মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মাদক কিনতে ভূমিহীন বাবার দেওয়া মাথা গোঁজার ঠাঁইটিও বেচে দিয়েছেন ছেলে। কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীরে ঘরে চাল ও বেড়ার সব টিন খুলে বিক্রি করেছেন তিনি। এখন শুধু খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। টাকা জোগাড় করতে খুঁটির রডও বিক্রির আয়োজন চলছে!
মাদকাসক্তির এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। আজ রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
মাদকাসক্ত যুবক নাজিম উপজেলা সদরের বাইমহাটি মোহাম্মদ আলী নগরের আবু সাইদের ছেলে।
পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, আবু সাইদের পাঁচ ছেলের মধ্যে নাজিম একজন। তিনি পেশায় ম্যাক্সি চালক। বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর নামে দুটি মামলায়ও রয়েছে বলে জানান বাবা আবু সাইদ।
ভূমিহীন আবু সাইদ জানান, ছয় মাস আগে ধারদেনা করে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ করে রঙিন টিন দিয়ে ১৮ হাত ঘর নির্মাণ করে। এর মধ্যে সরকার থেকে দেওহাটা আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমিসহ ঘর দিলে তিনি স্ত্রীসহ সেখানে গিয়ে ওঠেন। নাজিম স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে থেকে যান। এর মধ্যে নাজিম মাদকের টাকা জোগাড় করতে ঘরের বেড়ার টিন খুলে বিক্রি করতে শুরু করেন। দুই-একটা করে করে টিন খুলে বিক্রি করতে থাকেন তিনি। তিন মাসের মধ্যে বেড়ার টিন তো বটেই ঘরের চালও শেষ হয়ে গেছে।
আজ সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাল ও বেড়াহীন ঘরের নিচে চাদর দিয়ে ঘেরাও দিয়ে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে আছেন। ঘরের বারান্দার চালে মাত্র দুটি টিন অবশিষ্ট আছে। ওই অংশে বিদ্যুতের মিটার থাকায় তা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি বলে জানান নাজিম।
নাজিম এখন ঘরের খুঁটি খুলে ভেতরের রড বের করে বিক্রি করছেন বলে জানান এক প্রতিবেশী। বাধা দিলে চাকু নিয়ে মারতে আসেন নাজিম।
নাজিমের চাচা আমজাদ হোসেন বলেন, ঘরটি ৩৫ হাজার টাকা দাম হয়েছিল। কিন্তু ওর মা বিক্রি করেননি। এখন টিন খুলে বিক্রি করতে করতে সব শেষ হয়ে গেছে।
পাশেই নাজিমের বড় ভাই সাইফুলের দুই চালা টিনের ঘর ছিল। তিনিও আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলে গেছেন। তাঁর ঘরের টিনও খুলে বিক্রি করে করেছেন নাজিম। নিষেধ করায় তাঁকেও চাকু নিয়ে মারতে যান বলে জানিয়েছেন সাইফুল। সাইফুল জানান, নাজিমের জন্য এই মহল্লার মানুষও ভয়ে থাকে।
পাশের বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, সম্পূর্ণ ঘর এক সঙ্গে বিক্রি করলে টাকাগুলো দিয়ে কোনো কাজ করতে পারতেন নাজিম। কিন্তু তা না করে একটা একটা করে খুলে বিক্রি করে হেরোইন সেবন করেছেন তিনি।
নাজিমের বাবা সাইদ মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাধা দিলে ছেলে চাকু নিয়ে মারতে আসেন। টিন খুলে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। বড় ছেলে সাইফুলের ঘরের টিনও একই ভাবে বিক্রি করে ফেলেছেন। থানায় একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ নিয়ে নাজিমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ঘরটি বিক্রি করে একটি অটোরিকশা কিনে দিতে বলেছিলাম। বাবা-মা রাজি হয়নি। টাকার প্রয়োজন হওয়ায় দুই একদিন পর পর এক দুই ফাইল খুলে বিক্রি করেছি।
বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এক সঙ্গে ঘরটি বিক্রি করতে দিলে টাকাগুলো কাজে লাগানো যেত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদক কিনতে ভূমিহীন বাবার দেওয়া মাথা গোঁজার ঠাঁইটিও বেচে দিয়েছেন ছেলে। কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীরে ঘরে চাল ও বেড়ার সব টিন খুলে বিক্রি করেছেন তিনি। এখন শুধু খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। টাকা জোগাড় করতে খুঁটির রডও বিক্রির আয়োজন চলছে!
মাদকাসক্তির এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। আজ রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
মাদকাসক্ত যুবক নাজিম উপজেলা সদরের বাইমহাটি মোহাম্মদ আলী নগরের আবু সাইদের ছেলে।
পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, আবু সাইদের পাঁচ ছেলের মধ্যে নাজিম একজন। তিনি পেশায় ম্যাক্সি চালক। বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর নামে দুটি মামলায়ও রয়েছে বলে জানান বাবা আবু সাইদ।
ভূমিহীন আবু সাইদ জানান, ছয় মাস আগে ধারদেনা করে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ করে রঙিন টিন দিয়ে ১৮ হাত ঘর নির্মাণ করে। এর মধ্যে সরকার থেকে দেওহাটা আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমিসহ ঘর দিলে তিনি স্ত্রীসহ সেখানে গিয়ে ওঠেন। নাজিম স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে থেকে যান। এর মধ্যে নাজিম মাদকের টাকা জোগাড় করতে ঘরের বেড়ার টিন খুলে বিক্রি করতে শুরু করেন। দুই-একটা করে করে টিন খুলে বিক্রি করতে থাকেন তিনি। তিন মাসের মধ্যে বেড়ার টিন তো বটেই ঘরের চালও শেষ হয়ে গেছে।
আজ সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাল ও বেড়াহীন ঘরের নিচে চাদর দিয়ে ঘেরাও দিয়ে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে আছেন। ঘরের বারান্দার চালে মাত্র দুটি টিন অবশিষ্ট আছে। ওই অংশে বিদ্যুতের মিটার থাকায় তা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি বলে জানান নাজিম।
নাজিম এখন ঘরের খুঁটি খুলে ভেতরের রড বের করে বিক্রি করছেন বলে জানান এক প্রতিবেশী। বাধা দিলে চাকু নিয়ে মারতে আসেন নাজিম।
নাজিমের চাচা আমজাদ হোসেন বলেন, ঘরটি ৩৫ হাজার টাকা দাম হয়েছিল। কিন্তু ওর মা বিক্রি করেননি। এখন টিন খুলে বিক্রি করতে করতে সব শেষ হয়ে গেছে।
পাশেই নাজিমের বড় ভাই সাইফুলের দুই চালা টিনের ঘর ছিল। তিনিও আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলে গেছেন। তাঁর ঘরের টিনও খুলে বিক্রি করে করেছেন নাজিম। নিষেধ করায় তাঁকেও চাকু নিয়ে মারতে যান বলে জানিয়েছেন সাইফুল। সাইফুল জানান, নাজিমের জন্য এই মহল্লার মানুষও ভয়ে থাকে।
পাশের বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, সম্পূর্ণ ঘর এক সঙ্গে বিক্রি করলে টাকাগুলো দিয়ে কোনো কাজ করতে পারতেন নাজিম। কিন্তু তা না করে একটা একটা করে খুলে বিক্রি করে হেরোইন সেবন করেছেন তিনি।
নাজিমের বাবা সাইদ মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাধা দিলে ছেলে চাকু নিয়ে মারতে আসেন। টিন খুলে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। বড় ছেলে সাইফুলের ঘরের টিনও একই ভাবে বিক্রি করে ফেলেছেন। থানায় একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ নিয়ে নাজিমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ঘরটি বিক্রি করে একটি অটোরিকশা কিনে দিতে বলেছিলাম। বাবা-মা রাজি হয়নি। টাকার প্রয়োজন হওয়ায় দুই একদিন পর পর এক দুই ফাইল খুলে বিক্রি করেছি।
বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এক সঙ্গে ঘরটি বিক্রি করতে দিলে টাকাগুলো কাজে লাগানো যেত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে