Ajker Patrika

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৪: ১৯
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: বিএনপির সাবেক এমপিসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের পৃথক দুটি মামলা ছিল। একই মামলায় আরও ৪৪ জনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুটি মামলার একই রায় পৃথক পৃথকভাবে চলবে। 

আজ মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৪৮ জনের মধ্যে ১৩ জন পলাতক রয়েছেন। 

এদিকে মামলার রায় উপলক্ষে আজ সকালে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে ৩৪ জন আসামিকে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার ছাড়া অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, ইয়াছিন, কামরুল ও শেলী আদালতে হাজিরা দেননি। 

সকাল সোয়া ১০টায় বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল রায় পড়ে শোনান। রায়ে বলা হয়, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এফ ধারায় বিএনপির নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, রঞ্জু ও পলাতক আসামি আব্দুল কাদের বাচ্চু, রিপন প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। অপর ৪৪ জন আসামির প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হলো। 

রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিয়াউর রহমান প্রমুখ। 

অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এ রায়ে আমরা খুশি।’ 

এদিকে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাডভোকেট শাহানারা বকুল প্রমুখ। শাহানার বকুল বলেন, ‘এ রায়ে তাঁরা খুশি নন। পূর্ণাঙ্গ রায়ের কাগজ হাতে পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ 

তবে রায় শোনার পর আসামিপক্ষের স্বজনেরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিএনপির নেতা মমতাজুল ইসলাম চন্দন, মন্টুসহ চারজনকে আটক করে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চায়নি। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে রাস্তার ওপর জেলা বিএনপির সভাপতি ও তৎকালীন এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও বিএনপির নেতা রঞ্জুর নির্দেশে বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার ওপর আড়াআড়ি দাঁড় করে দিয়ে তাঁর গাড়িবহরে হামলা চালান। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, সাংবাদিকসহ ১০ জনকে মারধর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত