ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ নাছরীন সুলতানা। সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে আজ সোমবার তাঁর অফিসে যান আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদক। এ সময় ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম হন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের ত্রিশালের কানিহারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাছরীন সুলতানা তাঁর অফিসে নামজারি করতে আসা এক ব্যক্তির সঙ্গে টাকার বিনিময়ে কাজ করে দেওয়ার জন্য দর-কষাকষি করছেন। একপর্যায়ে হাসি ভরা মুখে টাকা হাতে নিতে নিতে তাঁকে বলতে শোনা যায়—‘আপনি তো আমার চাকরি খাবেন। সামনাসামনি যা করছেন!’
একহাতে টাকা নাড়তে নাড়তে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাছরীন সুলতানা হাসিমুখে বলতে থাকেন—‘আমার চাকরিটা খাওয়ার জন্য আপনি লাগছেন! এই শোনেন, যেটা দেখাইছি ওইটা দিতে হবে, তাহলে আপনি কাজ পেয়ে যাবেন। ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা টাকা দিলে এটা অয়না। তারপরও দিয়ে গেলেন! ওই ভাই সামনে ছিল, (পাশে বসে কথা বলতে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে) তাই আমি রাখলাম, নাইলে রাখতাম না। কিন্তু দেওয়া লাগব, ওইটা না দিলে আপনার খারিজ (নামজারি) হবে না।’
দুই দিন পরে বাকি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ব্যক্তি দুটি নামজারির জন্য ১৭ হাজার টাকা দেবেন জানালে আবার ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘না এইতো অইতনা, এইতা বাংলা আলাপ কইরেন না।’
নামজারি করতে আসা ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনে আরও দেখা যায়, ওই ভূমি কর্মকর্তা ইশারা ইঙ্গিতে টাকার পরিমাণ বোঝানোর চেষ্টা করছেন। নামজারি করতে যে টাকা দাবি করছেন, সেটি ক্যালকুলেটরে লিখে ওই ব্যক্তিকে দেখান এবং বলেন—এটা লাগবে।
সম্পূর্ণ কথোপকথন থেকে জানা যায়, দুটি নামজারির জন্য ওই ব্যক্তি ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হলেও ভূমি কর্মকর্তা দাবি করছেন ১৬ হাজার টাকা। কথোপকথনের সময় পাশে বসে থাকা ব্যক্তিটিকে অতিরিক্ত টাকা দিয়েই নামজারি করার জন্য উৎসাহিত করতে দেখা যায়। এ সময় তিনি ‘ন্যায্য ও নির্ধারিত টাকায়, নিয়ম মেনে’ অফিসে কাজ করতে গেলে যে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়, তা বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
একই সময় সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজনকে যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেখা যায়। ওই কর্মকর্তার কানে কানে কথা বলতেও দেখা যায় অনেককে।
কথোপকথনের একপর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তা বলেন, ‘এইটা তো আমার অফিসের কাজ। আরে এইটা দেবেন আমার অফিসে, আর আপনি নিয়ে ওইখানে (উপজেলা ভূমি অফিস) করে নেন।’
উল্লেখ্য, এই ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জন পোস্ট ও মন্তব্য করেছেন।
অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ নাছরীন সুলতানা। সম্প্রতি বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে আজ সোমবার তাঁর অফিসে যান আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদক। এ সময় ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম হন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের ত্রিশালের কানিহারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাছরীন সুলতানা তাঁর অফিসে নামজারি করতে আসা এক ব্যক্তির সঙ্গে টাকার বিনিময়ে কাজ করে দেওয়ার জন্য দর-কষাকষি করছেন। একপর্যায়ে হাসি ভরা মুখে টাকা হাতে নিতে নিতে তাঁকে বলতে শোনা যায়—‘আপনি তো আমার চাকরি খাবেন। সামনাসামনি যা করছেন!’
একহাতে টাকা নাড়তে নাড়তে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাছরীন সুলতানা হাসিমুখে বলতে থাকেন—‘আমার চাকরিটা খাওয়ার জন্য আপনি লাগছেন! এই শোনেন, যেটা দেখাইছি ওইটা দিতে হবে, তাহলে আপনি কাজ পেয়ে যাবেন। ভাইঙ্গা ভাইঙ্গা টাকা দিলে এটা অয়না। তারপরও দিয়ে গেলেন! ওই ভাই সামনে ছিল, (পাশে বসে কথা বলতে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে) তাই আমি রাখলাম, নাইলে রাখতাম না। কিন্তু দেওয়া লাগব, ওইটা না দিলে আপনার খারিজ (নামজারি) হবে না।’
দুই দিন পরে বাকি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ব্যক্তি দুটি নামজারির জন্য ১৭ হাজার টাকা দেবেন জানালে আবার ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘না এইতো অইতনা, এইতা বাংলা আলাপ কইরেন না।’
নামজারি করতে আসা ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনে আরও দেখা যায়, ওই ভূমি কর্মকর্তা ইশারা ইঙ্গিতে টাকার পরিমাণ বোঝানোর চেষ্টা করছেন। নামজারি করতে যে টাকা দাবি করছেন, সেটি ক্যালকুলেটরে লিখে ওই ব্যক্তিকে দেখান এবং বলেন—এটা লাগবে।
সম্পূর্ণ কথোপকথন থেকে জানা যায়, দুটি নামজারির জন্য ওই ব্যক্তি ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হলেও ভূমি কর্মকর্তা দাবি করছেন ১৬ হাজার টাকা। কথোপকথনের সময় পাশে বসে থাকা ব্যক্তিটিকে অতিরিক্ত টাকা দিয়েই নামজারি করার জন্য উৎসাহিত করতে দেখা যায়। এ সময় তিনি ‘ন্যায্য ও নির্ধারিত টাকায়, নিয়ম মেনে’ অফিসে কাজ করতে গেলে যে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়, তা বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
একই সময় সেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজনকে যথেষ্ট গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেখা যায়। ওই কর্মকর্তার কানে কানে কথা বলতেও দেখা যায় অনেককে।
কথোপকথনের একপর্যায়ে ভূমি কর্মকর্তা বলেন, ‘এইটা তো আমার অফিসের কাজ। আরে এইটা দেবেন আমার অফিসে, আর আপনি নিয়ে ওইখানে (উপজেলা ভূমি অফিস) করে নেন।’
উল্লেখ্য, এই ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এর আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জন পোস্ট ও মন্তব্য করেছেন।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৬ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৫ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫