রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরায় মির্জারচর দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাফর ইকবাল মানিকের (৫৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে পুলিশ।
রোববার নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে উপজেলার রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অডিটোরিয়াম মাঠে নিহতের প্রথম জানাজা ও মির্জারচর এলাকায় রাতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে মির্জারচর ইউনিয়নের শান্তিপুর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন তিনি।
নিহতের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুক্রবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুই পক্ষ বৈঠক করে। এতে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় বৈঠক থেকে উঠে যায় প্রতিপক্ষ ফিরোজের লোকজন। পরে তারা আগে থেকেই চেয়ারম্যানকে হত্যা করার জন্য প্রস্তুত ছিল। এ খবর জানা সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যানকে জানাই এবং কবির মেম্বার, গ্রাম পুলিশ নির্মলকে বিষয়টা অবগত করি যেন চেয়ারম্যান একা একা বাড়িতে না আসে। পরদিন শনিবার একটি খবর আসে চাদপুর থেকে কয়েকজন আসছে দেখা করবে। পরে চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছার পর ফারুকের চারজনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে একটি গুলি করে এবং পরপর মোট ছয়টি গুলি করে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহতের জানাজায় নরসিংদী ৫ আসনের এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, ‘চরাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ তোমরা এগিয়ে যাও, প্রয়োজনে শক্ত হাতে দমন করো, কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে নিয়ে আসো। সন্ত্রাসীদের দমন করা খুব কঠিন নয়। তাদের প্রতি আমাদের দরদ নেই। চেয়ারম্যান রাই যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে তাই কি করে জনগণের নিরাপত্তা দেবে। আর চাই না চর অঞ্চলে কোনো খুনোখুনি হোক। চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন।’ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ আইনের আওতায় আনতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর পর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।’ এ সময় জানতে চাইলে তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানাননি তিনি।
উল্লেখ্য, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন মো. ফিরোজ মিয়া। তাঁর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাফর ইকবাল মানিক। এরই জেরে দু-পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে এলাকা ছাড়া ছিলেন ফিরোজ সমর্থিত লোকজন। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুটি পক্ষ আপস মীমাংসার জন্য সালিসি বসেন। কিন্তু আপস না মেনে মিটিং ছেড়ে বাড়িতে ওঠেন ফিরোজের লোকেরা। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শান্তিপুর বাজারে যান মানিক।
এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদীর রায়পুরায় মির্জারচর দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাফর ইকবাল মানিকের (৫৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে পুলিশ।
রোববার নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে উপজেলার রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অডিটোরিয়াম মাঠে নিহতের প্রথম জানাজা ও মির্জারচর এলাকায় রাতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে মির্জারচর ইউনিয়নের শান্তিপুর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন তিনি।
নিহতের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুক্রবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুই পক্ষ বৈঠক করে। এতে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় বৈঠক থেকে উঠে যায় প্রতিপক্ষ ফিরোজের লোকজন। পরে তারা আগে থেকেই চেয়ারম্যানকে হত্যা করার জন্য প্রস্তুত ছিল। এ খবর জানা সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যানকে জানাই এবং কবির মেম্বার, গ্রাম পুলিশ নির্মলকে বিষয়টা অবগত করি যেন চেয়ারম্যান একা একা বাড়িতে না আসে। পরদিন শনিবার একটি খবর আসে চাদপুর থেকে কয়েকজন আসছে দেখা করবে। পরে চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছার পর ফারুকের চারজনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে একটি গুলি করে এবং পরপর মোট ছয়টি গুলি করে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহতের জানাজায় নরসিংদী ৫ আসনের এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, ‘চরাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ তোমরা এগিয়ে যাও, প্রয়োজনে শক্ত হাতে দমন করো, কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে নিয়ে আসো। সন্ত্রাসীদের দমন করা খুব কঠিন নয়। তাদের প্রতি আমাদের দরদ নেই। চেয়ারম্যান রাই যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে তাই কি করে জনগণের নিরাপত্তা দেবে। আর চাই না চর অঞ্চলে কোনো খুনোখুনি হোক। চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন।’ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ আইনের আওতায় আনতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর পর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।’ এ সময় জানতে চাইলে তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানাননি তিনি।
উল্লেখ্য, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন মো. ফিরোজ মিয়া। তাঁর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাফর ইকবাল মানিক। এরই জেরে দু-পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে এলাকা ছাড়া ছিলেন ফিরোজ সমর্থিত লোকজন। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুটি পক্ষ আপস মীমাংসার জন্য সালিসি বসেন। কিন্তু আপস না মেনে মিটিং ছেড়ে বাড়িতে ওঠেন ফিরোজের লোকেরা। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শান্তিপুর বাজারে যান মানিক।
এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৯ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৮ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫