হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক গ্রামপুলিশকে মারধর করে উদ্ধার ফেনসিডিল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম জাহেদুল ইসলাম জাহিদ (৩৫)। তিনি উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের উত্তর জাওরানী এলাকার এহসান আলীর ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনায় অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন জাহিদের ভাই মামুন (৩৯), একই এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে জুয়েল (২৬) ও নরুল ইসলামের ছেলে রুহুল (২৫)। অন্যদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রামপুলিশের নাম রবিউল ইসলাম। তিনি উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মধ্যম কাদমা এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে ওই ইউনিয়নে গ্রামপুলিশ হিসেবে কর্মরত আছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ জাওরানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রামপুলিশ রবিউল ইসলাম পরের দিন শুক্রবার চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচ-সাতজনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ অভিযোগটি এখনো নথিভুক্ত করেনি। এ ছাড়া ছিনিয়ে নেওয়া ভারতীয় নিষিদ্ধ মাদকও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহেদুলের ভাই মামুন ও জুয়েল মোটরসাইকেলে বস্তা ভর্তি ফেনসিডিল নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কালীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। গ্রামপুলিশ রবিউলের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে মামুন ও জুয়েল মোটরসাইকেলটি ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে রবিউল মোটরসাইকেলে থাকা ব্যাগটি খুললে তার ভেতরে ভারতীয় ফেনসিডিল দেখতে পান। পরে বিষয়টি ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে ফোন করে জানান। এরপর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার মাদকগুলো ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়ার পথে জাহিদ, তাঁর ভাই মামুন ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা রবিউলের ওপর হামলা চালান। পরে তাঁকে মারধর করে ফেনসিডিল ও মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন গ্রামপুলিশকে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম বলেন, ‘জহিদ ও তাঁর ভাই এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি ও চোরাকারবারি। আমি বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকায় যাচ্ছিলাম, এ সময় জাহিদের ভাই মামুন ও জুয়েল মোটরসাইকেল নিয়ে আসতেছিল। আমাকে দেখেই তাঁরা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। আমি স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সেই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যাগ থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করে চেয়ারম্যানকে জানাই। এর কিছুক্ষণ পর জাহিদ তাঁর ভাই মামুন ও মাদক কারবারিরা আমাকে মারধর করে উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল ও ফেনসিডিলগুলো নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, বিষয়টি মিথ্যা। এ কথা বলেই ফোনটি কেটে দেন তিনি।
অন্যদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার খান জিহান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, এ ঘটনায় গ্রামপুলিশকে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ নিয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ওই গ্রামপুলিশ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক গ্রামপুলিশকে মারধর করে উদ্ধার ফেনসিডিল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম জাহেদুল ইসলাম জাহিদ (৩৫)। তিনি উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের উত্তর জাওরানী এলাকার এহসান আলীর ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনায় অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন জাহিদের ভাই মামুন (৩৯), একই এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে জুয়েল (২৬) ও নরুল ইসলামের ছেলে রুহুল (২৫)। অন্যদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রামপুলিশের নাম রবিউল ইসলাম। তিনি উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মধ্যম কাদমা এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে ওই ইউনিয়নে গ্রামপুলিশ হিসেবে কর্মরত আছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ জাওরানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রামপুলিশ রবিউল ইসলাম পরের দিন শুক্রবার চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচ-সাতজনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ অভিযোগটি এখনো নথিভুক্ত করেনি। এ ছাড়া ছিনিয়ে নেওয়া ভারতীয় নিষিদ্ধ মাদকও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহেদুলের ভাই মামুন ও জুয়েল মোটরসাইকেলে বস্তা ভর্তি ফেনসিডিল নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কালীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। গ্রামপুলিশ রবিউলের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে মামুন ও জুয়েল মোটরসাইকেলটি ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে রবিউল মোটরসাইকেলে থাকা ব্যাগটি খুললে তার ভেতরে ভারতীয় ফেনসিডিল দেখতে পান। পরে বিষয়টি ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে ফোন করে জানান। এরপর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার মাদকগুলো ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়ার পথে জাহিদ, তাঁর ভাই মামুন ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা রবিউলের ওপর হামলা চালান। পরে তাঁকে মারধর করে ফেনসিডিল ও মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন গ্রামপুলিশকে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম বলেন, ‘জহিদ ও তাঁর ভাই এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি ও চোরাকারবারি। আমি বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকায় যাচ্ছিলাম, এ সময় জাহিদের ভাই মামুন ও জুয়েল মোটরসাইকেল নিয়ে আসতেছিল। আমাকে দেখেই তাঁরা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। আমি স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সেই মোটরসাইকেলে থাকা ব্যাগ থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করে চেয়ারম্যানকে জানাই। এর কিছুক্ষণ পর জাহিদ তাঁর ভাই মামুন ও মাদক কারবারিরা আমাকে মারধর করে উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল ও ফেনসিডিলগুলো নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, বিষয়টি মিথ্যা। এ কথা বলেই ফোনটি কেটে দেন তিনি।
অন্যদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার খান জিহান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, এ ঘটনায় গ্রামপুলিশকে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ নিয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ওই গ্রামপুলিশ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১৫ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১৫ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৫ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৯ দিন আগে