কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের মামলায় একমাত্র আসামি শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামি শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। এ সময় ভুক্তভোগী শিশুকে আরোপিত অর্থদণ্ডের দেড় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে বলেও রায় দেন আদালত।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শফিকুল ইসলাম করিমগঞ্জ উপজেলার পিটুয়া এলাকার মো. দ্বীন ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন। কিন্তু সে এ প্রস্তাব এড়িয়ে যেত। ২০২১ সালের ২০ আগস্ট রাতে স্কুলছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘর থেকে বের হয়। এরপর আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা শফিকুল তার মুখ চেপে ধরে একটি ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করেন। টয়লেট থেকে ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে তাকে ঝোপে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শফিকুলকেও হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা।
পরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় পরদিন সকালে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে শফিকুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামান লিংকন মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম এ আফজল বলেন, শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে ১৪ (চৌদ্দ) বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫গ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই আইনের ৯ (১) ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আরোপিত অর্থদণ্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য হবে।
তিনি আরও জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির কাছ থেকে বা তাঁর বিদ্যমান সম্পত্তি হতে বা তাঁর বিদ্যমান সম্পদ থেকে আদায় করা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে তিনি যে ‘সম্পদের মালিক বা অধিকারী হবেন’ সে সম্পদ থেকে বিধিমোতাবেক আদায়যোগ্য হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হিসেবে ভুক্তভোগী আরোপিত অর্থদণ্ডের মোট দেড় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা বলেন, ‘বিচার পাইছি। আদালতের রায়ে আমরা আনন্দিত। শফিকুলের মতো পাপিষ্ঠর এমনই সাজা হওয়া উচিত। আদালত এদের মতো পাপিষ্ঠদের যেন সর্বোচ্চ সাজা দেন।’
অন্যদিকে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের স্বজনেরা।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি আইনজীবী এম এ আফজাল এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম পলাশ।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের মামলায় একমাত্র আসামি শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামি শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। এ সময় ভুক্তভোগী শিশুকে আরোপিত অর্থদণ্ডের দেড় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে বলেও রায় দেন আদালত।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শফিকুল ইসলাম করিমগঞ্জ উপজেলার পিটুয়া এলাকার মো. দ্বীন ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন। কিন্তু সে এ প্রস্তাব এড়িয়ে যেত। ২০২১ সালের ২০ আগস্ট রাতে স্কুলছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘর থেকে বের হয়। এরপর আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা শফিকুল তার মুখ চেপে ধরে একটি ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করেন। টয়লেট থেকে ঘরে ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে তাকে ঝোপে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় শফিকুলকেও হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা।
পরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় পরদিন সকালে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে শফিকুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামান লিংকন মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম এ আফজল বলেন, শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে ১৪ (চৌদ্দ) বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫গ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই আইনের ৯ (১) ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আরোপিত অর্থদণ্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য হবে।
তিনি আরও জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির কাছ থেকে বা তাঁর বিদ্যমান সম্পত্তি হতে বা তাঁর বিদ্যমান সম্পদ থেকে আদায় করা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে তিনি যে ‘সম্পদের মালিক বা অধিকারী হবেন’ সে সম্পদ থেকে বিধিমোতাবেক আদায়যোগ্য হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হিসেবে ভুক্তভোগী আরোপিত অর্থদণ্ডের মোট দেড় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা বলেন, ‘বিচার পাইছি। আদালতের রায়ে আমরা আনন্দিত। শফিকুলের মতো পাপিষ্ঠর এমনই সাজা হওয়া উচিত। আদালত এদের মতো পাপিষ্ঠদের যেন সর্বোচ্চ সাজা দেন।’
অন্যদিকে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের স্বজনেরা।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি আইনজীবী এম এ আফজাল এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম পলাশ।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৬ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৫ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫