Ajker Patrika

পুলিশের ভয় দেখিয়ে ইউপি সদস্যের টাকা আদায়

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
পুলিশের ভয় দেখিয়ে ইউপি সদস্যের টাকা আদায়

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে এক যুবকের (২২) থেকে ২৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার নন্নী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ আগস্ট উপজেলার নন্নী উত্তরবন্দ গ্রামের আকাশ তাঁর স্ত্রীকে আনতে শশুরবাড়ি বাইগরপাড়া গ্রামে যান। শশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে আসতে না দেওয়ায় শশুরবাড়ি গিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করেন ও তাঁদের হত্যার হুমকি দেন আকাশ। এ সময় শশুর বাড়ির লোকজন আকাশকে বেধড়ক মারধর করে ও রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। একপর্যায়ে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ ফোন করে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ শশুর বাড়ি থেকে আকাশকে থানায় নিয়ে আসে। 

এদিকে কোনো অভিযোগ বা বাদী না থাকায় রাতেই স্থানীয়দের সুপারিশে পুলিশ আকাশকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু এই সুযোগ নিয়ে ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বাবুল আকাশকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড নিয়ে মারধর করা হবে জানিয়ে ফোনের মাধ্যমে ভয় দেখান। 

পরে আকাশের বাবার কাছে ফোন করে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন বাবুল মেম্বার। মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের মাধ্যমে বাবুল মেম্বারের কাছে তিন দফায় মোট ১৫ হাজার টাকা নেন আকাশের বাবা চান মিয়া। এরপর আকাশের মা-বাবার কাছে আবারও টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করেন বাবুল। পুলিশকে আরও টাকা দিতে হবে বলে দুই দফায় আরও আট হাজার টাকাসহ মোট ২৩ হাজার টাকা নেন। 

আকাশের মা আফরোজা বেগম বলেন, ‘মেম্বারকে দেওয়া ২৩ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা স্বর্ণের গয়না বন্ধক রেখে মাসে দেড় হাজার টাকা সুদে আনছিলাম। আমরা মেম্বারের বিচার চাই।’ 

আকাশের বাবা চান মিয়া বলেন, ‘আমি ঢাকায় কাজ করি। বাবুল মেম্বার ভয় দেখাইয়া আমারে আনাইছে। ধার দেনা কইরা মেম্বারকে টাকা দেওয়া লাগছে। আমি মেম্বারের বিচার চাই।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে মোবাইল ফোনে ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বাবুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট নন্নী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবার আমার কাছে এসেছিল।’ ঘটনার সত্যতা আছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, ‘অভিযোগটি আমি এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ কল পেয়ে আমরা আকাশকে থানায় এনেছিলাম। তবে কোনো অভিযোগ ও বাদী না থাকায় রাতেই তাকে পরিবারের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়।’ পুলিশের ভয় দেখিয়ে কেউ টাকা আত্মসাৎ করেছে কিনা এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত