কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়ার তিন মাস পর সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফি ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসাদ আজ রোববার সকালে রুবেলের হাউজিংয়ের বাড়িতে অভিযান চালান।
আলোচিত এই হত্যার ঘটনায় পুলিশ ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়া পর্যন্ত রুবেলের বাড়িতে অবস্থান করে বলে জানান নিহত রুবেলের চাচা মিজানুর রহমান মেজর। স্থানীয় সাংবাদিকেরা বলছেন, এটি পুলিশের তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গত ৩ জুলাই কুষ্টিয়া শহরের বাবর আলী গেটে অবস্থিত নিজ কার্যালয় থেকে নিখোঁজ হন একটি জাতীয় দৈনিকের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান রুবেল। ওই দিন রুবেলের ছোট ভাই মাহাবুব কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। জীবিত রুবেলকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। ৭ জুলাই কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা সেতুর নিচ থেকে রুবেলের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের রুবেলের চাচা।
এ ঘটনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাংবাদিকেরা। ৮ জুলাই কুষ্টিয়ার মজমপুর গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সর্বস্তরের সাংবাদিকেরা। প্রায় ৩ ঘণ্টা খুলনা থেকে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রুবেল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ করতে থাকেন কুষ্টিয়ার সাংবাদিকেরা। এখনো রুবেল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন সাংবাদিকেরা।
এদিকে রুবেল হত্যার ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ মামলার কোনো মোটিভ আজও উদ্ধার করতে পারেনি। র্যাব সোহান ও জুয়েল নামের সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করে। অপরদিকে পুলিশ সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ইমন নামের এক যুবককে আটক করে। কিন্তু রুবেলকে কেন হত্যা করা হয়েছে-এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া ও প্রেসক্লাব কেপিসির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের সকলেই জানে রুবেল খুন হয়েছে। আর কুষ্টিয়া পুলিশ জানেই না রুবেল নিহত। এটি সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের রম্য ছাড়া আর কিছুই নই। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নিহত রুবেলের চাচা ও রুবেল হত্যা মামলার বাদী মিজানুর রহমান মেজর বলেন, ‘রুবেল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে ও মামলার মোটিভ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অথচ রুবেলের নামে ওয়ারেন্ট নিয়ে হাজির হয়েছে বাড়িতে। এর প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমাদের নেই।’
এ বিষয়ে এএসআই আসাদুল ইসলাম আসাদ বলেন, ‘হাসিবুর রহমান রুবেলের নামে চেক সংক্রান্ত একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। আদালতের সিআর ৩১০ / ২২ নম্বরের ওয়ারেন্ট তাঁর নামে ইস্যু হয়। এটি হাতে পাওয়ার পর রুবেলের বাসায় গিয়ে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন। এরপর তাঁর মৃত্যু সনদ নিয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। আর কোনো সমস্যা নেই।’
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘একটি মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ রুবেলের বাড়িতে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য গিয়েছিল।’
আরও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হওয়ার তিন মাস পর সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফি ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসাদ আজ রোববার সকালে রুবেলের হাউজিংয়ের বাড়িতে অভিযান চালান।
আলোচিত এই হত্যার ঘটনায় পুলিশ ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়া পর্যন্ত রুবেলের বাড়িতে অবস্থান করে বলে জানান নিহত রুবেলের চাচা মিজানুর রহমান মেজর। স্থানীয় সাংবাদিকেরা বলছেন, এটি পুলিশের তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গত ৩ জুলাই কুষ্টিয়া শহরের বাবর আলী গেটে অবস্থিত নিজ কার্যালয় থেকে নিখোঁজ হন একটি জাতীয় দৈনিকের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান রুবেল। ওই দিন রুবেলের ছোট ভাই মাহাবুব কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। জীবিত রুবেলকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। ৭ জুলাই কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা সেতুর নিচ থেকে রুবেলের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের রুবেলের চাচা।
এ ঘটনার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাংবাদিকেরা। ৮ জুলাই কুষ্টিয়ার মজমপুর গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সর্বস্তরের সাংবাদিকেরা। প্রায় ৩ ঘণ্টা খুলনা থেকে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রুবেল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ করতে থাকেন কুষ্টিয়ার সাংবাদিকেরা। এখনো রুবেল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন সাংবাদিকেরা।
এদিকে রুবেল হত্যার ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ মামলার কোনো মোটিভ আজও উদ্ধার করতে পারেনি। র্যাব সোহান ও জুয়েল নামের সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করে। অপরদিকে পুলিশ সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ইমন নামের এক যুবককে আটক করে। কিন্তু রুবেলকে কেন হত্যা করা হয়েছে-এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া ও প্রেসক্লাব কেপিসির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের সকলেই জানে রুবেল খুন হয়েছে। আর কুষ্টিয়া পুলিশ জানেই না রুবেল নিহত। এটি সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের রম্য ছাড়া আর কিছুই নই। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
নিহত রুবেলের চাচা ও রুবেল হত্যা মামলার বাদী মিজানুর রহমান মেজর বলেন, ‘রুবেল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে ও মামলার মোটিভ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অথচ রুবেলের নামে ওয়ারেন্ট নিয়ে হাজির হয়েছে বাড়িতে। এর প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমাদের নেই।’
এ বিষয়ে এএসআই আসাদুল ইসলাম আসাদ বলেন, ‘হাসিবুর রহমান রুবেলের নামে চেক সংক্রান্ত একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। আদালতের সিআর ৩১০ / ২২ নম্বরের ওয়ারেন্ট তাঁর নামে ইস্যু হয়। এটি হাতে পাওয়ার পর রুবেলের বাসায় গিয়ে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন। এরপর তাঁর মৃত্যু সনদ নিয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। আর কোনো সমস্যা নেই।’
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘একটি মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ রুবেলের বাড়িতে তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য গিয়েছিল।’
আরও পড়ুন:
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৯ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৮ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫