইসমাইলের ছেলে মো. সোহেল, মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে স্বপন, আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহীম খলিল, মৃত ছিডু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন আবু, ফকির আহাম্মদের ছেলে মো. সালাউদ্দিন, মো. মোতাহের হোসেনের ছেলে মো. জসীম উদ্দিন, মো. রফিকের ছেলে মো. মুরাদ ও মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জামাল হেঞ্জু। 

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. হানিফ, আবদুল হামিদের ছেলে মো. চৌধুরী, মৃত আহম্মদ উল্যার ছেলে মো. বাদশা আলম, তোফায়েল আহম্মদের ছেলে মোশারফ, মৃত আরব আলীর ছেলে মো. মিন্টু ওরফে হেলাল ও আবুল কালামের ছেলে মো. সোহেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত