কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় এক যুগ বেশি সময় ধরে চেম্বার খুলে চিকিৎসা শুরু করেন নয়ন কুমার চাকি (৪২) নামের এক ব্যক্তি। কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বালীগাঁও এলাকায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রোগী দেখতেন তিনি। গত মাসের ১৪ তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) এস.এম মন্জুর-এ-এলাহী ওই চাকির খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে প্রতারণার খবর।
নয়ন কুমারের চেম্বারে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের ভিড় থাকত বেশ। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস.এম মন্জুর-এ-এলাহীর। পরে তিনি নয়ন কুমার চাকির চেম্বারে যান। তাঁর সঙ্গে গল্প করার একপর্যায়ে চাকি কোন মেডিকেল থেকে পাশ করেছেন জানতে চাইতেই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের কথা বলেন চাকি। কোন বছর? ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজ কাউন্সিল (বিএমডিসি) নম্বর কত? জানতে চাইলে গড়িমসি শুরু করেন চাকি।
একপর্যায়ে চাকি বলেন, বিএমডিসির নম্বরটা মনে নেই। কিন্তু কাগজপত্র আছে। তাঁর বউ বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে গেছে দুপুরে আসলেই তিনি কাগজপত্র নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবেন। পরে মন্জুর-এ-এলাহীও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যান। দুপুরে নয়ন চাকি মন্জুর-এ-এলাহীকে ফোন দিয়ে জানান তিনি কাগজপত্র খুঁজে পাচ্ছেন না, পেলেই নিয়ে চলে আসবেন। পরদিন নয়ন চাকিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে তাঁর সনদ ও বিএমডিসির নম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জমা দিতে বলা হয়। তখন নয়ন একদিন সময় নেন। ওই দিনও অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারিও তিনি সনদ এবং বিএমডিসির নম্বর দিতে না পেরে পুনরায় সময় নেন। বলেন, ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে তিনি সব কাগজ জমা দেবেন। কিন্তু ১৬ তারিখ রাতেই নয়ন তাঁর ভাড়া বাসা থেকে গায়েব হয়ে যান।
চিকিৎসকেরা জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা সড়কের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজস্ব চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন নয়ন কুমার চাকি। চিকিৎসার যে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হতো তাতে বা তাঁর ভিজিটিং কার্ডে তিনি নিজেকে মেডিসিন, ডায়াবেটিস, মা ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সোনোলজিস্ট বিষয়ের চিকিৎসক বলে পরিচয় দিতেন। আর তাঁর ডিগ্রির ঘরে লেখা আছে এমবিবিএস, এমসিএইচ (ঢাকা), সিসিডি (বারডেম), সিএমইউ (ঢাকা)। রোগী দেখার সময় লেখা আছে প্রতিদিন ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। সিরিয়ালের জন্য একটি নম্বরও দেওয়া আছে তাতে। প্রথম দফায় ৩০০ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ২০০ টাকা ভিজিট নিতেন চাকি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে মৌখিকভাবে কারও কাছে রাজশাহী মেডিকেল আবার কারও কাছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের পরিচয় দিতেন বলে তাঁরা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, ‘আমি চিকিৎসক নয়ন কুমার চাকিকে দেখাব বলে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দেই সিরিয়ালের জন্য। কিন্তু উনি ওই প্রান্ত থেকে জানান, তিনি আর কালীগঞ্জে নেই। এখন থেকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে বসবেন। তবে আমি চাইলে অনলাইনে চিকিৎসা নিতে পারব। আর এ জন্য বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে বলে জানান নয়ন কুমার চাকি।’
বালীগাঁও এলাকার বাসিন্দারা জানান, নয়ন কুমার চাকি দীর্ঘ দিন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খুব কাছে প্রতারণা করে আসছিলেন। অথচ এই দীর্ঘ সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেক ইউএইচএফপিও একের পর এক চাকরি করে গেলেও কেউ এই ভুয়া চিকিৎসককে শনাক্ত করতে পারেননি। তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে রোগীদের নিয়মিত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানোর পাশাপাশি সোনোলজিস্ট হিসেবে আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতেন।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বালীগাঁও এলাকায় নয়ন কুমার চাকির চেম্বারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তালা ঝুলছে। এ ছাড়া চেম্বারের সামনে তাঁর সব সাইনবোর্ড ও নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে। সেখানে এখনো কয়েক জন রোগী এসে তালা দেওয়া দেখে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে বন্ধ পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয়দের কাছে নয়ন কুমার চাকির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেই তারা জানান চাকি পালিয়েছেন। স্থানীয়দের প্রশ্ন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিষদের নাকের ডগায় কিভাবে দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন নয়ন কুমার চাকি।
নয়ন কুমার চাকির চেম্বারের বাড়ির মালিক মনির উদ্দিন পাঠান মিঠু জানান, তাঁর বাসায় নয়ন কুমার চাকি ৮ থেকে ৯ বছর ভাড়া ছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফোনে জানায় ঢাকার পিজি হাসপাতালে তাঁর ট্রেনিং থাকায় তিনি একবারে চলে গেছেন।
বাড়ির মালিক আরও জানান, তিনি এলাকায় থাকেন না, পরে এলাকায় এসে শুনতে পান যে, চাকি এত দিন ডাক্তারি করেছেন তবে তাঁর কোনো কাগজপত্রই নেই। প্রতি মাসে অগ্রিম হিসেবে ভাড়া নিয়ে নেওয়ায় তাঁর কোনো মাসের বাড়ি ভাড়া বাকি ছিল না বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে নয়ন কুমার চাকির ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, বাড়ি ভাড়ার মেয়াদ শেষ তাই তিনি চলে গেছেন। তাঁর ডাক্তারি করার মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, আছে। বিএমডিসি নম্বর জানতে চাইলে তিনি বলেন নম্বর আছে তবে দেওয়া যাবে না বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে একাধিকবার ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এস.এম মন্জুর-এ-এলাহী বলেন, ‘আমি ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকেই স্থানীয় সাংসদের পরামর্শে এই উপজেলার স্বাস্থ্য সেবায় কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। হাসপাতাল ও কমিউনিটি হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় নামধারী ডাক্তার বা কাগজপত্র বিহীন ক্লিনিকগুলোতে অভিযান অব্যাহত রাখি। এরই ধারাবাহিকতায় ভুয়া চিকিৎসক নয়ন কুমার চাকির চেম্বারে অভিযান চালাই। কিন্তু তাঁকে সময় দিয়ে কাগজপত্র চাইতেই তিনি রাতের আঁধারে পালিয়ে যান।’
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় এক যুগ বেশি সময় ধরে চেম্বার খুলে চিকিৎসা শুরু করেন নয়ন কুমার চাকি (৪২) নামের এক ব্যক্তি। কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বালীগাঁও এলাকায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রোগী দেখতেন তিনি। গত মাসের ১৪ তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) এস.এম মন্জুর-এ-এলাহী ওই চাকির খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে প্রতারণার খবর।
নয়ন কুমারের চেম্বারে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের ভিড় থাকত বেশ। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস.এম মন্জুর-এ-এলাহীর। পরে তিনি নয়ন কুমার চাকির চেম্বারে যান। তাঁর সঙ্গে গল্প করার একপর্যায়ে চাকি কোন মেডিকেল থেকে পাশ করেছেন জানতে চাইতেই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের কথা বলেন চাকি। কোন বছর? ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজ কাউন্সিল (বিএমডিসি) নম্বর কত? জানতে চাইলে গড়িমসি শুরু করেন চাকি।
একপর্যায়ে চাকি বলেন, বিএমডিসির নম্বরটা মনে নেই। কিন্তু কাগজপত্র আছে। তাঁর বউ বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে গেছে দুপুরে আসলেই তিনি কাগজপত্র নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবেন। পরে মন্জুর-এ-এলাহীও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যান। দুপুরে নয়ন চাকি মন্জুর-এ-এলাহীকে ফোন দিয়ে জানান তিনি কাগজপত্র খুঁজে পাচ্ছেন না, পেলেই নিয়ে চলে আসবেন। পরদিন নয়ন চাকিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে তাঁর সনদ ও বিএমডিসির নম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জমা দিতে বলা হয়। তখন নয়ন একদিন সময় নেন। ওই দিনও অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারিও তিনি সনদ এবং বিএমডিসির নম্বর দিতে না পেরে পুনরায় সময় নেন। বলেন, ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে তিনি সব কাগজ জমা দেবেন। কিন্তু ১৬ তারিখ রাতেই নয়ন তাঁর ভাড়া বাসা থেকে গায়েব হয়ে যান।
চিকিৎসকেরা জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা সড়কের অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজস্ব চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন নয়ন কুমার চাকি। চিকিৎসার যে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হতো তাতে বা তাঁর ভিজিটিং কার্ডে তিনি নিজেকে মেডিসিন, ডায়াবেটিস, মা ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সোনোলজিস্ট বিষয়ের চিকিৎসক বলে পরিচয় দিতেন। আর তাঁর ডিগ্রির ঘরে লেখা আছে এমবিবিএস, এমসিএইচ (ঢাকা), সিসিডি (বারডেম), সিএমইউ (ঢাকা)। রোগী দেখার সময় লেখা আছে প্রতিদিন ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। সিরিয়ালের জন্য একটি নম্বরও দেওয়া আছে তাতে। প্রথম দফায় ৩০০ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ২০০ টাকা ভিজিট নিতেন চাকি। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে মৌখিকভাবে কারও কাছে রাজশাহী মেডিকেল আবার কারও কাছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের পরিচয় দিতেন বলে তাঁরা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, ‘আমি চিকিৎসক নয়ন কুমার চাকিকে দেখাব বলে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দেই সিরিয়ালের জন্য। কিন্তু উনি ওই প্রান্ত থেকে জানান, তিনি আর কালীগঞ্জে নেই। এখন থেকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে বসবেন। তবে আমি চাইলে অনলাইনে চিকিৎসা নিতে পারব। আর এ জন্য বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে বলে জানান নয়ন কুমার চাকি।’
বালীগাঁও এলাকার বাসিন্দারা জানান, নয়ন কুমার চাকি দীর্ঘ দিন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খুব কাছে প্রতারণা করে আসছিলেন। অথচ এই দীর্ঘ সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেক ইউএইচএফপিও একের পর এক চাকরি করে গেলেও কেউ এই ভুয়া চিকিৎসককে শনাক্ত করতে পারেননি। তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে রোগীদের নিয়মিত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানোর পাশাপাশি সোনোলজিস্ট হিসেবে আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতেন।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বালীগাঁও এলাকায় নয়ন কুমার চাকির চেম্বারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তালা ঝুলছে। এ ছাড়া চেম্বারের সামনে তাঁর সব সাইনবোর্ড ও নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে। সেখানে এখনো কয়েক জন রোগী এসে তালা দেওয়া দেখে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে বন্ধ পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয়দের কাছে নয়ন কুমার চাকির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেই তারা জানান চাকি পালিয়েছেন। স্থানীয়দের প্রশ্ন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিষদের নাকের ডগায় কিভাবে দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন নয়ন কুমার চাকি।
নয়ন কুমার চাকির চেম্বারের বাড়ির মালিক মনির উদ্দিন পাঠান মিঠু জানান, তাঁর বাসায় নয়ন কুমার চাকি ৮ থেকে ৯ বছর ভাড়া ছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফোনে জানায় ঢাকার পিজি হাসপাতালে তাঁর ট্রেনিং থাকায় তিনি একবারে চলে গেছেন।
বাড়ির মালিক আরও জানান, তিনি এলাকায় থাকেন না, পরে এলাকায় এসে শুনতে পান যে, চাকি এত দিন ডাক্তারি করেছেন তবে তাঁর কোনো কাগজপত্রই নেই। প্রতি মাসে অগ্রিম হিসেবে ভাড়া নিয়ে নেওয়ায় তাঁর কোনো মাসের বাড়ি ভাড়া বাকি ছিল না বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে নয়ন কুমার চাকির ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, বাড়ি ভাড়ার মেয়াদ শেষ তাই তিনি চলে গেছেন। তাঁর ডাক্তারি করার মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, আছে। বিএমডিসি নম্বর জানতে চাইলে তিনি বলেন নম্বর আছে তবে দেওয়া যাবে না বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে একাধিকবার ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এস.এম মন্জুর-এ-এলাহী বলেন, ‘আমি ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকেই স্থানীয় সাংসদের পরামর্শে এই উপজেলার স্বাস্থ্য সেবায় কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। হাসপাতাল ও কমিউনিটি হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় নামধারী ডাক্তার বা কাগজপত্র বিহীন ক্লিনিকগুলোতে অভিযান অব্যাহত রাখি। এরই ধারাবাহিকতায় ভুয়া চিকিৎসক নয়ন কুমার চাকির চেম্বারে অভিযান চালাই। কিন্তু তাঁকে সময় দিয়ে কাগজপত্র চাইতেই তিনি রাতের আঁধারে পালিয়ে যান।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৬ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
২০ দিন আগে