Ajker Patrika

সস্তায় বিক্রিতে বাধ্য করছে প্রভাবশালী, লবণ নিয়ে বিপাকে ২০০ চাষি

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
সস্তায় বিক্রিতে বাধ্য করছে প্রভাবশালী, লবণ নিয়ে বিপাকে ২০০ চাষি

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের এরশাদ আলী ওয়াক্ফ এস্টেটের জমিতে উৎপাদিত লবণ বিক্রিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন দুই শতাধিক চাষি। বিক্রি করতে না পেরে মাঠে পড়ে রয়েছে ১ কোটি টাকা মূল্যমানের অন্তত ৩৫ হাজার মণ অপরিশোধিত লবণ। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এরশাদ আলী ওয়াক্ফ এস্টেটের প্রায় ২৪৭ একর জমি স্থানীয় সাত ব্যক্তিকে ২০২২ সালের (বাংলা ১৪২৮ সন) জন্য ইজারা দেন মোতাওয়াল্লি পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা। ইজারাদার হতে লাগিয়ত নিয়ে স্থানীয় কৃষকেরা কার্তিক মাসের প্রথম দিকে লবণ চাষ শুরু করেন। একেক জন কৃষক একর প্রতি জমিতে এক-দেড় শ মণ লবণ উৎপাদন করেছেন। কিন্তু এসব লবণ বিক্রি করতে পারছেন না তাঁরা।

লবণ চাষি বদিউল আলম বলেন, ‘মাঠে এসে আনচার, মোস্তাক ও নেজাম নামের স্থানীয় তিন প্রভাবশালী আমাদের প্রাণের ভয় দেখিয়ে লবণ বিক্রিতে বাধা দিচ্ছে। তাঁদের কাছে পানির দরে লবণ বিক্রিতে আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে। আনচার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আমরা তাঁর ভয়ে কিছু বলতে পারছি না।’

কৃষক আজিজ হোসেন বলেন, ‘আমরা লবণ চাষের এসব জমি জমির হোসেনের কাছ থেকে লাগিয়ত নিয়েছি। কিন্তু স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী আমাদের জিম্মি করে ন্যায্যমূল্য না দিয়ে লবণ বিক্রিতে বাধ্য করছে। তারা আমাদের লবণ উৎপাদনের ভারী পানি নষ্ট করে দিয়েছে। লবণ মাঠের আল কেটে দিয়েছে। উৎপাদিত লবণ নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা শতাধিক লবণ চাষি ইউএনওর কাছে গিয়ে এসব বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছি।’

সস্তায় লবণ বিক্রিতে বাধ্য করা হচ্ছে অভিযোগ করে লবণ চাষি শাহেদুল করিম বলেন, ‘বাজার দরের চাইতে লবণের দাম আমাদের কম দেওয়া হয়। এ ছাড়া, ৪০ কেজির পরিবর্তে ৫১ কেজিতে মণ হিসেবে লবণ বিক্রিতে বাধ্য করা হয়। স্থানীয় দালালেরা আমাদের জিম্মি করে রক্ত চুষে খাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জমির ইজারাদার জমির হোসেন বলেন, ‘এস্টেটের মোতাওয়াল্লি পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমার কাছ থেকে বৈধভাবে আমি জমির ইজারা নিয়েছি। কিন্তু স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী কৃষকদের জিম্মি করে উৎপাদিত লবণ লুটের চেষ্টা চালাচ্ছে।’

তবে লবণ চাষিদের অভিযোগ অস্বীকার করে নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘এস্টেটের মোতাওয়াল্লির কাছ থেকে আমি এসব জমি ইজারা নিয়েছি। এসব জমিতে উৎপাদিত লবণ আমার কাছেই বিক্রি করতে হবে। এটাই নিয়ম। আমার ইজারা নেওয়া জমিতে উৎপাদিত লবণ কৃষকেরা আমার কাছে বিক্রি করতে চাইছে না বলে তাদের সঙ্গে কিছুটা বাদানুবাদ হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এরশাদ আলী ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লি পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন, ‘লবণ চাষিরা আমাকে মৌখিকভাবে তাঁদের অভিযোগ জানিয়ে গেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত