উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
মাদকসেবীরা মাদক সেবনের পয়সা না থাকলেই ছিনতাই করেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। উত্তরা পশ্চিম থানায় আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গত বুধবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের বিএনএস সেন্টারের সামনে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হন। তাঁর নাম মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০)। এ সময় দেলোয়ারের ছোট ভাই মো. আনোয়ার হোসেন (২৬) ছুরিকাঘাতে আহত হন।
ওই দিনই অভিযান চালিয়ে দক্ষিণখানের একটি বস্তি থেকে ছিনতাইকারী রফিকুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, রাতে মিরপুরের কচুক্ষেতের একটি বস্তি থেকে সহযোগী মো. নাসিরকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে আজ রোববার তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ডিসি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘অধিকাংশ ছিনতাইকারী হচ্ছে মাদকসেবী। তাদের সাধারণ জ্ঞান থাকে না। যখন তাদের মাদকের প্রয়োজন হয়, তখন পকেটে পয়সা না থাকলে তারা ছিনতাই করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই দিন দেলোয়ার ও আনোয়ার তাঁদের মা, বাবা, ভাইসহ বাসার মালামাল নিয়ে ঢাকার ডেমরা থেকে একটি পিকআপে করে ময়মনসিংহের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। ওই পিকআপের চালকের পাশে বাবা-মা এবং পিকআপের পেছনে দুই ভাই বসাছিলেন। রাত ৩টার পর উত্তরার বিএনএস সেন্টারের পাশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উড়ালসেতুর পাশে পৌঁছায়। সেখানে একটু জ্যামের মধ্যে হঠাৎ করে একজন ছিনতাইকারী দেলোয়ারের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন ও কিছু টাকা ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন দেলোয়ার ও আনোয়ার দৌড়ে গিয়ে ছিনতাইকারীকে জাপটে ধরেন।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই সময় আরও দুজন ছিনতাইকারী চলে আসে। তখন দুই ভাইয়ের সঙ্গে ছিনতাইকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা দেলোয়ারের বুকে এবং তাঁর ভাই আনোয়ারের পায়ে ছুরিকাঘাত করে। আহতদের উদ্ধার করে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আরেকজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনার পরপরই ওই সময়ের কিছু আলামত ছিল। সেই আলামতের ভিত্তিতেই আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল ছিনতাইকারী ও হত্যাকারীকে দক্ষিণখানের একটি বস্তি থেকে গ্রেপ্তার করি। তার দেওয়া তথ্যমতে সহযোগীকে আমরা মিরপুরের পুরোনো কচুক্ষেতের সাগরিকা বস্তি থেকে রাতে গ্রেপ্তার করি।’
ডিসি মোর্শেদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া রকিফুল ইসলামই মূলত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটান। এ সময় তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন মো. নাসির। তাঁরা দুজনই দীর্ঘদিনের বন্ধু। উভয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও ব্যবসা করেন। তাঁদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।’
হত্যাকাণ্ড সংগঠনের সময় ছিনতাইকারীদের অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সময় তিনজন ছিনতাইকারী অংশগ্রহণ করেছিলেন। মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছিলেন রফিক। ভিকটিম রফিককে জড়িয়ে ধরলে তিনি ছুরিকাঘাত করেন। রফিকের সহযোগী হিসেবে আর দুজন ছিনতাইকারী ছিলেন। তিনজন মিলেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। একজন এখনো পলাতক।’
বিমানবন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিসি মোর্শেদ বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর সড়কে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। রাস্তার বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ চলছে। যেহেতু গাড়ির গতি এখানে অনেক কম থাকে, যার কারণে প্রতিনিয়তই অনেক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে রমজান মাসে অনেক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই সময় আমাদের ছিনতাই প্রতিরোধে বিশেষ টিম থাকে। এ ছাড়া প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠাই।’
উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়াজ মোহাম্মদ শরীফ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া রফিক ও নাসির জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে রাজধানীর উত্তরা, বিমানবন্দর, আবদুল্লাহপুর, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ছিনতাই করতেন। তাঁরা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। রফিকের বিরুদ্ধে তিনটি ও নাসিরের বিরুদ্ধে পূর্বে একটি মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) জ্যোতির্ময় সাহা ও উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাসুদ আলমসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মাদকসেবীরা মাদক সেবনের পয়সা না থাকলেই ছিনতাই করেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। উত্তরা পশ্চিম থানায় আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গত বুধবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের বিএনএস সেন্টারের সামনে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হন। তাঁর নাম মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০)। এ সময় দেলোয়ারের ছোট ভাই মো. আনোয়ার হোসেন (২৬) ছুরিকাঘাতে আহত হন।
ওই দিনই অভিযান চালিয়ে দক্ষিণখানের একটি বস্তি থেকে ছিনতাইকারী রফিকুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, রাতে মিরপুরের কচুক্ষেতের একটি বস্তি থেকে সহযোগী মো. নাসিরকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে আজ রোববার তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ডিসি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘অধিকাংশ ছিনতাইকারী হচ্ছে মাদকসেবী। তাদের সাধারণ জ্ঞান থাকে না। যখন তাদের মাদকের প্রয়োজন হয়, তখন পকেটে পয়সা না থাকলে তারা ছিনতাই করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই দিন দেলোয়ার ও আনোয়ার তাঁদের মা, বাবা, ভাইসহ বাসার মালামাল নিয়ে ঢাকার ডেমরা থেকে একটি পিকআপে করে ময়মনসিংহের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। ওই পিকআপের চালকের পাশে বাবা-মা এবং পিকআপের পেছনে দুই ভাই বসাছিলেন। রাত ৩টার পর উত্তরার বিএনএস সেন্টারের পাশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উড়ালসেতুর পাশে পৌঁছায়। সেখানে একটু জ্যামের মধ্যে হঠাৎ করে একজন ছিনতাইকারী দেলোয়ারের পকেটে থাকা মোবাইল ফোন ও কিছু টাকা ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন দেলোয়ার ও আনোয়ার দৌড়ে গিয়ে ছিনতাইকারীকে জাপটে ধরেন।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই সময় আরও দুজন ছিনতাইকারী চলে আসে। তখন দুই ভাইয়ের সঙ্গে ছিনতাইকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা দেলোয়ারের বুকে এবং তাঁর ভাই আনোয়ারের পায়ে ছুরিকাঘাত করে। আহতদের উদ্ধার করে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আরেকজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনার পরপরই ওই সময়ের কিছু আলামত ছিল। সেই আলামতের ভিত্তিতেই আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল ছিনতাইকারী ও হত্যাকারীকে দক্ষিণখানের একটি বস্তি থেকে গ্রেপ্তার করি। তার দেওয়া তথ্যমতে সহযোগীকে আমরা মিরপুরের পুরোনো কচুক্ষেতের সাগরিকা বস্তি থেকে রাতে গ্রেপ্তার করি।’
ডিসি মোর্শেদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া রকিফুল ইসলামই মূলত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটান। এ সময় তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন মো. নাসির। তাঁরা দুজনই দীর্ঘদিনের বন্ধু। উভয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও ব্যবসা করেন। তাঁদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।’
হত্যাকাণ্ড সংগঠনের সময় ছিনতাইকারীদের অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সময় তিনজন ছিনতাইকারী অংশগ্রহণ করেছিলেন। মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছিলেন রফিক। ভিকটিম রফিককে জড়িয়ে ধরলে তিনি ছুরিকাঘাত করেন। রফিকের সহযোগী হিসেবে আর দুজন ছিনতাইকারী ছিলেন। তিনজন মিলেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। একজন এখনো পলাতক।’
বিমানবন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিসি মোর্শেদ বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর সড়কে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। রাস্তার বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ চলছে। যেহেতু গাড়ির গতি এখানে অনেক কম থাকে, যার কারণে প্রতিনিয়তই অনেক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে রমজান মাসে অনেক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই সময় আমাদের ছিনতাই প্রতিরোধে বিশেষ টিম থাকে। এ ছাড়া প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠাই।’
উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়াজ মোহাম্মদ শরীফ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া রফিক ও নাসির জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে রাজধানীর উত্তরা, বিমানবন্দর, আবদুল্লাহপুর, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ছিনতাই করতেন। তাঁরা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। রফিকের বিরুদ্ধে তিনটি ও নাসিরের বিরুদ্ধে পূর্বে একটি মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) জ্যোতির্ময় সাহা ও উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাসুদ আলমসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে