নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চাকচিক্যপূর্ণ অফিস। অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করে ভোগ্যপণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পত্রিকায় ডিলার ও এরিয়া ম্যানেজার নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়ে পাতা হতো ফাঁদ। প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া হতো লাখ লাখ টাকা।
সম্প্রতি রাজধানীর পল্লবী থানায় এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।
আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিভাগটির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ।
গ্রেপ্তাররা হলেন—চক্রের মূল হোতা মো. কবির হোসেন ওরফে আশরাফুল ওরফে রাসেল (৪০), মো. মামুন হোসেন ওরফে বেলাল ওরফে কামরুল (৪০), আবু হাসান ওরফে জামিল হোসেন (২৫) ও আবদুল্লাহ আল রাব্বী ওরফে রেদওয়ান (২৪)।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত প্রতিষ্ঠানের নাম, সিল, প্যাড, বিজ্ঞাপন কপিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
এডিসি মো. সাইফুর রহমান আজাদ জানান, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া নামে বিভিন্ন ভোগ্য পণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে পত্রিকায় ডিলার ও এরিয়া ম্যানেজার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসছিল। এই সকল বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে তাঁদের কাছ থেকে ২ লাখ থেকে ৫ টাকা লাখ জামানত নেওয়া হতো। এভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিস গুটিয়ে গাঁ ঢাকা দিত। কয়েক দিন পর আবারও ঠিকানা বদলে ভিন্ন নামে একইভাবে বিজ্ঞাপন দিত চক্রটি। একই চক্রের হাতে প্রতারণার শিকার এক ভুক্তভোগী পত্রিকায় আবারও বিজ্ঞাপন দেখে যোগযোগ করে বুঝতে পারে একই চক্র ভিন্ন নামে প্রতারণা করছে। পরে তিনি পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তাঁর মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখে বিশ্বাস না করার পরামর্শ দিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার আগে তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে হবে। ডিলার কিংবা চাকরি নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করা যাবে না।
উল্লেখ্য, চক্রের মূল হোতা কবির বরিশালের কাজীরহাট থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে ঢাকায় এসে ওষুধ ও ভোগ্যপণ্য বিপণন কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। মার্কেটিংয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে বিত্তশালী হতে শুরু করেন প্রতারণা। তাঁর আসল নাম কবির হলেও তিনি অন্তত পাঁচটি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। বিভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলে ডিলার, এরিয়া ম্যানেজার নিয়োগের জন্য পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করতেন।
কবিরের মূল সহযোগী ছিল তাঁর স্কুল জীবনের বন্ধু মো. মামুন হোসেন। মামুনের বিদেশে লোক পাঠানোর অভিজ্ঞতা ছিল। সেটিকে কাজে লাগিয়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রলুব্ধ করতেন তিনি। কবিরের প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে মো. আবু হাসান ও এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন হিসেবে আবদুল্লাহ আল রাব্বী কাজ করতেন। হাসান ও রাব্বী সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরি করার সময়ে বহিষ্কার হন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চাকচিক্যপূর্ণ অফিস। অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করে ভোগ্যপণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পত্রিকায় ডিলার ও এরিয়া ম্যানেজার নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়ে পাতা হতো ফাঁদ। প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়া হতো লাখ লাখ টাকা।
সম্প্রতি রাজধানীর পল্লবী থানায় এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।
আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিভাগটির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ।
গ্রেপ্তাররা হলেন—চক্রের মূল হোতা মো. কবির হোসেন ওরফে আশরাফুল ওরফে রাসেল (৪০), মো. মামুন হোসেন ওরফে বেলাল ওরফে কামরুল (৪০), আবু হাসান ওরফে জামিল হোসেন (২৫) ও আবদুল্লাহ আল রাব্বী ওরফে রেদওয়ান (২৪)।
এ সময় তাঁদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত প্রতিষ্ঠানের নাম, সিল, প্যাড, বিজ্ঞাপন কপিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
এডিসি মো. সাইফুর রহমান আজাদ জানান, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া নামে বিভিন্ন ভোগ্য পণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে পত্রিকায় ডিলার ও এরিয়া ম্যানেজার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসছিল। এই সকল বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে তাঁদের কাছ থেকে ২ লাখ থেকে ৫ টাকা লাখ জামানত নেওয়া হতো। এভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিস গুটিয়ে গাঁ ঢাকা দিত। কয়েক দিন পর আবারও ঠিকানা বদলে ভিন্ন নামে একইভাবে বিজ্ঞাপন দিত চক্রটি। একই চক্রের হাতে প্রতারণার শিকার এক ভুক্তভোগী পত্রিকায় আবারও বিজ্ঞাপন দেখে যোগযোগ করে বুঝতে পারে একই চক্র ভিন্ন নামে প্রতারণা করছে। পরে তিনি পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তাঁর মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখে বিশ্বাস না করার পরামর্শ দিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার আগে তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে হবে। ডিলার কিংবা চাকরি নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করা যাবে না।
উল্লেখ্য, চক্রের মূল হোতা কবির বরিশালের কাজীরহাট থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে ঢাকায় এসে ওষুধ ও ভোগ্যপণ্য বিপণন কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। মার্কেটিংয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে বিত্তশালী হতে শুরু করেন প্রতারণা। তাঁর আসল নাম কবির হলেও তিনি অন্তত পাঁচটি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। বিভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান খুলে ডিলার, এরিয়া ম্যানেজার নিয়োগের জন্য পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করতেন।
কবিরের মূল সহযোগী ছিল তাঁর স্কুল জীবনের বন্ধু মো. মামুন হোসেন। মামুনের বিদেশে লোক পাঠানোর অভিজ্ঞতা ছিল। সেটিকে কাজে লাগিয়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রলুব্ধ করতেন তিনি। কবিরের প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে মো. আবু হাসান ও এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন হিসেবে আবদুল্লাহ আল রাব্বী কাজ করতেন। হাসান ও রাব্বী সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরি করার সময়ে বহিষ্কার হন।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৫ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৪ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫